হঠাৎ বাড়ির পাশে আগুন।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ ২৮/০২/২০২৪) রোজ: বুধবার
এইতো কয়েকদিন আগে এশার নামাজ শেষ করে একটু বাসার বাইরে বের হয়েছিলাম। বাসা থেকে বের হয়ে একটি পুলের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সাথে আমার একটা বড় ভালো ছিল দুই জনা কি যেন একটা কথা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ ওই ভাইটি আমাকে বলে বিপ্লব দেখো ওই যে অনেক দূরে আগুন দেখা যাচ্ছে। তবে বিষয়টা আমি খুব একটু বেশি গুরুত্ব দিলাম। তবে আমিও যখনই আগুন দেখছিলাম দূর থেকে তখন দুই ভাই মিলে চিৎকার করতে করতে দৌড়ে গেলাম সে আগুনের কাছে। আমাদের চিৎকার এবং হইচই শুনে মহল্লার মানুষ সব বাসা থেকে বের হয়ে আসলো। আমরা দুই ভাই প্রথম দেখছিলাম এই আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। তাই আমরা এরকম হইচই করতে করতে লোকজন জড়ো করে নিয়ে ওই আগুনের কাছে গেলাম। তখন রাত প্রায় নয়টা বাজে। কাছে গিয়ে দেখলাম আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে এমন সময় আমি উপরের এই ফটোগ্রাফিটি আমি সংগ্রহ করি। আপনারা ছবিটিতে লক্ষ্য করছেন আগুন একদম তার গতিতে জ্বলছে।
তবে প্রথম পর্যায়ে আমি আর আমার ওই ভাইয়া দুজন মিলে যখন আসে তখন সেখানে লোকজন খুব একটা ছিল না কিন্তু আমাদের চেঁচামেচিতে আরো অনেক মানুষ জড়ো হল। সেখানে দেখতে পেলাম যে একটি রান্নাঘরে এই আগুনটি লেগেছে। গ্রামের অনেক রান্নাঘরেই পাট খড়ির বেড়া এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি। আজ কয়েকটা দিন বেশ রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে আর এই পাটখটি গুলো এই রোদের তাপে আরো শুকিয়ে গেছে তাতে আগুন লেগেছে আর দাউ দাউ করে জ্বালা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে বাড়িতে আগুন লেগেছিল সেই বাড়িতে ওই বাড়ির লোক সেদিন ছিল না। ওই বাড়িতে যে চারজন সদস্য থাকে তাদের মধ্যে তিনজন ছিল আর তোর বাড়িতে এবং তার মেয়ে এবং ফুফু ছিল সে বাড়িতে। তবে গ্রামের একটা বিষয় হচ্ছে যদি কেউ বিপদে পড়ে তাহলে সবাই একসাথে এগিয়ে আসে যাতে সে বিপদ থেকে তাদের রক্ষা করা যায়। এই রান্না ঘরের পাশেই ছেলে একটু খেজুর গাছ খেজুর গাছটি একদম আগুনের তাপে কালো হয়ে গেছে। এই রান্না ঘরের উপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইন দেয়া ছিল তাই খুব দ্রুত বিদ্যুতের অফিসে ফোন দিয়ে কারেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার আদেশ দেওয়ায় তারা খুব দ্রুত বন্ধ করে দিল। এক পর্যায়ে অনেক মানুষ আশায় আগুন নিভানোর চেষ্টা করল আমিও তাদের সাথে একটু সাহায্য করলাম।
একদম দেখলাম মিনিটের মধ্যেই অনেক লোক সেখানে এসে হাজির হলো। যদিও অনেক মানুষের ফটোগ্রাফি তখন সংগ্রহ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না কারণ আমি একদম হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম এই আগুন দেখে। কারণ আগুনটি খুবই ভয়ানক ছিল যা আপনারা উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন। আসলে আগুনটি এতো ই তেজী ছিল যে দূর থেকে তাপ মনে হচ্ছিল গায়ের মধ্যে চলে আসছে। তবে আগুন কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আসছে না তাই পানি দেওয়া দরকার কিন্তু এদিকে কারিঙ্গ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোটারের পানি ছাড়া এ আগুন কখনোই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। তাই পুনরায় আবার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে কারেন্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলে খুব দ্রুত কারেন্ট চলে আসলো এবং মোটারের লাইন দিয়ে সেখানে পানি স্প্রে করা হলো। এছাড়াও অনেক মানুষের ভিড়ে কেউ হাতে লাঠি নিয়ে আগুনের উপরে বাড়ি দিলো কেউ কি বলছে কে পানি দিল এছাড়াও মোটার দিয়ে পানি দিল এভাবে একপর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলো।। তবে এই আগুন যদি নিয়ন্ত্রণ না আসতো তাহলে ওই বাড়িওয়ালার অনেক ক্ষতি হয়ে যেত। কারণ রান্না ঘরের পাশেই তাদের থাকার স্থান এবং তারই পাশে রয়েছে গোয়ালঘর অর্থাৎ আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলে সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যেত এবং একদিক থেকে বাড়ি আনা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হতো। সবই আল্লাহ পাকের ইচ্ছা তাই মানুষের চেষ্টায় সে আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছিল। আর এখন যে গরম বা রোদ পড়ছে এতে আগুন লাগলে সে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই কষ্টকর ব্যাপার তাই সবাই সচেতন থাকবেন এবং আগুন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি
আশা করি পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। সকলের মতামত অবশ্যই নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
রান্নাঘরের চুলা থেকে অসাবধানতা বসত এভাবে আগুন লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়। গ্রামের মানুষের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আমাদের এখানে অনেক আগুন ধরে বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি হয়েছে কিছুই করার থাকে না। গরমের সময় এসেছে এখন সাবধানে থাকতে হবে আগুন থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাইহোক, বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটে নি এটাই ভালো খবর।
হমম ভাইয়া ধন্যবাদ।
আসলে বর্তমান জেনারেশনের মানুষ একটু অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। তাদের অসাবধানতার কারণে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের কে। আপনি এবং ভাই সহ আগুন দেখে চিৎকারের মাধ্যমে এলাকায় মানুষ বের হয়ে পড়ে। এরপর তারা সকলে মিলে আগুন নিহানোর জন্য চেষ্টা করে।
ভাইয়া বানানের দিক থেকে অবশ্যই সচেতন থাকবেন ধন্যবাদ।
আগুনের ভয়াবহতা তিনবার সামনাসামনি দেখেছ। সত্যি অনেক খারাপ লাগে দেখল। এবং অনেক ভয় কাজ করেন মনের ভিতর।
চোখের সামনে দেখেছি মানুষকে নিঃস্ব হয়ে যেতে।
আসলে আগুন লাগলে মানুষ একদম নিঃস্ব হয়ে যায় সবকিছু পুড়ে।
আপনার পোস্টটি দেখে আসলে খুবই খারাপ লাগল।
ভাইয়া মনে হচ্ছে আপনি সম্পূর্ণ পোস্ট পরেন নি। কমেন্ট করার সময় অবশ্যই সঙ্গতিপূর্ণ কিছু লিখবেন তাহলে ভালো হয় ধন্যবাদ।
আপনার বাড়ির পাশে আগুন লেগে গিয়েছে হঠাৎ করে এটা জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগলো। আগুনের ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই একটু সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত কারণ এটা যদি একবার ভালোভাবে লেগে যায় তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি করে দিতে পারে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
এখনকার সময়ে সকলে যেন আগুনকে একটি খেলা মনে করে। যেখানে সেখানে আগুন ধরিয়ে রাখে এবং গ্যাসের চুলার কথা তো আর কি বলব। এটি ২৪ ঘন্টায় চলতে থাকে। আপনার বাড়ির পাশে হঠাৎ আগুন লেগে গিয়েছে শুনে খুব খারাপ লাগলো। হয়তো কোন ধরনের অসচেতনতার কারণে এরকম ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই সচেতনতা অবলম্বন করে চলা উচিত। কারণ একবার যদি এই আগুন লেগে যায়, তাহলে এটি নেভানো পর্যন্ত অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম মুল্যবান একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।