৭টি ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে আজকের ব্লগ।রেনডম ফটোগ্রাফি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
পোস্ট ভ্যারিয়েশন এর ভিত্তিতে বিভিন্ন রকম পোস্ট প্রতিনিয়তই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি। আর ঠিক তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য চলে এলাম। আসলে ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগে। তার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতেও খুব ভালো লাগে। আপনাদের উৎসাহ পেয়েই মূলত এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসি। আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এগুলো হলো কিছু চিড়িয়াখানায় তোলা আর কিছু ডিসি পার্কে তোলা।
আসলে ঘুরাঘুরি করতে এবং মুহূর্তগুলো ক্যাপচার করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আর সেখানে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি জমা হয়ে থাকে। যেগুলো বিভিন্নভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।যেমন আজকে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে খুবই ভালো লাগে।কারণ বিভিন্ন জায়গায় ছবি দেখলে বিভিন্ন স্মৃতি মনের মাঝে ধরা দেয়। আর এই স্মৃতিগুলো মনে করতেও ভালো লাগে। যাইহোক কথা আর না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আমার আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্টটা।
আর্টিফিশিয়াল ফুল
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy M12
এখানে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ফুল। যেগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে। আসলে বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ফুলগুলোর এত বেশি চাহিদা যে প্রত্যেকটা গৃ্হসজ্জার দোকানে ফুল গুলো পাওয়া যায়। এগুলো ঘর সাজানোর সৌন্দর্যের পাশাপাশি যে কোন ডেকোরেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ছবিটা তুলেছিলাম চিড়িয়াখানার বাইরে থেকে। সেখানে কিছু দোকান রয়েছে যেখানে এইরকম অনেক সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছিল। সেখান থেকে অনেক ছবি তুলেছিলাম ভাবলাম একটা ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক।
মাটির ব্যাংক
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy M12
এই ছবিটাও সেখান থেকে তোলা। আসলে অনেক অনেক মাটির তৈজসপত্র সেখানে বিক্রি করা হচ্ছিল। দেখেই ভালো লাগছিল। আসলে মাটির জিনিসপত্রগুলোর প্রতি আলাদা একটা টান রয়েছে। সেখানে চিনামাটির জিনিসপত্রও রয়েছে। এই ব্যাংকটা দেখে আমার কাছে খুব সুন্দর লাগছিল। অনেক দূরের পথ না হলে ব্যাংকটা নিয়ে নিতাম আমি। কারণ মাটির ব্যাংকের প্রতি আমার খুব ভালোলাগা কাজ করে। ছোটবেলা থেকেই আমি মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু বর্তমান সময়ের মাটির ব্যাংকগুলো তেমন একটা পাওয়া যায় না।
ময়ূরের পালক
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy M12
আগে যখন মেলায় যেতাম তখন ময়ূরের পালক কিনে নিয়ে এসে বইয়ের মাঝে রেখে দিতাম বাচ্চা ফুটানোর জন্য,হাহাহা। যদিও এর কোন ভিত্তি নেই তবুও সবাই করতো তাই আমরাও করতাম। চিড়িয়াখানার বাইরে দেখলাম কিছু মহিলা এরকম ময়ূরের পালক গুলো নিয়ে বসে আছে। অনেকগুলো ময়ূরের পালক একসাথে দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল। যদিও কেনা হয়নি, শুধুমাত্র ছবি তোলা হয়েছে।
সোয়াম্পেন
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy M12
এখানে দুটি সোয়াম্পেন পাখি ছিল যেগুলো দেখতে অনেকটা মুরগীর মত লাগছিল। কিন্তু একদম ভিন্ন রং ভিন্ন ডিজাইনের দেখতে হয়েছিল। এখানে দুটো পাখি ছিল। একটা পাখি মনে হয় ডিমে তা দিচ্ছিলো। এজন্যই খাঁচার মধ্যে বসেছিল। বাকি পুরুষ পাখিটা হয়তোবা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। আসলে এই ছবিগুলো অনেক দূর থেকে নেয়া হয়েছিল। কারণ কাছ থেকে নেওয়ার কোন ওয়ে ছিল না। পাখিগুলোর রংয়ের কারণে এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
মেলাম্পডিয়ান
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy A12
এই ফুলগুলোকে দেখতে অনেকটা ছোট ছোট গাঁদা ফুলের মতোই দেখতে লাগে। তবে এগুলো গাঁদা ফুল নয়। এর নাম হলো মেলাম্পডিয়ান। এই ছবিটা তুলেছিলাম গত বছর ডিসি পার্ক থেকে। ডিসি পার্কের অনেক অনেক ছবি এখনো বিদ্যমান। যেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। ভ্রমণ পোস্টে সবগুলো ছবি শেয়ার করা যায় না। এজন্য ভাবলাম মাঝে মাঝে রেনডম ফটোগ্রাফি তে আপনাদের মাঝে এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেব।
ডালিয়া
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy A12
এটাও ডিসি পার্ক থেকে তোলা ছবি। এই ফুলটা সবাই চেনেন। এটা হল ডালিয়া ফুল। ডালিয়া ফুলের বিভিন্ন রকম জাত রয়েছে। যেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। এই ভিন্ন জাতের হলুদ রঙের ডালিয়া ফুলটি আমার ভীষণ পছন্দের। কারণ এর পাপড়ি গুলো একদম আলাদা রকম হয়ে থাকে। এগুলো নির্দিষ্ট কোন সাইজ থাকে না। এগুলো অনেক বড় প্রজাতির ডালিয়া ফুল। বাগানের এক কোণে যদি ডালিয়া ফুলগুলো লাগানো হয় তখন সেই কোণাটাই সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে ওঠে।
হরিণ
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy A12
সর্বশেষ যে ফটোগ্রাফিতে শেয়ার করলাম এটা হল চিড়িয়াখানায় তোলা ছবি। চিড়িয়াখানার নিচের দিকেও অনেক রকমের পশু পাখি রয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন রকম পশুপাখির ছবি তুলেছিলাম। এটা হল হরিণের ছবি। হরিণ গুলো যদিও একদম ছোট ছোট কারণ এগুলোর শিং ছিল না। অন্যান্য হরিণগুলোর যদিও শিং ছিল তবে সেগুলো অন্য জায়গায় ছিল। ছোট ছোট এই হরণগুলো বেশ ভালোই লাফালাফি করছিল দেখলাম। তাই ভাবলাম একটা ছবি তুলে নেই। সেই একটা ছবিই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
পোস্টের বিবরণ
ধরন | রেনডম ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M12 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। বিভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি কিন্তু অনেক দারুন ছিল। আমার কাছে আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফির মধ্যে থেকে ফুলের ফটোগ্রাফি সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে দেখে। এরকম চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় ইচ্ছে করে দেখতে।
ফটোগ্রাফি করতে আর সবার মাঝে এভাবে শেয়ার করতে খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
কেন জানি আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো হতে চোখ ফেরাতে পারছি না। আপনি বেশ দারুন করে আজকের প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে কিন্তু প্রতিটি ফটোগ্রাফিই অসাধারন লেগেছে।
তাই নাকি আপু,এত ভালো লেগেছে শুনে তো আমার খুব আনন্দ লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
https://x.com/bristy110/status/1891719821173121106
খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম আজকে তোমার রেনডম ফটোগ্রাফি অ্যালবামে। আসলে রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি একসাথে দেখতে পাওয়া যায় যেটা সাধারণত এই এলবাম এ আমরা শেয়ার করে থাকি। যাই হোক ধন্যবাদ তোমাকে যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে এই ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপন করার জন্য ভালো থেকো।
তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য। ভালো থেকো।
আলাদা আলাদা ফটোগ্রাফি দিয়ে আপনি আপনার ফটোগ্রাফি ব্লগটি সাজিয়েছেন আপু। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আলাদা আলাদা ফটোগ্রাফি মানেই ভিন্ন রকম অনুভূতি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ভীষণ ভালো লাগলো।আজকাল আর্টিফিশিয়াল ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই এগুলো ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। আপনার মত আমিও মাটির জিনিস খুব পছন্দ করি। আমি এখনো মাটির ব্যাংকে টাকা রাখি। এটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তরমুজের মতো তৈরি করা মাটির ব্যাংকটি বেশ ভালো লাগলো। বাকি ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে আপু। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আর্টিফিশিয়াল ফুলগুলো মানুষ ভীষণ পছন্দ করে, দেখতেও ভালো লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সোয়াম্পেন পাখি গুলো আগে কখনো দেখা হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফিতে নতুন একটা জিনিস দেখে ভালো লাগলো। ময়ূরের পালক এবং আর্টিফিশিয়াল বনসাই গাছের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
সোয়াম্পেন পাখি সেদিনই চিড়িয়াখানায় দেখেছিলাম।দারুণ দেখতে এগুলো।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে প্রতিটি ব্লগারের উচিত পোস্ট ভ্যারিয়েশন মেইনটেইন করা। যাইহোক রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখার মজাই আলাদা। কারণ একটি পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হয়। আর্টিফিশিয়াল ফুল গুলো দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন একদম।পোস্ট ভ্যারিয়েশন দেখলে পড়তেও ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি দিয়ে আজ চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার বর্ননার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে আমার কাছে।ফুল,পাখি আর বিশেষ করে মাটির ব্যাংক তরমুজের ফটোগ্রাফি দেখে আরো বেশী ভালো লেগেছে আমার।আমি ছোট সময়টাতে ফলের এমন ব্যাংক গুলো সংগ্রহ করতাম।আমার ভীষণ ভালো লাগতো।ফলের মধ্যে পয়সা রাখা যায়, কি আশ্চর্য বিষয় তাই না! এখন অবশ্য অবাক হই না।
ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে আপু। আর আপনাদের মাঝে তো শেয়ার করতে আরো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।