বন্ধুত্ব মানেই অন্যায়ের প্রশ্রয় নয়

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

প্রায় সময় আমি এমন সব লেখা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। যে লেখাগুলো অনেকটা বলা চলে যে আমাদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত। কারণ নিজের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কিংবা আসলে আমার চোখের দেখা কিংবা জীবনের সাথে সম্পর্কিত ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা করতেই আমি বেশি ভালোবাসি। কারণ কাল্পনিক ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে আসলে লেখালেখি করা আমার খুব একটা পছন্দ নয়।

তবে অনেক কাল্পনিক লেখা আমার অনেক পছন্দ। যেমন ধরুন অনেকেই অনেক ধরনের কাল্পনিক গল্প লেখে। ওই লেখাগুলো আমার অনেক পছন্দ। অর্থাৎ আমার লিখতে ইচ্ছে করেনা। সেটা হলো আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। যাই হোক, আমি আসলে যে ব্যাপারটি অনেক বেশি দেখেছি। সেটা হলো, মানুষ বন্ধুত্ব মানেই ধরে নেয় যে অন্যায়ের প্রশ্রয় দিতে হবে। অর্থাৎ ধরুন আমার কোনো বন্ধু আমার ই চোখের সামনে অন্যায় করছে।সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় কি হয় বলুন তো?

বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের জায়গা থেকে আমাদের বন্ধুদের ১০০% সাপোর্ট করি।অর্থাৎ বন্ধুদের সাপোর্ট করা জরুরী। কিন্তু বন্ধুদের অন্যায় কাজে সাপোর্ট করার পক্ষে আমি কখনো নই। কারণ আমি অনেক ক্ষেত্রেই দেখেছি যে অনেক মানুষ বন্ধুদের ভুল কাজেও বাহবা দেয়।আসলে সেখানে যখন তার মানা করার কথা। অর্থাৎ সে যে অন্যায় করছে সেটা বোঝানোর কথা। তখন সেখানে যদি কেউ গিয়ে সাপোর্ট করে। তখন স্বাভাবিকভাবে অন্যায়ের প্রশ্রয় দেওয়া হয়। আর অন্যায়ের প্রশ্রয় দিলে আসলে তাদের জন্য সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আমরা যদি বন্ধুদের সাপোর্ট করার জন্য ওই অন্যায়গুলোকে মেনে নেই, অন্যগুলোকে সাপোর্ট করি যেটা পরবর্তীতে তার জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।তাই আমি মনে করি বন্ধুত্ব বন্ধুত্ব এর জায়গা এবং বন্ধুত্বের অন্যায়কে প্রশ্ন দেওয়া সম্পূর্ণ আলাদা, যেটা করা উচিত নয়।কারণ বন্ধু মানেই তাদেরকে আমার ভালোবাসি, যাদের ভালো আমরা চাই। তাই তাদের ক্ষতি চাওয়া কিন্তু আমাদের কাজ নয়।