লোডশেডিং এ অতিষ্ট জীবন ।।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৮/০৫/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার।

pexels-alteredsnaps-13875374.jpg

ছবিটিএখান থেকে নেওয়া হয়েছে

💞 শুভ রাত্রি 💞

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টীম বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজ আমি @biplob89 প্রতিদিনের ন্যায় আজকে ও আপনাদের মাঝে আরো নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি লোডশেডিং এ অতিষ্ট জীবন ।। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।

আপনারা উপরের টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয় পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। কি আর বলবো? এতদিন গরমের জন্য অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গতকাল রাত বারোটা থেকে যে ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল তাতে লোডশেডিং এর ব্যাঘাত ঘটেছিল। আর এ কারণে ফোনে চার্জ ছিল না। যে কারণে কমিউনিটিতে পোস্ট করতে পারেন এবং অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে। আসলে এই ঝড়-বৃষ্টি এতই হয়েছিল যে সারাদিন রাত এক ভাবে হয়েছিল । যে কারণে কারেন্ট ছিল না। আর এমনিতেও আকাশে একটু মেঘ হলে এবং বাতাসের গতি যদি বেড়ে যায় তাহলে কারেন্ট খুব দ্রুত চলে যায়। আর এতদিন যে গরমে অতিষ্ঠ হয়েছিলাম তাতেও কোনটা রকম দিন পার করেছিলাম। কিন্তু এই ঝড় বৃষ্টির কারণে যেন মনে হচ্ছিল সময় যাচ্ছে না। গতকাল রাত বারোটা থেকে কারেন্টের দেখা পায়নি । এদিকে ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। সে তো এক ঝামেলা যে ঠিকঠাক কাজ করতে পারছি না। আবার অন্যদিকে এই ঝড়-বৃষ্টি শেষ হয়েই গরমের আভাস আরো বেড়ে গিয়েছে। আজকে সারাটা দিন অনেক গরম ছিল। এদিকে আবার লোডশেডিং। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল খুবই অশান্তি কর। এদিকে সকালের দিকে ভেবেছিলাম যে আজকে হয়তো সন্ধ্যা হতে কারেন্ট আসবে তখন ফোনের চার্জ দিয়ে কাজ কমপ্লিট করে নেব। কিন্তু তা আর হলো না। এমন সময় বিকেলে জানতে পারলাম আজকে ওনাকি কারেন্ট আসবে না। তাই আসরের আজান দিতে না দিতেই বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম গাংনীতে। কারণ গাংনী পৌরসভার মধ্যে তাই সেখানে কারেন্ট রয়েছে। তাই ফোন সহ চার্জার নিয়ে ছুটে চলে গেলাম। গিয়ে সেখানে আমি ৫:৪০ এর দিকে পৌঁছালাম।

এরপরে একটা ভাইয়ের কাছে আমার ফোনটা চার্জে রেখে দিয়ে আসরের নামাজ আদায় করে বাজারে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। এদিকে ফোন বন্ধ হয়ে আছে আজ দুই দিন। ফোনে চার্জ হতে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা লাগবে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম আমি একঘন্টা হলেই যতটুকু চার্জ হবে ফোনে বাসায় গিয়ে কানেক্ট আসলে আবার সেই অংশটুকু পূরণ করে নিব। কিন্তু তা আর হলো না এক ঘন্টা পরে বাজার থেকে ঘুরে গিয়ে দেখি সেখানে আমার ফোনে মাত্র ২৬ পার্সেন্ট চার্জ হয়েছে। সেখানে যে আইপিএস ছিল ওটা একটু লুজ কানেকশন ছিল যে কারণে আমার ফোনে চার্জ কমপ্লিট হয়েছিল না। কি আর করব যে ভাইয়া দোকানে ছিল তার কাছে বললাম ফোনটা তুমি রেখে দাও যখন রাত্রে বাসায় যাব তখন নিয়ে আসবে। এরপরে ফোনের জন্য বাসায় এসে ওয়েট করতেছি ফোন কখন আসবে কাজ করতে হবে। আসলে এই প্লাটফর্মে আমার এতটাই ভালোবাসার জন্য গিয়েছে যে কাজ না করলে আর ভালো লাগে না। এছাড়াও আজকে যে গরমটা পরল তাতে সত্যিই খুবই খারাপ লেগেছে। একটু শান্তিতে ঘুমাবো তাও হচ্ছিল না কারণ বাসায় বা আমার এই দিকে কারেন্ট নাই। ঝড়ের কারণে একটু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যে কারণে তারা ঠিক না করা পর্যন্ত কারেন্ট দিচ্ছে না এই জ্বালাই একদম অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে আজকে অর্থাৎ গতকালকে রাত বারোটা থেকে আজকে এখনো অব্দি সময়টা খুবই অশান্তির মধ্য দিয়ে কেটে গেল। কি আর করবো সবিই পরিস্থিতির শিকার। তবে লোডশেডিং এর এ ব্যাপারে আজকে আমি সন্ধ্যার সময় দেখলাম মানুষজন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। কারণ প্রত্যেকের বাড়িতে কিছু না হলে ফ্রিজ রয়েছে আর ফ্রিজে অনেক মাছ-মাংস রয়েছে সেগুলো এই বিদ্যুতের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। কারণ অনেকের ফিরে যে অনেক মাংস মাছ রয়েছে সেগুলো তো একদিনে রান্না করে খেতে পারছে না আবার ফ্রিজে রেখে দিবে তাও হচ্ছে না কারণ আজ প্রায় 24 ঘন্টা কানেক্ট নাই যে কারণে ফ্রিজের বরফগুলো গলে যাচ্ছে। এটা খুবই একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার। এতো এক অশান্তি অন্যদিকে আরো এক অশান্তি হচ্ছে কেউ একটু আরাম করে ফ্যানের নিচে ঘুমাতে পারছে না। আজকের তুলনায় গতকালকে আবহাওয়াটা একটু নরম ছেলে এবং বাতাস ছিল যে কারণে সবাই একটু শান্তিতে ঘুমালেও কিন্তু অনেক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আমি এই দুইদিনে বুঝতে পারলাম যে কারেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকে কয়েকটা দিন আমি দেখতে ছিলাম পুরা গ্রাম একদম অন্ধকার শুধু বিদ্যুৎ নেই বলে। যদিও বিদ্যুৎ চলে গেলে সবাই চার্জার লাইট ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই চার্জার লাইট গুলো খুব বেশি ছয় ঘন্টার উপরে চার্জ থাকে না। এদিকে গতকালকে রাত বারোটা থেকে আজ এই রাত্রি পর্যন্ত বিদ্যুতের কোন দেখা নেই। এদিকে সবার লাইটের চার্জ ফুরিয়ে গেছে এমনকি প্রত্যেকেরই মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে আছে যার কারণে এই কবরের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে না এটা একটা হতাশা ময় ব্যাপার। এদিকে আমার ফুফু মণি বারবার ফোন দিচ্ছে কিন্তু আমাদের ফোন তো বন্ধ যে কারণে যোগাযোগ হচ্ছে না। এতে আমাদের টেনশন আরো বেড়ে যাচ্ছে এমনকি তার টেনশন ও বেড়ে যাচ্ছে। আজ আমরা এই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস গুলো ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচতে পারে না কারণ পরিকল্পনাও করতে পারি না। আজ এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা দূরবর্তী মানুষদের সাথে খুব নিমিষেই যোগাযোগ করতে পারছি কিন্তু আজ এই দুইদিন মানুষ এতটাই অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে যে শুধুমাত্র এই লোডশেডিং এর জন্য। কারণ যে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করবে সে ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে চার্জ নেই বলে। আবার কোন কোন ফোনে চার্জ থাকলেও যোগাযোগ হচ্ছে না কারণ নেটওয়ার্কের অনেক সমস্যা। সব মিলিয়ে লোডশেডিং এর জ্বালায় জীবনটা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি

@biplob89

আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

💝 আল্লাহ হাফেজ 💝

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

একদম মনের কথা বলে দিয়েছেন ভাই আপনি। আমাদের এদিকে ও গত দুইদিন পরে আজকে বিদ্যুৎ আসলো এটা খুবই কষ্টকর একটা বিষয় আমাদের সকল পাবলিকের জন্য। যাই হোক আশা করি এবার থেকে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে ধন্যবাদ আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে বর্ণনা দেওয়ার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ‌।

 last year 

এর আগে একবার এরকম হয়েছিল আমি তো আইপিএসের পাশে ফোন নিয়ে বসেছিলাম যাতে পুরোপুরি চার্জ হয়। আপনি যদি পাশে বসে থাকতেন তাহলে হয়তো পুরোপুরি চার্জ হয়ে যেত। আর দীর্ঘ ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বিশেষ করে ফ্রিজের মাস-মাংসের সমস্যাটা একটু বেশি হয়েছে।

 last year 

আসলে ভাইয়া বসে থাকতেও ভালো লাগছিল না।

 last year 

আসলে বিভিন্ন দুর্যোগের সময় এই ধরনের লোডশেডিং দেখা যায়। কিন্তু আমাদের এখানে ৪-৫ ঘন্টার বেশি লোডশেডিং কখনো থাকেনা। যাইহোক গ্রামের দিকে এই ধরনের অসুবিধা হয়। এই আধুনিক যুগে আমরা মোবাইল ফোন ছাড়া একদম চলতে পারি না। যাইহোক আমার মনে হয় আপনাদের ওখানে খুব দ্রুত কারেন্ট চলে আসবে। আর এই দুর্যোগের দিনে সবাই মিলে সাবধান থাকবেন।

 last year 

ভাই আপনার ওইখানে অল্প সময় লোডশেডিং হয় বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু ভাইয়া এখনো একঘন্টা পরে কারেন্ট আসছে বাট দুই মিনিট থেকে চলে যাচ্ছে। খুবই অশান্তিকর একটা ব্যাপার।

 last year 

আসলে ঘূর্ণিঝড় রে মালের তাণ্ডবে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখানেও দুইদিন বিদ্যুৎ ছিল না নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম। সেই সময়টা খুবই খারাপ গিয়েছে মনে হয়েছে একদিন এক বছরের সমান। সব জায়গায় একই অবস্থা পুরো বাংলাদেশের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানায় এই পরিস্থিতি বর্তমান সব ঠিকঠাক।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই। এই রেমাল আমার তো বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া এত লম্বা টাইম ধরে লোডশেডিং হয়ে রয়েছে যেন আমাদের জন্য বেশ কষ্টদায়ক বিষয়। তবে যে ঝড় অমরাবতিক্রম করলাম এমনটা। কারণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কারেন্টের তার ছিড়ে ছুটে গেছে। এই কারণে লোডশেডিং এর সমস্যাটা একটু বেশি হয়েছে। যাইহোক এই বিষয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 last year 

হ্যাঁ আপু বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিষয়টা আমি সন্ধ্যার মুহূর্তে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

লোডশেডিং এর কারণে আজ বেশ কষ্টের মধ্যেই দিনটা পার করেছিলাম। বর্তমান মানুষ জন বিদ্যুতের উপর এতটাই ভরসা করে ফেলেছে যে এইমাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকাতেই সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আর মোবাইলের কথা কি বলব সবাই চার্জার গলায় ঝুলিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করছে যদি কোথাও সুযোগ পায় চার্জ দিবে। আমিও এই সংকটে ভুগেছিলাম তবে খুব বেশিক্ষণের জন্য নয়। আর এতক্ষণ পর্যন্ত লোডশেডিং থাকার কারণে ফ্রিজের জিনিসগুলোর অবস্থাও খারাপ হয়ে গেছে অনেকের। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে অনেক কষ্টে মোবাইল চার্জ করে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাইয়া আমার এখানে দুইদিন কারেন্ট ছিল না বিষয়টা খুবই কষ্ট কর। ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।