ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে যাওয়া আমার অত্যন্ত ফেভারিট একটি আম গাছের বাস্তব কাহিনী // পর্ব-০৩.
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বৃহস্পতিবার। ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে আমার ফজলি আমগাছটা একেবারেই লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার মতো হয়েছিল। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় রিমাল যেদিন আঘাত হেনেছিল, সেদিন প্রায় সকাল থেকে পুরো সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা ঝড় ও বৃষ্টি পড়েছিল। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আমার ফজলি গাছের সবগুলো ডাল প্রায় ভেঙ্গে পড়ার মতো হয়েছিল। একই সাথে ফজলি গাছ থেকে বেশ কয়েকটি আম পড়তে শুরু করেছিল। সকালের দিকে ফজলি আম পড়েছিল ঝড়ের প্রভাবে ছয় সাতটির মতন। এরপর সকাল দশটার পরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সামান্য পরিমাণ কমে ছিল।
সামান্য পরিমাণ ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখে মনে করেছিলাম হয়তো অল্পের উপর দিয়েই আমার ফজলি গাছের ফজলি আমগুলো রক্ষা পেল। কিন্তু দুপুর হওয়ার সাথে সাথে ঝড়ের তীব্রতা আবার বৃদ্ধি হয়ে গেল। ঠিক তখন আমার সামনেই ঘূর্ণিঝড়ে এক ঘূর্ণিপাকেই আমার ফজলি গাছের ১২-১৩ টি ফজলি আম পড়ে গেল এবং একটি আগার ডাল ভেঙ্গে গেল। চোখের সামনে প্রিয় গাছে এতগুলো আম এবং একটি ডাল ভাঙ্গা দেখে আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু কিছুই করার নেই। আমগুলো দ্রুত কুড়িয়ে নিজের নিরাপদ আশ্রয় চলে আসলাম
এরপর ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গেল। আর মাঝে মাঝে এমন দমকা এবং ঘূর্ণিপাক হওয়া শুরু হলো, মনে হচ্ছিল যেন ঘরবাড়ি পর্যন্ত ভেঙ্গে উড়িয়ে নিয়ে চলে যাবে। যাহোক ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিক থেকে সরাসরি দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বেলা যতই সন্ধ্যার দিকে গড়া ছিল ঝড়ের তীব্রতা ততই বাড়ছিল। ঠিক এমন মুহূর্তে সন্ধ্যার দিকে আমার ফজলি আম গাছের গোড়ায় গিয়ে দেখি চারিদিকে আম ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। শখের প্রিয় গাছের এতগুলো আম ঝড়ের আঘাতে পড়ে থাকা দেখে মনটা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেল।। এরপর সবগুলো আম কুড়িয়ে নিয়ে আসলাম।
আমার পরিচয়।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।
আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
বৃষ্টির দিনের প্রিয়
আম কোড়াতে খুব ভালো লাগে। আসলে ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের আমগুলো যখন পড়ে যায় তখন একটু নিজের কাছেও খারাপ লাগে তবে পরবর্তীতে যখন সেগুলো কুড়িয়ে ঘরে আনা যায় তখন একটু ভালো লাগে। যাই হোক আপনার অনেক পুরনো একটি স্মৃতি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।