জেনারেল রাইটিং।। শীতের শুরুতেই মহল্লায় মহল্লায় বড়ি দেওয়ার ধুম।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ(০৯/০১/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার
আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আমি @biplob89 আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং।। শীতের শুরুতেই মহল্লায় মহল্লায় বড়ি দেওয়ার ধুম। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
শীতের শুরুতেই মহল্লা মহল্লায় যেমন পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায় ঠিক তেমনি বড়ি দেওয়ারও অনেক ধুম পড়ে যায়। গ্রামের মানুষই এ আনন্দটুকু হয়তো উপভোগ করতে পারে। শহরে এমন আনন্দ উপভোগ করতে পারে বলে আমার জানা নেই। আমি শুনেছি যে যত বেশি শীত হবে আর তখন বলে দিলে সে বড়ি খেতে অনেক স্বাদ লাগবে। এইতো কয়েকদিন আগে আমাদের বড়ি দিয়েছিল। তবে বড়ি দেওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। অনেকেই বলে বোর্ডের ডাল হচ্ছে মেয়ে কারণে ডাল যত বেশি সাদা করে ধোয়া হবে বডি দেখতে ততই সাদা হবে এবং খেতে স্বাদ হবে। এরপরে আরো একটি কাজ হচ্ছে যখন এগুলো মেশিনে পেশাই করা হয় তারপরে এই বডির যে ভেজা ময়দা মত হয় এগুলো খুব ভালো করে ছেনতে হয়। কারণ যত বেশি ছেনা ভালো হবে সেই বড়ি ততো বেশি খেতে ভালো লাগবে।
আমাদের যেদিন ভোট দিয়েছিল ওইদিন আমি একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছিলাম কারণ আমার ইচ্ছে ছিল কিভাবে ভরি দেয় এটি ভালোভাবে দেখার। আমি ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি তবে কখনো এভাবে দেখে ফটোগ্রাফি করার আগ্রহী আমার হয়নি। তাই ঘুম থেকে উঠে আস্তে আস্তে সিঁড়ি বয়ে ছাদে গেলাম যে দেখি হ্যাঁ বডি দেওয়ার জন্য ছেনা শুরু হয়ে গেছে। তবে মজার একটা বিষয় হচ্ছে বাড়িতে যদি কোন ছোট ছেলে মেয়েরা থাকে তারা এগুলো করতে খুব আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং তারা পারুক বা না পারুক তারা সেটা বোঝে না তারা এগুলো করবে এটাই তাদের জেজ। সত্যি ছোটদের এমন জেজ দেখলে বেশ হাসি পায় আমার। তবে আমি অবাক হয়ে গেলাম যে আমার আগেও আমার ছোট দুইটা বোন ঘুম থেকে উঠে দাঁড়া এভাবে বড়ি ছেনতে শুরু করে দিয়েছে । তারা এত মনোযোগ দিয়ে এ বড়ি পেশাই করা ময়দা ছেনেছিল যে আমি যে ফটোগ্রাফি করছি তারা খেয়ালও করে নাই।
এর বাড়ি গিয়ে দেখতে পেলাম আমার দাদিমা আমাদের বড়ি দিয়ে দিচ্ছে। এরপরে সেখান থেকে উপরের এই ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। আমার দাদিমার বয়স হয়েছে বটে কিন্তু সবকিছুই তিনি খুবই ভালোভাবে করতে পারেন।
এভাবে পুরা এক চারু বড়ি হয়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছে বড়িগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আসলে বড়ি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছিল। এবং ধবধবে সাদা হয়েছিল। দাদিমা বলে বড়ি যদি ধবধবে সাদা না হয় সেই বড়ি খেতে খুব একটা স্বাদ লাগেনা। বড়ি খাওয়ার পরে সেটা সত্যি আমি বুঝতে পারলাম।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছ। আসলে প্রত্যেক বছর শীতের শুরুতেই মহল্লায় মহল্লায় বড়ি দেওয়ার ধুম পড়ে যাই। আমার আম্মু এই বছরে প্রায় তিন ময় বড়ি দিয়েছে। আসলে সব থেকে কষ্টের বিষয় হচ্ছে সকাল বেলায় উঠে ডাল কুমড়া গুলো মিলে কুটতে যাওয়া। ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ বন্ধু তোমার মতামতটি শেয়ার করার জন্য
শীতকালে পিঠাপুলির মতো কুমড়ো বড়ি খুব জনপ্রিয় একটি জিনিস। আপনার বড়ি দেয়ার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ লাগছে।ঠিক বলেছেন ছোটদের জেদ দেখলে হাসি পায়।পারুক না পারুক সব কাজে জেদ। তবে কাজের প্রতি বাচ্চাদের এমন জেদ বেশ ভালো লাগে দেখতে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
এই বড়ি আমাদের এখানে তেমন একটা দেখা যায় না৷ এটি তৈরি করতে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আর ছোটরা যেভাবে এগুলো তৈরি করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে তা দেখে অনেকটাই হাসি পায়৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে৷ অনেক ধন্যবাদ৷