ডাক্তার দেখানো নিয়ে ভোগান্তি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গত শুক্রবারে ডাক্তার দেখানোর মুহূর্তগুলো। আসলে ডাক্তার দেখানোটা আমাদের বাংলাদেশে একটা ভোগান্তির মত বিষয়। যেটা আসলে খুব বেশি কষ্টদায়ক এটা আমরা সকলেই জানি। আর ভালো মানের ডাক্তার দেখাতে হলে তো সেখানে আরো বেশি ভোগান্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে। যাইহোক যেহেতু থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে আর প্রতি দেড় মাস থেকে তিন মাসের মধ্যেই একবার চেকআপ করতে হয়। কারণ থাইরয়েডের পয়েন্টের উপরই মূলত ওষুধ চেঞ্জ করে দেয়া হয়ে থাকে। আমার ডাক্তারের লাস্ট চেক আপ ডেট ছিল অগাস্টের ১৫ তারিখ। কিন্তু ডাক্তার যেহেতু দেশের বাইরে ছিল ওই হিসেবে আর দেখানো সম্ভব হয়নি।
যদিও তিনি আগস্টেই চলে এসেছিলেন। কিন্তু দাগনভূঞাতে যেহেতু বসত, সিডিউল করতে পারেনি বিধায় বসেনি। ফেনীতেই বসছিল আগষ্ট মাস থেকে। কিন্তু শরীরের যে অবস্থা এই অবস্থায় ফেনীতে যাওয়া অনেক বেশি কষ্টদায়ক ছিল। ভাবলাম অপেক্ষা করেই দেখি হয়তো দাগনভূঞাতে সিডিউল করতে পারে। কিন্তু দেখলাম প্রায় তিন মাস ঘনিয়ে এলো এখনো ডাক্তার আসার কোন হদিস দেখতে পাচ্ছি না। আর এজন্যই ভাবলাম কষ্ট করে হলেও এবার গিয়ে চেকআপ করতে হবে। কারণ পরবর্তীতে কখন সুযোগ পাই বা কখন ডাক্তার আসে তার কোন হিসেব নেই। এজন্যই আগে থেকে সিরিয়াল দেয়ার জন্য যখন কল করা হয়েছিল তখন তারা বলেছিল যে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে তারা সিরিয়াল নেবে। কিন্তু ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত লাগাতার কল করার পরেও রিসিপশনে কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না, সবাই ব্যস্ত। এর কারণ হলো অনেকেই তো সিরিয়াল দিয়েছিল। যাই হোক অবশেষে ১০৪ নাম্বার সিরিয়াল দেওয়া হয়েছিল ।
যেহেতু সকাল ৯ টা থেকে একদম রাতের ৯ টা পর্যন্ত বসবে ওই হিসেবে আমাদেরকে তারা সন্ধ্যার দিকে যেতে বলেছে। আমরা বিকেল পাঁচটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। যেতে বেশিক্ষন সময় লাগে নি। তবে ছয়টার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে কাউন্টারে গিয়ে আমাদের নাম এন্ট্রি করার পর প্রায় দুই ঘন্টার মত বসে ছিলাম। শুধুমাত্র অপেক্ষাই করছিলাম কারণ অন্যান্য রোগীগুলো তখন দেখাচ্ছিল। এদিকে বসে বসে আমার অবস্থা একদমই খারাপ হয়ে গিয়েছিল।যদিও এই হসপিটালটা বেশ ভালোই একটা নাম করা হসপিটাল, এখানে একদম নিরিবিলি পরিবেশ ছিল। শান্ত পরিবেশ ছিল তবুও শরীরের অবস্থা যেহেতু ভালো নয় ও হিসেবে বসে থাকা খুব কষ্টকর ছিল।
পরবর্তীতে সেখানে সামনে একজন লোক যে ডিউটি করছিল তাকে রিকোয়েস্ট করার পর সে বলেছিল যে কিছুক্ষণ পর আমাদের দেখার সুযোগ করে দিবে। কারণ আমরা যেহেতু অনেক দূর থেকে গিয়েছি আর সেখানে আসলে বসে থাকতে থাকতে অনেক বেশি অস্বস্তি হচ্ছিল। বেশিক্ষণ বসে থাকলে হয়তো সেখানেই ভর্তি হয়ে যেতে হবে এই অবস্থা হয়ে যাচ্ছিল। তারপর উনি অনেকটাই হেল্প করে দিয়েছিল। আমাদেরকে একটু আগেই ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গিয়েছিল। যদিও তার কোন ডিমান্ড ছিল না। তবে তার জন্য দোয়া করি অন্তত অসুস্থতার খাতিরে সে আমাদের সাহায্য করেছে হিসেবে।
যাইহোক যদিও ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম তবুও সেখানে একজন রোগী এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছিল যে প্রায় ১৫ মিনিট এখানেই বসে থাকতে হয়েছিল। যাইহোক সবাই যেহেতু রোগী সবারই কোন না কোন সমস্যা আছে। আর এটার জন্যই তো ডাক্তার দেখাতে এসেছে। আমাদের যখন সময় এলো তখন আমরা আগের রিপোর্ট গুলো দেখালাম এবং ডাক্তার নতুন করে আবারো থাইরয়েড টেস্ট দিয়েছিল। আর ওষুধটা একটু চেঞ্জ করে দিয়েছিল। আর অন্য চেকআপ করতে হয়নি। শুধুমাত্র থাইরয়েড টেস্ট করে তাকে মেইল করে পাঠাতে বলেছে। যেহেতু সেখানে বারবার যাওয়ার সম্ভব নয় ওই হিসেবে নিজ থেকেই বলল মেইলে রিপোর্টটা পাঠিয়ে দিতে। তখন তিনি দেখে নেবেন।
সত্যি বলতে এই ডাক্তার খুবই ভালো।আমার কাছে মনে হয় ডাক্তারের কথার মাধ্যমেই অন্তত রোগী ৫০% ভালো হয়ে যায়। ব্যবহারটাই আসলে সবার কাছে গ্রহণীয়। যাইহোক তিনি বেশ ভালো মানের একজন ডাক্তার সেটা গত এক বছরেই বুঝে গিয়েছি। এজন্যই অন্য কোন ডাক্তার দেখাতে ইচ্ছে হয়নি। তাকেই দেখিয়ে ছিলাম সবসময়। যাইহোক এর পরবর্তীতে বের হয়ে অন্য একটা জায়গায় গিয়েছিলাম। সেটাও না হয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অন্য দিন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরেও যে আপনার পছন্দ মত একজন ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন সেটা অবশ্যই স্বস্তির!
একশজনের উপরে রুগী!! অনেক বেশি!!
বাংলাদেশ বর্তমান দুর্নীতি আর বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচারের মধ্যে ডুবে গেছে। একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়েও যে কত রকমের ব্যবসা চলে সেটা বলে প্রকাশ করার মত না। আসলেই ভাল ডাক্তারকে দেখাতে গেলে তো কঠিন অবস্থার শিকার হতে হয়। আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।