ঘরের পাশের সবজি বাগান।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে ভিন্ন একটি বিষয় নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভিন্ন রকম পোস্ট শেয়ার করতে এসেছি।আজকের পোস্টে আপনারা দেখতে পাবেন আমাদের ঘরের পাশে থাকা ছোট্ট একটি সবজি বাগানের গল্প। বর্তমানে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে রয়েছি। সেই হিসেবে এখানেই সবচেয়ে বেশি থাকা হয়। আর সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ঘরের পাশের জায়গাতে কিছু সবজি করা হয়েছে। যেগুলো আমার শাশুড়ি এবং আমার হাজব্যান্ড দুজনে মিলেই করেছেন। আমার হাজব্যান্ড তার অবসর সময়গুলোতে গাছপালার সেবা যত্ন করতে পছন্দ করে। যে প্রায় সময় নার্সারিগুলোতে যায় নার্সারি থেকে বিভিন্ন রকমের গাছ নিয়ে আসে। যাই হোক চলুন আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করি।
![]() | ![]() |
---|
পূর্বে আমার শাশুড়িদের ঘরের পরিমান যতটুকু ছিল বর্তমানে আরো কিছু অংশ অংশ নিয়ে বাড়ানো হয়েছে। আর সেই হিসেবে পাশে কিছুটা জায়গা খালি রয়েছে। ঘরের দক্ষিণ পাশের জায়গাটা খালি থাকার কারণে সেখানে একটা ভিটির মত জায়গা রয়েছে। অনেকগুলো গাছ রোপন করার মত জায়গা। জায়গাটা যেহেতু খালি সে হিসেবে গত বছর থেকে এখানে বিভিন্ন রকম শাক সবজি রোপন করা হয়। এখানে রয়েছে লাউ, কুমড়া, মুলা, পালং শাক, লাল শাক, বেগুন, মরিচ, টমেটো, বরবটি, সিম। শাক সবজির মধ্যে এই গাছগুলো করা হয়েছে।
এখানে যে বেগুন গাছগুলো রয়েছে সেগুলো ভিন্ন জাতের। তবে আমেরিকান জাতের বেগুন গাছ নিয়ে আসা হয়েছিল যেগুলোর বেগুনগুলো বড় আকারের। আমার বাংলা ব্লগে কিছুদিন আগে যে সবজি নিয়ে কনটেস্ট হয়েছিল সেখানে আমি বেগুন দিয়ে রেসিপি করেছিলাম। আর সেই গাছ থেকে তিনটি বেগুন পেড়ে নিয়েছিলাম। পাশেই ছিল পালং শাক, তার পাশাপাশি ধনেপাতা সবকিছুই ছিল। যদিও গাছগুলো অল্প ছিল। অল্পস্বল্প পরিসরে করা হয়েছে। মোটামুটি এখানে যতগুলো সবজি হয়েছে সবগুলোই আমাদের নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারে।
![]() | ![]() |
---|
মাঝেমধ্যে বাজার থেকে কেনা হয়ে থাকে বাড়তি সবজি গুলো। কিন্তু এখানে যে শাকসবজি রয়েছে সেগুলো আমাদের প্রতিদিন খাওয়া চলে। এইতো গতদিনও গাছ থেকে শিম,বেগুন আর কুমড়ো শাক রান্না করা হয়েছে। বিশেষ করে বাড়িতে যদি এরকম জায়গা থাকে সেখানে ছোট পরিসরে শাকসবজি গাছ লাগিয়ে দিলে নিজেদের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তার পাশাপাশি একদম তাজা খাবার খাওয়া যায়। এইতো শীতকালীন সময়ে মোটামুটি অনেকগুলো সবজি আমরা ভালোভাবে খেতে পেরেছি।যদিও সবকিছুর ছবি আমার তোলা হয় নি,যা যা তুলেছি তাই দিলাম।তাছাড়া এখন অনেক গাছ মারা গিয়েছে,সিজন শেষ।
এগুলো একদম ফ্রেশ সবজি বলা যেতে পারে নিঃসন্দেহে। শুধুমাত্র ঘরের পাশে যে এই সবজির ক্ষেত করা হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমাদের ছাদের উপরেও মোটামুটি কিছু টবের মধ্যে গাছ লাগানো হয়েছে।প্রায় ২৬টি টব । অবশ্য সেগুলো বেশিরভাগ নার্সারি থেকে চারা এনে লাগিয়েছে।সেই বিষয় নিয়ে অন্য একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের মত এতটুকুই। গাছ লাগান পরিবেশ বাচান এবং নিজেদের চাহিদা মেটান কথাটা বলে আজকে আমার পোস্ট শেষ করতে চাই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | সবজি বাগান |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ঘরের পাশে সবজি বাগানে দেখছি অনেক সবজি চাষ করেছেন আপনারা। আসলে এই ধরনের সবজি চাষ করলে অবসর সময়টা ভালোভাবে কাটানো যায় আবার একই সাথে সবজির চাহিদা ও পূরণ করা যায়।
জি ভাইয়া আসলে এই ধরনের সবজি চাষ করলে অবসর সময়টা ভালোভাবে কাটানো যায় আবার একই সাথে সবজির চাহিদা ও পূরণ করা যায়।
আপু আপনার শাশুড়ি এবং আপনার হাজব্যান্ড মিলে দারুণ সবজি বাগান করেছেন। আসলে নিজের বাগানের সবজি খাওয়ার আনন্দই আলাদা। বাজার থেকে হয়তো সবজি সব সময় কেনা যায়। কিন্তু নিজের বাগান থেকে যদি অল্প সবজিও পাওয়া যায় সেগুলো খাবার মাঝে তৃপ্তি আছে। ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
একদম ঠিক বলেছেন নিজের বাগান থেকে যদি অল্প সবজিও পাওয়া যায় সেগুলো খাবার মাঝে তৃপ্তি আছে।
আসলে একটু চেষ্টা করলেই পরিত্যক্ত জমিতে সবজি চাষ করে নিজেদের পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। আপনার শ্বশুরবাড়ির এই বাগান দেখে মনটা ভরে গেছে। আমেরিকান জাতের বেগুন বেশ বড় হয় মনে হয়। অনেকগুলো সবজির গাছ দেখলাম, দারুন ছিল পোস্টটি।
জি ভাইয়া আমেরিকান জাতের বেগুন বেশ বড় হয়।
আমি মনে করি সবাই সবার বসতবাড়ির আঙিনায় এরকম ছোটখাটো কিছু সবজি বাগান করলে অনেক বেশি উপকৃত হবে। একদিক থেকে ফরমালিনমুক্ত তরতাজা শাকসবজি খেতে পারবে। অন্য দিক থেকে দেশের উপকার হবে। ধন্যবাদ সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য ।
জি আমিও মনে করি একদিক থেকে ফরমালিনমুক্ত তরতাজা শাকসবজি খেতে পারবে। অন্য দিক থেকে দেশের উপকার হবে।
জি আমিও সেটা মনে করি, আর সেজন্যই তো শাকসবজি করা ধন্যবাদ
আপনার শাশুড়ি এবং হাজব্যান্ড দুজনে মিলে খুব সুন্দর সবজি বাগান করেছে। এখানে সবজিগুলো খুবই সুন্দরভাবে ধরেছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু শাশুড়ি এবং হাজব্যান্ড দুজনে মিলেই এই সুন্দর সবজি বাগান করেছে।
আসলে এই সবজি বাগানটা কিন্তু অনেক বড় দেখতে। আপনারা অনেক রকমের সবজি গাছ রোপন করেছেন এই বাগানটিতে আমি দেখেছি। আজকে সেই সবজিগুলোর সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট লিখেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। এভাবে বাড়িতে বিভিন্ন রকম সবজি গাছের রোপন করলে ফরমালিন মুক্ত সবজি পাওয়া যায়। আপনার আজকের সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
ঠিক ভাইয়া এভাবে বাড়িতে বিভিন্ন রকম সবজি গাছের রোপন করলে ফরমালিন মুক্ত সবজি পাওয়া যায়।
গাছ লাগাতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। ঘরের পাশে খুব সুন্দর একটি সবজি বাগান করেছে। নিজেদের গাছের সবজিগুলো খাওয়ার মজাটাই আলাদা। এরকম নিজেদের গাছের সবজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার সবজি বাগানের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্য
জি আপু নিজেদের গাছের সবজিগুলো খাওয়ার মজাটাই আলাদা।
খুব ভাল লাগলো আপু আপনাদের সবজি বাগান দেখে। ভাইয়া আর আন্টি মিলে দারুন যত্ন নেয় বলতে হবে।এবার রোজায় বেগুনি নিজের গাছের বেগুন দিয়েই করতে পারবেন।খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এবার রোজায় বেগুনি নিজের গাছের বেগুন দিয়েই করতে পারবো।