ভ্রমণ-:চিড়িয়াখায় ঘুরাঘুরি করার মুহুর্ত। পর্ব-১
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
ডিসি পার্কে ঘোরাঘুরি করার অনেকগুলো মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। তবে একটা পর্ব লাস্ট শেয়ার করার কথা ছিল সেটা ছিল পেইন্টিং প্রদর্শনীর ছবিগুলো। কিন্তু সেগুলো কোথায় রেখেছে নিজেই খুঁজে পাচ্ছি না তাই দুর্ভাগ্যবশত সেই ছবিগুলো এবং মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারছি না। তবে আজকে আবার শেয়ার করব সেখান থেকে চিড়িয়াখানায় যাওয়া এবং সেখানে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো। ভ্রমণের প্রত্যেকটা মুহূর্তই ছবিতে ক্যাপচার করা আছে। আর সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে ভালো লাগে। আজকে সেখানে যাওয়ার প্রথম দিকের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করব।
ডিসি পার্ক থেকে আমরা সরাসরি চিড়িয়াখানায় গেলাম। সেখানে গাড়ি পার্কিং করার পরে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। সেখানে খাওয়া দাওয়ার মেনু ছিল খিচুড়ি। সবার জন্যই চিকেন কিছু অর্ডার করা হয়েছিল। যদিও খেতে ভালোই লেগেছিল কারণ দুপুরবেলা সবার খুব বেশি ক্ষিদা পেয়েছিল। আর খাওয়ার যেহেতু তাড়াতাড়ি পেয়ে গিয়েছে তাই সবাই তাড়াতাড়ি করে খেয়ে আবার বাইরে বের হয়ে গেল। কেননা ঘোরাঘুরি করার জন্য পুরো জায়গাটা এখনো বাকি। আর চিড়িয়াখানার পুরো এরিয়াটাও অনেক বড় আর সেটা এক পর্বে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই ভাগে ভাগে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
খাওয়া দাওয়া করে বের হতে চিড়িয়াখানার দিকে যেতে যেতে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে প্রকৃতি এত সুন্দর সেখানে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। এখানে অনেকগুলো গাছের ছবি শেয়ার করলা।ম খুব সুন্দর লাগছিল জায়গাটা। যেতে যেতে চিড়িয়াখানার বাইরে দেখলাম অনেকগুলো ময়ূরের পালক নিয়ে কিছু মহিলা বসে আছে। আর এদিকে আমাদের টিকেট কাটা হচ্ছে।জনপ্রতি টিকিটের দাম ছিল ৭০ টাকা করে। যাই হোক আমরা অনেকজন ছিলাম তাই টিকিট কাটার পর সবাই মিলে ভেতরে ঢুকলাম।
ঢুকতেই দেখলাম চিড়িয়াখানার স্থাপত্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যেগুলো বিশাল আকারে এখানে লেখা হয়েছে। যদিও আমার পড়ার সময় হয়নি কারণ এত বড় লেখা দাঁড়িয়ে পড়তে পড়তে তো সময় চলে যাবে। যাই হোক এর জন্য ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর এদিক সেদিক হাটাহাটি করলাম। অনেক বড় বড় খাঁচা ছিল সেখানে।অনেক রকমের পশুপাখি ছিল। প্রথমদিকে বেশ কিছু মোরগের ছবি দেখলাম। পাশে একটি খাঁচায় অন্য রকমের বন মোরগ, খরগোশ, বানর ইত্যাদি ছিল। যেগুলো বড় বড় খাঁচায় বন্দী। আমাদের পাশাপাশি আরও অনেক লোক সেখানে ছিল।
এখানে আলাদা আলাদা করে খাঁচাগুলো তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ বড় একটা খাঁচার মাঝখানে পার্টিশন হিসেবে তারের বেড়া দেয়া হয়েছে। তারপরে পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের পশুপাখি সেখানে রাখা হয়েছে। এক পাশে দেখলাম বেশ কয়েকটা ময়ূর ছিল। যদিও ময়ূরগুলো উপরে দাঁড়িয়ে ছিল। এখানে কিছু লোক পরিচর্যা করছিল। যাই হোক এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করে প্রথমে এই ছবিগুলো তুলে নিলাম।আর আজকে এগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে অনেক রকমের ছবি তোলা হয়েছে। সে প্রত্যেকটা ছবি আপনাদের মাঝে ধীরে ধীরে শেয়ার করব। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
পোস্টের বিবরণ
ধরন | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M12 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
❤️🫶❤️
https://x.com/bristy110/status/1901141501817532473
আপনার ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর।বিশেষ করে ময়ূর এর ছবিগুলো দারুন দোখতে লাগছে।পাশাপাশি খরগোশ এর ছবিটাও।সময় সুযোগ হলে দেখে আসবো ইনশাআল্লাহ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ময়ূরগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল।
আগের পর্বগুলো হয়তো সবগুলো আমার পড়া হয়নি। তবে কয়েকটি পর্ব বলেছিলাম। ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত বেশি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। আজকের পর্ব বেশ চমৎকার হয়েছে। ডিসি পার্কে ঘোরাঘুরি শেষ করে সরাসরি চিড়িয়াখানায় গিয়ে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ডিসি পার্কের তো অনেকগুলো পর্বে শেয়ার করেছি আপু। যাই হোক আজকের পর্ব টা পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে।
আমাদের বাংলাদের চিড়িয়াখানা খানা গুলো আরেকটু উন্নত করা দরকার। বহু আগে যেমন ছিল এখনো তেমনই আছে। যায়হোক আপনার প্রথম পর্ব পড়লাম। দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা। ধন্যবাদ।
আগের থেকে কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে ভাইয়া। সেগুলোও পর্ব আকারে অবশ্যই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
চিড়িয়াখানাতে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম। তবে নিভৃত একটু বিরক্ত করছিল সেজন্য একটু খারাপ লেগেছে আমার কাছে। নিভৃত এর ও কি দোষ দেবো এত সময় একটা জায়গাতে থাকলে খারাপ তো লাগবেই। ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সারাদিন যাবতই তো সে জার্নি করেছে। এজন্য বিরক্ত করেছে। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
আসলে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। কেননা চিড়িয়াখানায় গেলে অনেক ধরনের পশু প্রাণির সাথে দেখা হয়ে যায়।আর এই সব পশু প্রাণির সাথে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি চিড়িয়াখায় ঘুরাঘুরি করার মুহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
চিড়িয়াখানায় জানা অজানা অনেক কিছুই থাকে। যেগুলো দেখতেও ভালো লাগে।
আপনার আজকের ভ্রমণের উপস্থাপনাটা সত্যিই দারুণ লেগেছে ।ডিসি পার্কের সৌন্দর্য উপভোগের পর সরাসরি চিড়িয়াখানায় কাটানো মুহূর্তগুলো নিশ্চয়ই আরও আনন্দদায়ক ছিল। আপনার বর্ণনায় যেন পুরো ভ্রমণটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো।এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী আপু পুরো মুহূর্ত গুলোই খুব বেশি আনন্দময় ছিল। যেগুলো পর্ব আকারে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিতে ভালো লাগে।