পুকুরে সেচ দিয়ে মাছ তোলা।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
গতকাল সকালবেলার কথা, যখন সবাই মিলে মাছ ধরায় ব্যস্ত ছিল। আসলে শীতকালের এই সময়টায় চারিদিকে এই সেচ দেয়া হয় বিভিন্ন রকম জায়গায়। যেহেতু এই সময়টা মাছ ধরা যায় এজন্যই আমাদের বাড়িতে তিনটা পুকুর বড় আছে এখানে সব সময় বেড় দিয়ে মাছ তোলা হয়ে থাকে। তবে মাঝে মাঝে পুকুরগুলো সেচ দিয়ে সম্পূর্ণভাবে সবগুলো মাছ উঠিয়ে নেয়া হয়। আর ঠিক তেমনি এই সময়টায় আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর একটা পুকুর সেচ দেয়া হয়। যেটাতে প্রচুর মাছ থাকে। যদিও ওই মাছগুলো কোনরকম ভাবেই চাষাবাদ করা হয় না। চাষাবাদ ছাড়াই এই মাছগুলো অন্যান্য জায়গা থেকে পুকুরে এসে জমা হয়।
গত তিন দিন যাবত পুকুরে সেচ দেয়া হচ্ছিলো কলের সাহায্যে। আর সেই থেকে সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছে পুকুর থেকে কি রকম মাছ উঠে। যেহেতু বন্যার কারণে সবগুলো পুকুর ভেসে গেছে তাই এখানে মাছ থাকার সম্ভবনা অনেক বেশি। যেমন ভাবনা তেমনি হলো।পুকুর সেচ শেষে মাছ ধরা শুরু হলো ভোরবেলা থেকেই।একদম দশটার মধ্যেই মাছ আনা শুরু হলো। আর তখন আমরা গিয়ে দেখি প্রচুর মাছ উঠেছে।শুধুমাত্র বিভিন্ন জাতের মাছগুলো উঠেছে। যেগুলো অন্যান্য এরিয়ায় চাষাবাদ করা হয়েছিল কিন্তু এগুলো বন্যার কারণে সব ভেসে গিয়েছে।
শোল, শিং, মাগুর মাছগুলো তেমন একটা পাওয়া যায়নি। কারণ পানি যখন একবারে শুকিয়ে মাছ ধরা শুরু করেছিল। যখন শেষের দিকে ধীরে ধীরে নিচ থেকে পানি উঠা শুরু করে দিয়েছিল তাই আর মাছগুলো ধরা হয় নি।আর নিচ থেকে পানি উঠার কারণেই মূলত এই মাছগুলো তেমন একটা ধরতে পারেনি। তাই আবার পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তবে অবশেষে এই এতগুলো মাছ ধরে নেয়া হয়েছে। সবগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া হচ্ছিল। কারণ অনেক কাদামাটিতে মাছগুলো ছিল বিধায় যখন ধুয়ে নিচ্ছিলো তখন অনেক বেশি সুন্দর দেখা যাচ্ছিল।
তারপর সবাই মিলে মাছ গুলো ভাগ করে নিয়েছিল। কারণ আমাদের বাড়িতে যতজন মানুষ, সবার আলাদা ভাবে ভাগ ছিল। আলাদা করে ভাগ করে নেয়ার মুহূর্ত টাই অনেক বেশী ঝামেলা হয়ে যায়। কারণ অনেকগুলো ভাগ করতে হয় এজন্য মূলত ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক অবশেষে আমাদের পুকুরটিতে এতগুলো মাছ উঠেছে দেখে বেশ ভালো লাগছে। মাছগুলো একদম ফ্রেশ ছিল। এখানে সবচেয়ে বেশি ছিল কার্ফু, রুই এবং গ্রাসকার্ফ। আবার আরেকটা মাছ ছিল সেটা হলো খইয়া মাছ। তার পাশাপাশি অন্যান্য মাছ গুলো কমবেশি ছিলই বেশ কিছু পাঙ্গাস মাছ উঠেছে দেখেছি ।
যাইহোক গতকালকের মাছ ধরার মুহূর্তটা দেখা হয়ে ওঠেনি। তবে মাছ ধরে নিয়ে আসার পর সবকিছু দেখেই তো বেশ ভালো লেগেছিল। বন্যার কারণে বিভিন্ন রকম মাছ উঠেছে। তবে আমাদের দেশীয় যে মাছগুলো এখানে পাওয়া যেত সেগুলো আর ধরা হয়ে ওঠেনি। হয়তোবা রমজান মাসের আগে আবারও সেচ দেয়া হবে। তখন না হয় আপনাদের মাঝে আবারো শেয়ার করব। তবে সবাই বেশ খুশি ছিল এত গুলো মাছ পেয়ে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এবার প্রচুর পরিমাণে মাছ পেয়েছে। তবে আমি মাছ ধরতে কবে দেখেছি সেটাই ভুলে গিয়েছি। যাই হোক আগামীবার মাছ ধরতে আমিও নামবো। ধন্যবাদ তোমাকে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বন্যার পানিতে পুকুর ঘাটে যাবার পরেও আপনাদের পুকুরে দেখেছি অনেক মাছ রয়েছে। মাছগুলো বেশ বড় বড় আর খুবই সুন্দর। আমাদের এলাকাতেও এই সময়টাতে সব পুকুরের পানি সেচ দেওয়া হয়। তাই এখন মাছের দামও কম। আপনার পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
একটি পুকুরে অনেকের ভাগ থাকলে এই সমস্যাটা সব বাড়িতেই হয়ে থাকে। আমার মাকে দেখতাম মাছ ভাগ করতে । আর এ বাড়িতে তো ধন্দুমার কাণ্ড হয়ে যায় তবে আমি কখনো দেখিনি শুনেছি মাত্র৷ তবে আপু আপনাদের পুকুরে কিন্তু প্রচুর মাছ উঠেছে সে কারণেই আমার মনে হচ্ছে সবাই পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছই পেয়েছে।
বেশ অনেকগুলো মাছ ধরেছেন দেখলাম। মাছ ধরার এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে ভালো লেগেছে। আগের গ্রামের বাড়িতে থাকলে বেশি বেশি মাছ ধরা দেখতাম। যাহোক আমি এখন চেষ্টা করব গ্রামে গেলে মাছ ধরা ফটো ধারণ করতে।