জেনারেল রাইটিং :- আমি বৃষ্টিতে হাটতে ভালোবাসি কারন তাতে চোখের জল বোঝা যায়না।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনীয় একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। আমার টপিক হচ্ছে আমি বৃষ্টিতে হাটতে ভালোবাসি কারন তাতে চোখের জল বোঝা যায়না। প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোন না কোন কষ্ট থাকে। আর এই কষ্টের কারণে মানুষের চোখে পানি আসে। আবার কিছু কিছু মানুষের কষ্ট আছে যেগুলো মানুষকে বুঝাতে পারে না। আর চোখের পানিও মানুষকে দেখাতে চাইনা মানুষ। কারণ নীরবতা অনেক সময় অনেক কিছু বুঝে মানুষকে। অনেকে আছে চোখের জল কারো সামনে ফেলেতে চাই না। নিজের কষ্ট নিজের মনে লুকিয়ে রাখতে চাই। কারণ নিজের কষ্টগুলো যখন নিজের কাছে লুকিয়ে থাকে তখন বুকে কষ্ট থাকলেও মানুষের চোখে কষ্ট বোঝা যায় না। আর এরকম হাজার কষ্ট মানুষের মনে আছে।

যেমন দেখা যায় অনেকে বৃষ্টিতে হাঁটতে ভালোবাসে। কারণ বৃষ্টিতে হাঁটতে গেলে শরীর মন ভালো হয়। আর অন্যদিকে চোখের জল যাই সেটা বুঝা যায় না। কারণ বৃষ্টির পানি এতই জোর থাকে চোখের পানি একদম দেখা যায় না। অনেকে মনে করে বৃষ্টিতে ভিজে সে আনন্দ করতে লাগলো। আর বৃষ্টি ভেজার মধ্যে তার শত কষ্টের চোখের পানি মুছে যাচ্ছে। এতে করে কেউ অনুভব করতে পারল না তার চোখের পানিগুলো। আর বৃষ্টিতে ভেজা মানে আনন্দ না। কখনো কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে গেলে কষ্টগুলো দূর করতে চাই। চোখের পানি এমন মানুষের মনে কষ্ট থাকলে এমনিতে চোখ দিয়ে পানি পড়ে। আবার আনন্দের সময়ও চোখে পানি আসে। তবে পানির মধ্যে ব্যবধান থাকে চোখের।

আবার রাতকে অনেকে ভালোবাসে। কারণ রাতের আওয়াজ এবং কান্না অনেকের কান পর্যন্ত যায় না। কারণ রাত্রে নিঃশব্দ থাকে এই কারণে মানুষের কান্নার আওয়াজ অনেক বুঝতে পারে না। এবং বেশিরভাগ মানুষ রাত্রেবেলা ঘুমিয়ে পড়ে। আর যার মনে শত কষ্ট আছে তার নীরব কান্নার শব্দ অনেকে বুঝতে পারে না। কারণ মানুষের কান্নার মধ্যে যখন কষ্ট থাকে তখন চোখ দিয়ে পানি পড়ে। হয়তোবা এই কান্নাগুলো কাউকে বলাও যায় না আবার চুপ থাকা যায় না। আবার মানুষের বিভিন্ন ধরনের বেদনার কারণ ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে। আর যে মানুষের চোখে মুখে কষ্ট থাকে কান্না থাকে সেই বুঝতে পারে তার কষ্টের কথা। এই কারণে রাত্রে নিরব সময় অনেকের কাছে ভালো লাগে। কারণ তাদের কষ্টের আওয়াজ কেউ শুনতে পারে না।

আবার দেখা যায় কষ্টের সময় অনেকে গান গাইতে পছন্দ করে এবং গান শুনতে পছন্দ করে। বেশিরভাগ মানুষ দেখা যায় কষ্টের সময় গান শুনে। আর ওই সময় বুকের কষ্ট গুলো সুরের মধ্যে মিশে যায়। আর ওই কষ্টগুলো সাময়িক হলে ভুলতে পারে। অনেকে বলে কষ্ট যখন মনে বেশি থাকে তখন গান গাইলে বা গান শুনলে কিছুটা হলে কষ্ট কমে। আবার দেখা যায় প্রিয় কিছু গান শুনতে গেলে মনের কষ্টগুলো ওই সময় লুকিয়ে যায়। কারণ ওই গানগুলোর কারণে তার মন একটু শীতল থাকে। আর মন যখন শীতল থাকে তখন তার কষ্টগুলো একটু কমে যায়। এই কারণে অনেকে গান শুনতে এবং গান গাইতে পছন্দ করে কষ্টের সময়। আর গান শোনার মধ্যে অনেকে মনে করে হয়তো লোকটি আনন্দে আছে এবং এই কারণে গান শুনতে লাগলো।

অনেক সময় আবার দেখা যায় কষ্টের সময় অনেকে সমুদ্র ধারে বসে থাকতে ভালোবাসে। কারণ সমুদ্রর ধারে বসে থাকলে দেহ এবং মন খারাপ থাকা লুকিয়ে যায়। আর ওই সময় মন শীতল থাকে এবং কষ্টগুলো দূর হয়। কারণ নদীর ধারে গেলে নদীর সৌন্দর্য প্রাকৃতির সৌন্দর্য সবকিছু অন্যরকম ভালো লাগে। আর এই কারণে মানুষের মনের কষ্ট দূর হয়। আর নদীর শব্দের ঢেউগুলো মানুষের মনকে নাড়া দেয়। এই কারণে মানুষের মন সাময়িক হলে ভালো হয়। আর কষ্টের সময় যদি মানুষের মন সাময়িক ভালো হয় তখনও নিজের কাছে শান্তি পাওয়া যায়। এই কারণে কষ্টের সময় অনেকে নদীর ধারে বসে থাকে এবং নদীর ঢেউ উপভোগ করে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰