|| মুভি রিভিউ || Daagi ||
আসসালামু আলাইকুম
মুভির তথ্য
মুভি | Daagi |
---|---|
পরিচালক | শিহাব শাহিন |
অভিনয় | আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল সহ আরও অনেকে |
প্রযোজক | শাহরিয়ার শাকিল |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্লাটফর্ম | চোরকি |
দৈর্ঘ্য | ২ ঘন্টা ২২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৩১, মার্চ ২০২৫ |
মুভির সংক্ষিপ্ত ঘটনা
গল্প শুরু হয় দাগী আসামি নিশানের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার মধ্য দিয়ে, সে ১৪ বছর জেল খেটেছে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিশান বাড়িতে ফিরতে থাকলে পেছনের কিছু স্মৃতি মনে করে ভয় পেতে থাকে এদিকে হঠাৎ নিশানের ছাড়া পাওয়াতে নিশানের বাবা-মা অবাক হয় ।
নিশান তার রুমের মধ্যে প্রবেশ করলে সে তার পিছনের স্মৃতিগুলো মনে করতে থাকে, তখন দেখানো হয় ২০০৮ সালে ইন্ডিয়া থেকে কোন এক পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসে নিশান যার কারণে সে ১০ দিন তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে পারে না এতে তার গার্লফ্রেন্ড রাগ করে এবং নিশান জেরিনকে মানিয়ে নেয় । এরপর তারা প্রেম করতে গিয়ে ধরা খায়, তাই জেরিন নিশানকে বিয়ে করতে বলে আর নিশান মাঝে মাঝে ইন্ডিয়াতে যায় যার ফলে জেরিন নিশানকে খুঁজে পায় না অন্যদিকে নিশান সরকারি চাকরি করতে চায় না বলে বাবাও তার উপর রাগ দেখায় । নিশান তার বাবাকে জানায় সে ব্যবসা করবে, এর মধ্যে জেরিন নিশানের বাড়িতে আসে আর জানায় বিয়ে ঠিক করেছে বাড়ি থেকে এবং একটি তারিখও বলে যায় এবং সে বলে এই তারিখে যেন জেরিনের বাবার সাথে বিয়ের সম্পর্কে কথা বলে । এরপরে আবার ইন্ডিয়া যায় নিশান, জেরিন তাকে খুঁজতে নিশানের বন্ধু বাবুর কাছে যায় তখন বাবু জানায় নিশান আগরতলা গেছে, যার কারনে জেরিন নিশানের বাবার কাছে যায় নিশান কে খুঁজতে । তখন নিশানের বাবা জানায় নিশান বিয়ে করার মত মানুষ না এবং তিনি জেরিনকে বলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে এরপর আমরা দেখতে পাই বর্ডারে মাদক চোড়া কারবারি করতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে যায় নিশান কিন্তু তার সাথের একজনগুলি খায় আর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । তারপর নিশান দেশে ফিরে জেরিনকে খুঁজেতে তার বন্ধু বাবুর কাছে আসলে বাবু জানায় জেরিনের বিয়ে হয়ে গেছে তাই জেরিনের কাছে নিশান চলে যায় এবং তাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে তখন জেরিনের হাসবেন্ড সোহাগ বলে এই তাহলে নিশান যার কথা তুমি বলেছিলে কিন্তু সে তো তোমার সাথে টাইম পাস করেনি সত্যিকারের ভালবেসেছে । তখন জেরিন জানায় এইটা ইগো থেকে সব বলেছে কালকে এটা ভুলে যাবে তখন নিশান ফোন দিলে সোহাগ বলে ভুল করে এসেছি তোমাদের জীবনে তাই এটা শেষ করা উচিত । এরপর সোহাগ জেরিন কে নিয়ে নিশানের কাছে আসে সব কিছু খোলাসা করতে তখন নিশান কথা বলার জন্য ৫ মিনিট চাইলে জেরিন দিতে চায়না তবে সোহাগ কথা বলার অনুমতি দেয় কিন্তু নিশান তখন জেরিন এর সাথে অসভ্যতা করলে নিশান আর সোহাগ এর মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নিশান সোহাগ কে ছাদ থেকে ফেলে দেয় এবং সোহাগ সেখানেই মারা যায় । তখন সবাই নিশানের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দিলে নিশানের ১৪ বছরের জেল হয় এরপর গল্প আবারো বর্তমানে চলে আসে ।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিশান তার কাজের জন্য অনুতপ্ত হয় তবে সে কিছুতেই ক্ষমা পাচ্ছিলো না এরই মাঝে নিশানের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু নিশান এতে রাজি হয় না । তবে মেয়েটি অনবরত চেষ্টা করতে থাকে এবং একটা সময় নিশান রাজি হয় তবে সমাজ নিশান কে মেনে নিচ্ছিলো না যার ফলে তাকে তার নতুন গার্লফ্রেন্ডের বাড়িতে যেতে হয় । তার নতুন গার্লফ্রেন্ড এর এলাকায় তার পুরোনো গার্লফ্রেন্ড অর্থাৎ জেরিন কে নিশান দেখতে পায় এবং নিশান জেরিন কে খুঁজতে খুঁজতে তার বাসায় গিয়ে জানতে পারে তার বিয়ে হয়ে গেছে এবং জেরিন নিশানের পুরনো সহকর্মী রাবি কে বিয়ে করেছে । জেরিন এর দুটি সন্তান একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে ছেলেটি হলো রাবির সন্তান এবং মেয়েটি সোহাগের সন্তান হলেও নিশান মনে করে মেয়েটি তার মেয়ে যার ফলে নিশান রাবির বাড়িতে চাকরি নেয় যাতে করে সে তার মেয়ের খেয়াল রাখতে পারে । একটা সময় নিশানের কাছে তার পুরনো বস রঞ্জিত এর ফোন আসে এবং সে তাকে রাবির সকল এক্টিভিটি সম্পর্কে জানতে চায় এবং নিশানও এতে রঞ্জিতকে সাহায্য করে ।
রাবি একটা সময় রঞ্জিত এর নিচে কাজ করতো তবে এখন সে নিজের মতো করে কাজ করে যেটা রঞ্জিত এর পছন্দ হয়নি যার কারণে রঞ্জিত সবসময় রাবির ক্ষতি করার চেষ্টা করত । রাবি এতে বিরক্ত হয়ে রঞ্জিত এর সাথে সামনাসামনি দেখা করতে চাইলে রঞ্জিত রাজি হয় এবং রঞ্জিত রাবিকে মারার পরিকল্পনা করে যার কারণে সে একটি গোপন জায়গায় আসতে বলে এবং এই গোপন জায়গা সম্পর্কে কেবল নিশানকে বলে রঞ্জিত, যাতে করে রাবি রঞ্জিত কে কিছুই করতে না পারে । তবে রঞ্জিত এর দলের একজন লোক রাবিকে গোপন জায়গা সম্পর্কে বলে দেয় এবং রাবি সেই গোপন জায়গায় একজন স্নাইপার বসায় এবং রাবি রঞ্জিত কে মারার চেষ্টা করে তবে রাবি অসফল হয় । রঞ্জিত বেঁচে পালিয়ে যায় এবং রাবি নিশানের উপর হামলা করে কিন্তু নিশানও সেখান থেকে পালিয়ে যায় গোপন জায়গার কথা শুধুমাত্র নিশান জানতো বলে রঞ্জিত নিশান কে ভুল বুঝে এবং রাবির কাছ থেকে পাওনা টাকা না পেয়ে সে রাবির সৎ মেয়েকে নিয়ে যায় অর্থাৎ নিশানের মেয়ে । তবে রাবি তার সৎ মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করে না এবং তার ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায় আর নিশান তার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য অনেকগুলো টাকা নিয়ে রঞ্জিতের কাছে যায় । রঞ্জিত এর কাছে যাওয়ার আগে নিশান জানতে পারে রাবির সৎ মেয়ে তার আসল মেয়ে নয় সে হলো সোহাগের মেয়ে কিন্তু তারপরও নিশান মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য যায়, কেননা সোহাগের মৃত্যুর পাপ সে মুছে ফেলতে চায় এবং অনেক কষ্টে নিশান মেয়েটিকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে তবে নিশানের বুকে একটি গুলি লাগার কারণে নিশান মারা যায় এবং দাগীর কাহিনী এখানেই শেষ হয় । ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে । আজ এই পর্যন্তই, দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টে ।
IMDb রেটিং : ৫.৭
ব্যক্তিগত রেটিং : ৭.৫
মুভির ট্রেলার
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | মুভি রিভিউ |
---|---|
ডিভাইস | vivo V27e |
সংস্করণ | Android-15 |
পর্যালোচক | @bokhtiar1444 |
অবস্থান | কিশোরগঞ্জ, ঢাকা |
Twitter
Quotes :
Retweete & react :
Tweet comment :
Twitter Puss promote : https://x.com/BokhtiarMr90788/status/1936432989619339468?t=xk-G1plB4jS6BFIBi2DjqQ&s=19
Coin market cap Comment : https://coinmarketcap.com/community/post/362561320
Pussfi boost :