লাইফস্টাইল:-হঠাৎ করেই ঘুরতে যাওয়া।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজকে আপনাদের সাথে আনন্দময় একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্যই এসেছি।আসলে এটা বেশ কিছুদিন আগের কথা। যেহেতু আমরা এখন বাইরে ঘুরাঘুরি করার সময় একদমই পাইনা সেই হিসেবে নিভৃতের বাইরে বেরোনো হয় না। তাই যখন তার আব্বু বাড়ি থেকে বের হয় অফিসের উদ্দেশ্যে তখন সে ভীষণ কান্নাকাটি করে। তাই একদিন বিকেল বেলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাকে নিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করার জন্য যাব। কিন্তু বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা থাকার কারণে বিকেলবেলা বের হওয়া হয়নি সন্ধ্যার দিকে বের হয়েছিলাম।
আমার আব্বুর বাসা থেকে খুব কাছেই এখন মনপুরা। এজন্য খুব বেশি সময় লাগে না। যদিও সেদিকে যাওয়ার কোন প্ল্যান ছিল না। হুট করে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে ভেতরে যাওয়ার আগে নিভৃত বাইক থেকে নেমে খুব বেশি নাচানাচি করছিল। অনেকগুলো লাইট দেখেই সে ওয়াও, ওয়াও করতেছে। মানে তার আনন্দটা বাইরে থেকেই অনেক বেশি বোঝা যাচ্ছিল। যাইহোক ভিতরে সে তার বাবার সাথেই চলে যাচ্ছে। আগে যেহেতু সেখানে অনেকবার এসেছে তাই পুরো পরিবেশটাই তার চেনা।
প্রথমে আমরা পার্ক এরিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম ।কিন্তু সে ভেবেছে আমরা প্রথমেই পুকুরের উপরে থাকা ঘর গুলোতে বসবো। এজন্যই সে কান্নাকাটি করছিল সেখানে বসার জন্য। আসলে আমরা যতবারই যাই সেই ঘরগুলোতে বসা হয়। কিন্তু সেদিন সবগুলো ঘর ফিল আপ ছিল সেজন্য আর সেখানে বসা হয়নি, তাই চলে গেলাম পার্কে এরিয়াতে।
সেখানে আমার হাজবেন্ডের পরিচিত এক ছোট ভাই রয়েছে। তাই আমরা টিকিট ছাড়াই সেখানে ঢুকতে পেরেছিলা। যদিও তার সাথে কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম। তারপর উনি বলল বাবুকে নিয়ে একটু ঘুরে আসতে। এজন্য এদিক সেদিক ঘুরলা। নিভৃত বেশ আনন্দ নিয়ে সবদিক ঘুরছি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবেশটা খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করতে পারিনি। তবে ডেকোরেশন টা অনেক বেশি সুন্দর হয়েছিল। সেখানে দেখলাম ওয়াটার রাইড ছিল। খুব সুন্দর করে বাচ্চারা সেখানে খেলছিল। নিভৃত পানি দেখে নেমে যেতে চাচ্ছিল। সে মূলত পানি দেখলে নিজের হুশ হারিয়ে ফেলে। আর সেখানে লাফানোর জন্য নেমে যেতে চায়।
যাইহোক যেহেতু পারবেনা সেজন্য সেখানে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করিনি। তারপর চলে গেলাম দোলনার দিকে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর আমরা বাইরে বেরিয়ে এলাম। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে এই মুহূর্তগুলো খুব ভালোভাবে উপভোগ করা হয়নি। তারপর আমরা ভেতরের একটা জায়গায় বসলাম। সেখানে গিয়েই খাবার অর্ডার করলাম। যদিও আগে অনেকবারই খাওয়া হয়েছে এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়েছে। তবুও ছবি তুলে রাখলাম ভাবলাম এগুলো স্মৃতি হিসেবে জমা হয়ে থাকবে। তবে সত্যি বলতে এখনকার কাবাবগুলো আগের মত টেস্ট হয় না।
যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে আমরা বাইরে বেরিয়ে এলাম এবং বাসায় চলে এলাম। বেশ অনেকদিন আগের একটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু সময়ের অভাবে তেমন বাইরে বের হয় না।বাচ্চারা বাইরে যাবার জন্য অস্হির থাকে। যাইহোক আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে বাচ্চারা এমন খোলা জায়গা পেলে আর কিছু লাগে। নিশ্চয় বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি হয় খাওয়া দাওয়া তাহলে একেবারে জমে যায়। আপু আপনি সবাই মিলে ঘুরতে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।