আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের সাথে বেশ মজার একটা রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই রেসিপিটা তৈরি করেছি অনেক আগেই। আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়নি। গ্যালারিতে যখন ছবি দেখছিলাম তখন দেখলাম এই ছবিগুলো রয়ে গিয়েছে। আর তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের মাঝে এই মজাদার পাতুরী রেসিপিটি শেয়ার করি। যে কোন মাছ দিয়ে পাতুরি তৈরি করা যায়। তবে আমি তৈরি করেছি বিগ্রেড মাছ দিয়ে। যেহেতু অনেক বড় সাইজের একটা মাছ ছিল তাই এভাবে করলাম।আর আপনারা পিসগুলো দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন মাছটা কত বড় ছিল।
আর তাই ভাবলাম বড় বড় পুঁইশাকের পাতা দিয়ে এই রেসিপিটি করা যাবে। রেসিপিটা করার পর আমি তো একদম ফিদা হয়ে গেছি। কারণ এটা এত মজার ছিল যে খেয়ে মন ভরে নাই। আরো খেতে ইচ্ছে করছে। যেহেতু সবার জন্য এক পিস করে তৈরি করেছি তাই সবাই এক পিস করেই খেয়েছে। পুঁইশাকের পাতাগুলো মাছের সাথে বেশ ভালোই নরম হয়ে গিয়েছে, আর খেতেও মজা লেগেছিল। এভাবে যদি কেউ একবার তৈরি করে তাহলে যে কেউ এর ফ্যান হয়ে যাবে।
আজকের রেসিপির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
উপকরণ | পরিমাণ |
বিগ্রেড মাছ | ৪ টুকরো |
পেঁয়াজবাটা | ১/২ কাপ |
রসুনবাটা | ৩টেবিল চামচ |
মরিচবাটা | ১/৩ কাপ |
সরিষাবাটা | ২টেবিল চামচ |
হলুদগুড়ো | ২ চা চামচ |
লবণ | ১ চা চামচ |
লেবু | ২ফালি |
পুঁইশাকের বড় পাতা | ২৫-৩০টি |
সরিষার তেল | ২ টেবিল চামচ |
প্রথমেই একটি বাটিতে মাছগুলো নিয়ে নিলাম। মাছের মধ্যে দিয়ে দিলাম লেবু। লেবু দিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষণ মেখে ধুয়ে নিলাম। তারপর হলুদগুড়া এবং লবণ দিয়ে দিলাম।
এই ধাপে মাছের সাথে হলুদ লবণ মেখে নিলাম।তারপর দিয়ে দিলাম মরিচ বাটা, রসুন বাটা এবং পেঁয়াজ বাটা।
এই ধাপে সরিষা বাটা এবং সরিষার তেল দিয়ে দিলাম বেশ অনেকটা পরিমানে। তারপর সবকিছু মেখে নিলাম।
প্রতিটা মাছের গায়ে মসলা গুলো ভালোভাবে মেখে নিয়ে বেশ কিছুক্ষন ধরে সবগুলো মাছ ম্যারিনেট করে রেখে দিলাম।
এখন প্রায় এক ঘন্টা পরে মাছগুলো নিলাম। তারপর ধুয়ে রাখা পুঁইশাকের বড় বড় পাতাগুলোর মধ্যে অল্প করে মসলা লাগিয়ে নিলাম। মশলার উপরে একটা মাছ দিলাম। তারপর আবার উপর দিয়ে মসলা দিলাম।
এই ধাপে আরো কয়েকটা পাতা দিয়ে বেশ ভালো করে মুড়িয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে নিলাম। এভাবে সবগুলো তৈরি করে নিলাম।
ফ্রাইপ্যানে সরিষার তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে এক এক করে এই পাতুরিগুলো দিয়ে দিলাম। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এপিঠ ওপিঠ ভেজে নিলাম।
এরপর ফ্রাইপ্যান থেকে তুলে নিয়ে তারপর সুতা ছাড়িয়ে পাতাগুলো থেকে মাছ বের করে নিলাম। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার মাছের পাতুরি।
আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💦
💦 BRISTY 💦
💦
বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে রুই মাছের রেসিপি তৈরি করা যায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পুঁইশাকের পাতায় বিগ্রেড মাছের পাতুরী রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি বেশ দারুন ভাবে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ মজাদার হয়েছিল রেসিপি টি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।এইভাবে পুই শাক দিয়ে কখনও পাতুরি তৈরি করে খাওয়া হয় নি।দেখে তো বেশ লোভ লেগে গেল।ধন্যবাদ আপু এত মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা একবার তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন আপু। খুব মজা লাগবে।
পাতুরি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু এগুলো খেতে অনেক মজা লাগে তবে তৈরি করতে একটু কষ্টকর। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,পাতুরী খেতে অনেক মজা লাগে
কি দারুন একটি মাছের রান্না আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন আপু। কিন্তু বিগ্রেড মাছটা কি? আমরা এখানে এই মাছটি কখনো দেখিনি তো। অসাধারণভাবে মাছটি রান্না করে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। যদি এই মাছটি কখনো পাই নিশ্চয়ই একবার চেষ্টা করে দেখব।
আমাদের এখানে এটা পুকুরেই চাষ করা হয়।তবে এটা বাজার থেকে কিনে আনা ছিল। খেতে বেশ ভালো হয়
আপনি সব সময় ইউনিক ইউনিক রেসিপি গুলো নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হন। পুইশাকের পাতায় বিগ্রেড মাছের পাতুরি আমার কাছে একদম নতুন একটা রেসিপি। এটা খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। আমার তো দেখেই লোভ লাগছে। ট্রাই করে দেখব রেসিপিটা। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন অনেক মজার হয় এটা। পুঁইশাকের পাতাগুলো খেতেও ভালো লাগে।
ব্রিগেড মাছের আরও একটা রেসিপি দেখলাম । এতকাল পাতুরি দেখেছি লাউ পাতায় নয় কলা পাতায়। পুঁইশাকের পাতায় যে পাতুড়ি হয় আমার অজানা ছিল৷ দারুণ রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। শুভেচ্ছা জানালাম।
পুঁইশাকের পাতা যেগুলো বড় হয় সেগুলো দিয়ে করলে বেশি ভালো হয়, ধন্যবাদ আপু।
পুঁইশাকের পাতায় বিগ্রেড মাছের পাতুরী রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে আপু। পাতুরী খেতে খুবই ভালো লাগে। যে কোন মাছের পাতুরী তৈরি করলে খেতে ভালো লাগে। আর পুঁইশাকের টেস্ট সত্যি অনেক বেশি। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এটা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন অনেক মজার ছিল ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনি অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টা দেখেই আমার অনেক লোভ লেগে গেলো। অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে এই রেসিপিটা। পুঁইশাকের পাতায় ব্রিগেড মাছের পাতুরি কখনোই খাওয়া হয়নি আগে। দেখেই বুঝতে পারছি রেসিপিটা অনেক বেশি মজাদার ছিল। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটা শেয়ার করেছেন।
কি যে দেখালেন আপনি। দেখেই তো এখন আর লোভ সামলাতে পারছি না। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুব কম রয়েছে বলে আমার মনে হয়। আপনি তো দেখছি অনেক বেশি করে তৈরি করেছেন। আমাকে বলতেন তাহলে আমিও যেতাম এটি খাওয়ার জন্য। আশা করছি পরবর্তীতে তৈরি করলে অবশ্যই আমাকে বলবেন 😇।