গভীর উপলব্ধি একটি মৌলিক জীবন দর্শন কেই নির্দেশ করে।।জানুয়ারী ,২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। চারিদিকে করোনা পরিস্থিতি আবারও যথেষ্ট খারাপ হয়েছে তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যেককেই করোনা সুরক্ষা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।কারণ ঘরে বসে থাকলে চলবে না।কাজ করতেই হবে কারণ এমনিতেই অনেক পিছিয়ে পড়েছি আমরা এই করোনার কারণে তাই আমাদের সতর্ক হতে আরো বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে হবে আর মহামারি আস্তে আস্তে দূরীভূত হবে এই প্রত্যাশা রাখি।
আসলে আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে জীবন দর্শন সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই।একজন দার্শনিক তার জীবনদর্শন ব্যাপারটা সুন্দর ভাবে বুঝাতে পারেন।দর্শন একটি অত্যন্ত বিশাল শাখা জ্ঞানের জগতে।আগে এক সময় পুরো বিজ্ঞান তাকেই দর্শনের ভিতরে ফেলা হতো। তখন বিজ্ঞানের সবকিছু ব্যাখ্যায় দর্শন দিয়ে করা হত কিন্তু সেই ব্যাখ্যা গুলো যুক্তিহীন ছিল বিজ্ঞান এর সাপেক্ষে।
পরবর্তীতে বিজ্ঞান শাখা সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায় এবং যুক্তি ও পর্যবেক্ষণ পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানের উন্নতি সাধিত হয়।কিন্তু আজকে বিজ্ঞান নয় সেই দর্শন নিয়ে আলোচনা করব।জীবনের মৌলিক সমস্যাগুলো সম্পর্কে বাস্তব উপলব্ধি একজন দার্শনিক যে ভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবেন সাধারণ মানুষ সেই ভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবেন না।
কেন একজন সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে বলতে পারেন না? কারণ তিনি তার জীবনকে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি? না ,তিনি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন অবশ্যই কিন্তু একজন দার্শনিক যে ভাবে ব্যাখ্যা করে বলতে পারেন সাধারণ মানুষ সে ভাবে পারেন না।আর এখানেই একজন সাধারন মানুষ আর একজন দার্শনিক এর মৌলিক পার্থক্য।
যেমন প্রত্যেক মানুষের ভিতরে একজন কবি লুকিয়ে থাকে একটা কবিত্ব লুকিয়ে থাকে কিন্তু তার অনুভূতি তার পারিপার্শ্বিক বিষয়ে অনুভূতিগুলো সঠিক ভাবে প্রকাশিত হতে পারে না।কিন্তু একজন কবি অত্যন্ত সাধারণ অনুভূতি গুলো গভীর উপলব্ধির মাধ্যমে খুব সহজ ভাবে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।শব্দ আর ছন্দের জাদুকর সৃষ্টি করে একজন কবি অনুভূতি গুলোকে কবিতা বানিয়ে ফেলেন।
একজন রিকশাচালক থেকে শুরু করে একজন কর্পোরেট জগতের সবচেয়ে বড় কর্মকর্তা প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত জীবন দর্শন আছে।প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে একজন দার্শনিক।একজন মুদি দোকানদারের জীবনদর্শন ও একজন কবির জীবন দর্শন এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে কিন্তু গুণগত দিক বিচার করলে একজন মুদির দোকানির জীবনদর্শন অনেক বেশি শক্তিশালী।একজন কবির জীবনদর্শনে থাকে কিছু কল্পনা কিন্তু একজন মুদি দোকানির জীবন দর্শন অনেক বেশি বাস্তব।
একজন স্কুল শিক্ষক এর জীবন দর্শন আর একজন ব্যাংকারের জীবন দর্শন এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?একজন শিক্ষক দেখেন তিনি শিক্ষক তিনি একটি শিক্ষকতা পেশায় আছেন তার বিনিময়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দেন।বিনিময়ে সরকার কিছু টাকা দেয় এটা তাঁর জীবনদর্শন হতে পারে কিন্তু এটা তার মৌলিক জীবন দর্শন কখনোই নয়।
তিনি একজন মানুষ ,মানুষ হিসেবে তার জীবনের নানা ওঠাপড়া দিয়ে সে নিজেকে চিনেছে জীবন মানে কি সেটা জেনেছে এটাই সত্যি কারের মৌলিক জীবন দর্শন।তেমনি একজন ব্যাংকারের অর্থনৈতিক বিষয় গুলো নাড়াচাড়া করাটাই তার একমাত্র জীবন দর্শন নয়,বরং একান্ত জীবন সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি হলো তার মৌলিক জীবন দর্শন।
আমরা যারা আমার বাংলা ব্লগে কাজ করি তাদের প্রত্যেকের জীবনদর্শন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও মৌলিক।উদ্দেশ্য আমাদের একই হতে পারে কিন্তু জীবন দর্শন আমাদের প্রত্যেকের স্বতন্ত্র।এটাই মানুষে মানুষে মৌলিক পার্থক্য।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
নতুন কিছু দেখলাম দাদার পক্ষ হতে খুব ভালো লাগলো, আসলে আমরা বা আমাদের মতো মানুষরা খুব কমই এসব নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু আপনি আজ খুব সুন্দরভাবে মৌলিক বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ
ব্রিলিয়ান্ট । ভালোবাসা অবিরাম ভাই ☺❤🙏
একদম ঠিক বলেছেন দাদা। আসলেই প্রত্যেকটি মানুষই তার ভিতরে এক কবিসত্তা লালন করে। অনেকে এটা উপলব্ধি করতে পারে আবার অনেকে পারে না। পূর্বে বিজ্ঞানের সবকিছু দর্শন থেকেই শুরু হয়েছিল। কেননা এরিস্টটল, সক্রেটিস, প্লেটো এনারা সবাই বৈজ্ঞানিক হওয়ার আগে অনেক বড় দার্শনিক ছিলেন। তাই সবকিছুই ছিলো দর্শন নির্ভর। এখনও যে দর্শন নেই এমন নয়। এখন অনেক উচ্চ পর্যায়ে মানুষ দর্শন শিখতে পারে। সেটি হলো PhD অর্থাৎ Doctor of Philosophy মানে যে যেকোনো বিষয়ই নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চায় না কেন তার সেই বিষয়ের দর্শন আগে জানতে হবে। আর আপনার কথামতো নিজের ওই স্বতন্ত্র্য সত্তা কে খুঁজে বের করতে হবে।
আপনার শিক্ষনীয় পোস্ট গুলো অসাধারণ লাগে দাদা অনেক কিছু জানা যায়। আমার খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। মানুষের জীবনে দর্শনের বিভিন্নতার উপর সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
মানুষ তার নিজের জায়গায় স্বতন্ত্র, জীবনের গভীর বোধের তারতম্যে প্রত্যেকেই আলাদা। ভালো বোধ গুলি সুপ্ত থাকে তবে সেই বোধনজেগে উঠলে মানুষ
মানুষ হয়ে ওঠে অনন্য। দারুণ দর্শন শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জীবন দর্শনে আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আসলেই অনেক সুন্দর ভাবে আপনি মানব জীবনে দর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
সেরা কথা ছিল এটা। আসলে দাদা দার্শনিক এর বিষয়ে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। একজন সাধারন মানুষ যা বুঝতে পারে না একজন দার্শনিক তা বুঝতে পারে এটাই মূল পার্থক্য। ইনশাল্লাহ নিজে দেখে শুনে চলার চেষ্টা করব আপনিও একটু সাবধানে থাকবেন। আপনাদের ওইখানে একটু বেশি ইফেক্টিভ। আপনার জন্য মন থেকে অনেক অনেক দোয়া রইল।
ঠিকই বলেছেন দাদা করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গিয়েছি। সে জন্য যত বাধা বিপত্তি আসুক না কেন আমাদের মোকাবেলা করতে হবে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কাজের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আসলে প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু অন্তর্নিহিত আউট প্রতিভা বিদ্যমান থাকে যেটা কেউ কাজে লাগাতে পারে আবার কেউ পারেনা ।আপনার চিন্তা চেতনা মূলক কিছু শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম আর অনেক অনুপ্রেরণা পাচ্ছিলাম। আপনি যেভাবে লিখেছেন সেটাও বা দার্শনিক এর থেকে কম কিসে যায়।দারুন লেখা ছিল এটি এরমভাবে আরো কিছু প্রেরণা মূলক লেখা চাই ভাই আপনার কাছ থেকে🖤🙏
দাদা আপনার ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটি করে জীবন দর্শন রয়েছে। সেই দর্শন অনুসারে তার জীবনকে পরিচালিত করে। আমরা অনেক সময়ই বলে থাকি সে আমার মত কেন নয় বা সে আমার মত হতে পারে না আসলেই তাই কেউ কখনো কারো মত হতে পারে না শুধুমাত্র কিছু দর্শন সে অনুসরণ করতে পারে কিন্তু হুবহু কখনোই জীবন দর্শন মিলতে পারে না। আমরা শুধুমাত্র যখন কোন উদ্দেশ্য সাধন করতে যাব সেই ক্ষেত্রে মিল হতে পারে কিন্তু উদ্দেশ্য সাধন করার পদ্ধতিও সবার আলাদা আলাদা। আপনার পোস্ট টি পড়ে জীবন দর্শন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা।
জি দাদা, আপনি ঠিক বলেছেন পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে তাই আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন নিজের সুরক্ষা বজায় রাখা এবং এই অদৃশ্য ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। আর এই অদৃশ্য ভাইরাস একসময় পরাজিত হয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা আমিও করি।একজন দার্শনিক তার দর্শনের কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে তা একজন সাধারন মানুষ ব্যাখ্যা করতে পারে না। আর এটাই একজন দার্শনিক এবং আমাদের মত সাধারন মানুষের ব্যাখ্যার ভিতর পার্থক্য। প্রতিটা শ্রেণীর মানুষের মৌলিক ব্যাখ্যা গুলো আলাদা আলাদা হয় সেটা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। দাদা, অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।