ঈদের দিনে কাটানো কিছু মুহূর্ত এবং সামান্য আয়োজন।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
ঈদ মুসলমানদের একটি বড় আনন্দের দিন। বছরে দুইটি ঈদ হয়।ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। রমজান মাস শেষে ঈদুল ফিতর আসে। এই দিনটি সবার জন্য আনন্দ ও ভালোবাসার প্রতীক।ঈদের দিন সকালেই ছেলেরা সবাই ফ্রেশ হয়ে, নতুন জামা পরে ঈদের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে একে অপরকে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়। এদিকে মেয়েদের কাজ হয় রান্না বান্না। বাড়িতে নানা রকম খাবার তৈরি হয়।সেমাই, পোলাও, মাংস,বিরিয়ানীসহ অনেক মজাদার খাবার। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই একে অপরের বাড়িতে যায়, দেখা করে, গল্প করে ও একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে।
বিশেষ করে শিশুদের জন্য ঈদের দিন খুবই আনন্দের। তারা নতুন জামা পরে, আত্মীয়দের কাছ থেকে ঈদের সালামী পায় এবং খেলাধুলা করে দিনটি উপভোগ করে।এই সালামী পাওয়ার বিষয়টা কিন্তু খুবই আনন্দের।ছোটবেলায় ঈদের আসল মজা সালামী পাওয়ার মধ্যে।আর বড়রা তো সালামী দিতে দিতেই হয়রান,হাহাহা।ঈদের দিন মানুষ ভেদাভেদ ভুলে একসাথে আনন্দ ভাগ করে। এটি শান্তি, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা নিয়ে আসে। তাই ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি মানুষের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলার একটি দারুণ সুযোগ।
এবারের ঈদটা গত ৩ বছরের ঈদ থেকে মোটামুটি ভালোভাবেই কেটেছিল।কোনো ঝামেলা বা অশান্তি হয় নি এজন্যই। যাইহোক সেই কথায় না যাই।তবে ভালোভাবে ঈদ কাটাতে পেরেছি এটাই আনন্দের।ঈদের দিন একদম ভোরে উঠে গিয়েছিলাম।যদিও রাতে ঘুমাতে ৩টা পার হয়ে গিয়েছিল। তবুও একদম ভোরে উঠে গিয়েছি।কারণ নাস্তা, রান্নাবান্না সবকিছু আমার একার দায়িত্বে ছিল।এই বছর শাশুড়ী ছুটিতে ছিল।সব আয়োজন আমি একাই করেছিলাম।আসলে নিভৃত এখন কিছুটা বড় হয়ে গিয়েছে। আর ও সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘুমিয়েছিল সেদিন। তাই নাস্তার কাজটা আগেই করতে পেরেছি।
নাস্তা শেষ করেই বাকি কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম।আমি খুব বেশি কিছু করি নি।কারণ কোনো মেহমান ঈদের দিন তেমন আসে না।শুধুমাত্র বাড়ির কিছু লোকজন এসে ঘুরে যায়। আর এজন্যই খুব বেশি আয়োজন করতে হয় না।আগের দিন পুডিং বানিয়ে রেখেছিলাম। আর সকালে করেছিলাম চিকেন-ভেজিটেবল নুডলস আর বিরিয়ানী।সাথে ফ্রোজের রোল ছিল। সেটা আগেই তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম।এই সামান্য কিছু আয়োজন করেছি তাই ৯টার মধ্যেই আমার রান্না শেষ হয়ে গিয়েছিল।নিভৃতের জন্য আলাদা করে নুডলস করেছিলাম।সেদিন সকালের নাস্তায় সে নুডলস খেল।।
এরপর তাকে গোসল করিয়ে রেডি করিয়ে দিলাম। নিজেও গোসল করে নিলাম।আসলে এই মুহূর্তগুলো কতটা আনন্দের সেটা শুধুমাত্র ঈদের দিনই বোঝা যায়।কিন্তু এই ঈদের আমেজ এখন ২-৩ দিনের বেশি থাকে না।যাইহোক রান্নাবান্না আগেই শেষ করে ফেলেছিলাম ঠিকই। কিন্তু খাওয়ার আর ইচ্ছে হচ্ছিলো না।কারণ রোজা ভাঙ্গার পর আসলে খেতে ইচ্ছে করে না।তাই রেডি হয়ে বাড়ির সবার সাথে দেখা করে আসলাম।এদিকে নিভৃত আর ওর আব্বু খাওয়াদাওয়া করে বেরিয়েছিল তার ফুফুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাবা ছেলে দুজনেই তাদের ফুফুদের সাথে দেখা করে এসেছিল।
এদিকে আমিও রেস্ট নিচ্ছিলাম।আসলে ঈদের দিন সারাক্ষণ রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকলে ঈদের আমেজটা কেমন যেন হয়ে যায়।তাই যথাসম্ভব কাজ আগেই করে রাখি। আর কিছু মেহমান এসেছিল, তাদেরও আপ্যায়ন করলাম।যদিও সবাই বাড়ির লোকজন ছিল তবুও খুব ভালো লাগে এভাবে ঈদের দিন পরিচিত মানুষগুলো একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখলে।যাইহোক এভাবেই সেদিনের মুহূর্তগুলো কেটে গেল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Task 4
https://x.com/bristy110/status/1908923435809714459
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুণ একটি ঈদ পালন করলেন।আপনার পোস্টে যতগুলো খাবার গুলো সব গুলোই লোভনীয় এবং পুডিং টা আমার নিজের খুব পছন্দ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Task 1
https://x.com/bristy110/status/1908906950513107089
Task 2
https://x.com/bristy110/status/1908920552347021683
Task 3
https://x.com/bristy110/status/1908922704755142797
বুঝাই যাচ্ছে যে আপনি ঈদের দিনে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। সত্যি বলতে ঈদ আমাদের জন্য ভিন্ন রকমের আমেজ নিয়ে আসে। আর এই ঈদ কে ঘিরে আমরা সবাই পরিবারের জন্য কত রকমের আয়োজন করি তার হিসেব নেই। দারুন সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু।
জি আপু ঈদের দিনটা বেশ ভালো কেটেছিলো।
ঈদের দিন মানে খুশির দিন আর আনন্দের দিন। সবাই চাই পছন্দের খাবার গুলো খেতে। আপনি তো অনেক কিছু আয়োজন করলেন আপু ঈদের দিন। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। খাবার গুলো দেখে কিন্তু জিভে জল চলে আসলো খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে।
খুব বেশি কিছু তো করতে পারিনি। সামান্য আয়োজন করলাম।