জেনারেল রাইটিং-:পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।আজকে আপনাদের মাঝে একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব।আজকের বিষয় থাকছে পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের সচেষ্ট হওয়ার আহবান।
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যেখানে আমাদের চারপাশের বাতাস, পানি, মাটি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। পরিবেশ দূষণ একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে, অন্যদিকে মানুষের স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। বাস্তবিক দিক বিবেচনায় পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে শিল্পকারখানার বর্জ্য, গাড়ির ধোঁয়া, বন উজাড়, কৃষি রাসায়নিক ব্যবহার এবং অযথা প্লাস্টিকের ব্যবহার।এছাড়াও আমাদের দ্বারা অনেক কাজ হচ্ছে যা প্রতিনিয়ত সুন্দর প্রকৃতি আর পরিবেশকে নষ্ট করছে।
বর্তমান সময়ে বায়ু দূষণ সবচেয়ে গুরুতর একটি সমস্যা। শিল্পকারখানার এবং গাড়ির থেকে নির্গত ধোঁয়ায় বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা আমাদের শ্বাসতন্ত্রের জন্যও বিপজ্জনক।বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি হয় শহরাঞ্চলে। পানি দূষণও বর্তমানে খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদী, খাল-বিল বা সাগরের পানি দূষিত হয়ে যায় শিল্পবর্জ্য, প্লাস্টিক, কীটনাশক এবং অন্যান্য রাসায়নিক দ্বারা। এই দূষিত পানি পান করলে নানা ধরনের রোগ হতে পারে। মাটির দূষণও আজকাল অনেক বাড়ছে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার, বর্জ্য ফেলা এবং বন উজাড়ের কারণে মাটির গুণগত মান কমে যাচ্ছে।সর্বোপরি গ্রামীণ পরিবেশ শহুরে পরিবেশ থেকে কিছুটা হলেও কম দূষিত হয়।
পরিবেশ দূষণ একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা, যা দিন দিন আরো বাড়ছে এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি শুধু প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি করছে না, বরং মানুষের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে পৃথিবীর বায়ু, পানি, মাটি, এবং শব্দ সবকিছুই দূষণের শিকার হচ্ছে। এর ফলে বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সার, এবং হৃদরোগের মতো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি দূষণের কারণে জলজীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে, এবং মানুষ পানির মাধ্যমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রথমত, আমরা যদি পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনি, অর্থাৎ সাইকেল বা পায়ে হাঁটা বাড়িয়ে গাড়ির ব্যবহার কমাই, তবে বায়ু দূষণ অনেকটা কমানো সম্ভব। এছাড়া শিল্পকারখানায় যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বায়ু এবং পানি দূষণ কমবে। সরকারকে আরও বেশি গাছ রোপণ এবং বনাঞ্চল সংরক্ষণে উদ্যোগী হতে হবে, কারণ গাছেরা কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে এবং আমাদের শুদ্ধ বাতাস দেয়।সরকারের পাশাপাশি আমাদের সাধারণ মানুষদেরকেও সচেষ্ট হতে হবে। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করলে অনেকটা উন্নতি সম্ভব।
এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে প্লাস্টিক ব্যবহারে।কারণ প্লাস্টিকের বর্জ্য একসময় মাটিতে জমে পড়ে এবং তা মাটির গুণগত মান কমিয়ে দেয়। খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থায়ও কৃষকদেরকে বাণিজ্যিক সার কম ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা উচিত এবং জৈব সার ব্যবহারে উদ্ভুদ্ধ করা দরকার। এভাবে, আমরা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি এবং পৃথিবীকে একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর জায়গা করে তুলতে পারি।পৃথিবীতে বসবাস তো আমরাই করছি। তাই দূষণ না করে বিশুদ্ধ করাটাও আমাদেরই দায়িত্ব।আমরা যদি আজ থেকেই সচেতন হই, তবে আগামীদিনে আমাদের পরিবেশ আরো সুস্থ ও সবল হবে।আমরা শান্তিতে বাঁচতে পারব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
।
https://x.com/bristy110/status/1902633144442064950
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি পরিবেশ দূষণ কমানোর এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিকার করার অনেক ভালো উপায় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সরকার এবং আমাদের প্রত্যেকেরই একসাথে মিলে পরিবেশ রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে তাহলেই আমরা সবাই মিলে পরিবেশটাকে বাঁচাতে পারবো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
জি ভাইয়া,সবাইকেই সচেষ্ট হতে হবে।তাহলেই পরিবেশ সুন্দর করা যাবে।
বেশ দারুণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকারের কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আমাদের সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগানোর ব্যাপারে আগ্রহী হতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে।আমরা সবাই যদি সব কিছু মেনে চলি তাহলে সুন্দর ও দূষণমুক্ত একটি পরিবেশ পাবো। অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
নিজেদের জায়গা থেকে নিজেরাই যদি মেনে চলি তাহলে পরিবেশটা অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যাবে।