আল্লাহর রহমত আর নেয়ামত দুটোই পেলাম,আলহামদুলিল্লাহ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
সত্যি বলতে দিনগুলো কত দ্রুত চলে যাচ্ছে সেটা আসলে টের পাওয়াই যাচ্ছে না। এইতো যেন গত কিছুদিন আগেই আমার ছেলেটার জন্ম হয়েছিল। এখন দেখতে দেখতে ও চার বছর অতিক্রম করে ফেলতেছে। সময়গুলো এত দ্রুতই অতিবাহিত হচ্ছে। তার শৈশবটা এত দ্রুত কেটে যাচ্ছে সেটা ভাবতেই যেন কষ্ট হচ্ছে। কারণ এই সময়গুলো হয়তো আর ফিরে পাবো না। ধীরে ধীরে জীবনটা এগিয়ে যাচ্ছে শেষ সময় দিকে। যাই হোক এভাবেই তো জীবন অতিবাহিত হবে। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের ফ্যামিলিতে আসা রহমতের কথাই বলতে চাচ্ছিলাম।
টাইটেলটা নিশ্চয়ই দেখেছেন হয়তো অনেকেই ভাবছেন কি বলতে চাচ্ছি। যাইহোক বিস্তারিতভাবে আজকে বলবো। বেশ কিছুদিন যাবত এই পোস্টটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব করেও করা হচ্ছে না। আসলে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে অন্যান্য কাজগুলো করতে করতে একটু সময় নিয়ে যে পোস্টটা তৈরি করব সেটাই হচ্ছিল না।শুনেছিলাম আল্লাহ যার উপর খুশি হয় তাকে ছেলে সন্তান দান করে, আর যাকে খুশি করতে চান তাকে মেয়ে সন্তান দান করে। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমি ছেলে এবং মেয়ে দুই সন্তানের জননী।
গত ১৬ ই সেপ্টেম্বর রাত ২টো তারিখ হিসেবে ১৭ তারিখ হয়, যেদিন আল্লাহ তাআলা আমার কোলে তার রহমত পাঠিয়েছেন। অনেকেই তো ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। তবে এই বিষয়টা অনেকের কাছেই অজানা। ইতিমধ্যে অনেকেই জানতেন আমি গত একটা বছর ধরেই প্রচন্ডই অসুস্থ ছিলাম। থাইরয়েডের অসুস্থতার কারণে মূলত বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবুও আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল বিধায় এত সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করে আমি একটা মেয়ে উপহার পেয়েছি আল্লাহতালার কাছ থেকে।
বিগত সময় গুলো কোনটাই সুখকর ছিল না। বিভিন্ন রকম মানসিক চাপ, ফ্যামিলি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে অসুস্থতা সবকিছুই আমাকে অনেক বেশি বিভ্রান্ত করে রেখেছিল। সময় গুলো কিভাবে কেটেছে সেটা শুধু আমি ভালো জানি। সুস্থতা এবং অসুস্থতা সবকিছুই আল্লাহর নিয়ামত। তবুও একটা বিষয় না বললেই নয়। পুরোটা সময় জুড়ে আমাদের আশেপাশের মানুষগুলোকে এত ভালভাবে চিনতে পেরেছি যেটা জীবনের চরম শিক্ষার একটা পর্যায়ে পড়েছে। যাদেরকে একটা সময় আপন ভেবে জীবনের সব স্বার্থ ত্যাগ করে তাদের জন্য আন্তরিকতা দেখিয়েছিলাম। তারাই এখন পিছনে ছুরি মারতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। এমনকি এমন এমন আঘাত তারা করেছে যেটা কখনোই ভুলা সম্ভব নয়।
এমন প্রতিকূলতা উপেক্ষা করার পরও মানসিক ভাবে অনেক বেশি অস্বস্তিতে ছিলাম। সব অসুস্থতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আমাদের নিভৃতের আদরের একটা ছোট্ট বোন দুনিয়াতে এলো। এই সময়টায়ই কিন্তু অনেককেই চিনে গিয়েছি। আসলে এসব কিছু বা যেকোনো পরিস্থিতি বোঝার জন্য কোন না কোন উছিলার প্রয়োজন হয়। আর সেই সময় গুলোই আমাদের মনে ভালো ভাবে গেঁথে যায়। আর এটাই শিক্ষা দিয়ে যায় বর্তমান সময়ে পরের উপকার করতে নেই,কারণ পরবর্তীতে দোষী নিজেকেই হতে হবে।
যাই হোক আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল বিধায় ক্রিটিকাল অবস্থা থাকার পরও আমাদের মেয়েটা সুস্থ ভাবে দুনিয়ায় এসেছে এবং আমিও মোটামুটি সুস্থ ছিলাম। আল্লাহ রাসুলের রহমত না থাকলে হয়তোবা এই অবস্থায় কোনোভাবেই ভালো কিছু আশা করা যেত না। যাইহোক এটার বিস্তারিত না হয় নাই বললাম। কারণ সবকিছু সবসময় খোলাসা করা যায় না। কিছু অনুভূতি এবং কিছু তিক্ততা মনের মাঝে রাখা ভালো। কারণ এর বিপরীতে সব সময় মানুষগুলোকে ভালোভাবে চেনা যায়।
গত শুক্রবার আমার মেয়ের নাম রেখেছি। মেহরিন নাজাত নুরাইফা। তবে আমার ছেলেটা কিন্তু ভীষণ খুশি। প্রথম দিন একটু মন খারাপ ছিল। তারপর থেকে সে বোনের জন্য এত বেশি পাগল যে সকাল সন্ধ্যা এমনকি দিনের যেকোনো মুহূর্তে বোনকে কোলে নেয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত হয়ে থাকে। তাদের এই মুহূর্তগুলো সব সময় এভাবেই থাকুক সেটাই আপনাদের কাছে দোয়াপ্রার্থী। আমার দুটো বাচ্চার জন্যই আপনারা দোয়া করবেন সেই প্রত্যাশা রাখছি।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💓💓💓