গল্প :- মানুষের স্বভাব যখন খারাপ হয়।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার শ্বশুরবাড়ি একটি পরিবারের ঘটনা। আমার শ্বশুরবাড়িতে মোটামুটি ১০ থেকে ১২ পরিবার বসবাস করে। তবে গ্রামাঞ্চলের মানুষগুলো একটু সরল থাকে। আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলো খুব ভালো। এবং আমার শ্বশুর বাড়িতে একটি মহিলা আছে সেই সরকারি মাদ্রাসায় চাকরি করে। যদিও পুরুষ মানুষ অনেকে শিক্ষকতা করে। আর মহিলার মধ্যে এই মহিলাটি মাদ্রাসা শিক্ষকতা করে। এবং এই মহিলার মুখের ব্যবহার খুব মধুর। তবে মানুষের সাথে এত সুন্দর করে কথা বলে তা বলে বোঝানো যাবে না। এবং মহিলাটি মাদ্রাসায় যেমন ক্লাসে লেকচার দেন সেম বাড়িতেও মানুষের সামনে লেকচার দিয়ে কথা বলে। তার কথার মধ্যে অনেক প্যাচ থাকে।
মহিলাটির হাজবেন্ড ও এরকম ছিল । যদিও মহিলার হাজবেন্ড মারা গেল। আর মহিলাটি আমাদের ভাবি হয়। এই মহিলা সারাক্ষণ নিজের কাছে নাই নাই বলে শব্দ করে। মহিলাটি সরকারি চাকরি করে আর তিন ছেলে মোটামুটি ভালো অবস্থা আছে। এবং এই মহিলা কোন কাজে কাউকে একটা টাকাও দেয় না। যদি কেউ জিজ্ঞেস করে কেমন আছেন। তখন মহিলাটি বলে ভালো নেই। পরিবারের অভাব সুন্দর মতে চলাফেরা করতে পারছে না। আর এই কথাগুলো মানুষদেরকে বলে। এবং এই মহিলা তার হাজবেন্ডের বোনদেরকে কখনো ভাত বা এক কাপ চা ও খাওয়া না। এবং তার হাজবেন্ডের বোনগুলো আসলে ঘরের দরজাও মেলে না। সারাক্ষণ তার অভাব লেগেই আছে এই কথা বলে।
তার বড় দুইজন ছেলে চাকরি করে। শুধু ঘরে মহিলাটি এবং তার ছোট ছেলে। তবে মহিলাটির নাম হচ্ছে রেখা। আর রেখা ভাবি যদি কারো থেকে টাকা ধার নেই এই টাকাগুলো আর দেই না। শত চেষ্টা বা বিচার দিল এই টাকাগুলো সে আর দেই না। বলতে গেলে টাকা নিলে এই টাকা যে কেউ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন আগে বাড়িতে তার হাজবেন্ডের বড় ভাবির সাথে ঝগড়া লাগলো। রমজান আসলো সেই ঠিকমত খেতে পারছে না এই কথা বলে ঝগড়া করতে লাগলো। তোমরা বাইরের মানুষকে হেল্প কর কেন আমাকে হেল্প করো না। এবং হাজবেন্ডের ভাবী বলল তুমি সরকারি চাকরি করো এবং তোমার দুটি ছেলের চাকরি করে। বাড়ির সবার থেকে তোমার অবস্থা ভালো। আর তোমাকে কেন আমরা হেল্প করব।
এই বলে রেখা ভাবি তার হাজবেন্ডের বড় ভাবির সাথে ঝগড়া লাগলো। তবে এই রেখা ভাবি আমার হাসবেন্ড বিদেশ থেকে আসার পর তার থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকাগুলো আর দেই নাই। যদিও আমার হাজব্যান্ড তার কাছ থেকে ওই টাকাগুলো আর চাই না। কারণ জানে সেই টাকাগুলো আর দেবে না। এবং তার ছোট ছেলে যখন বাড়িতে থাকে তখন রান্নাবান্না করে। আর ছোট ছেলে যখন বাড়িতে থাকে না তখন সে রান্নাবান্না করে না। দুপুরবেলা এক জায়গা থেকে খেয়ে ফেলে রাত্রে বেলা হালকা নাস্তা খেয়ে থেকে যায়। আর বাড়িতে সারাক্ষণ ছেলেমেয়েদেরকে প্রাইভেট পড়াই। তবে বাড়িতে সবার থেকে অবস্থা তার ভালো।
তার ঘরটি অনেক বড় করে পাকা করে বিল্ডিং দিয়েছে। সত্যি বলতে এই মহিলাটির মুখের ব্যবহার এত মিষ্টি যে কেউ প্রথম দেখলে তার মুখের ব্যবহার মুগ্ধ হয়ে যাবে। আর সারাক্ষণ মানুষের কাছে তার অভাব টাকা পয়সা নেই এই কথা বলে। এখন বাড়িতে অনেকে বলে এই মহিলা নাকি বৃদ্ধ হলে মানুষের কাছে এভাবে টাকা চাইবে। যদিও এই কথাগুলো বাড়ির কিছু লোক বলে। কারণ একজন শিক্ষিত মানুষ টাকা পয়সা সব আছে। তারপরও সারাক্ষণ নাই নাই বলে। নিজেকে ছোট করে এবং পরিবারের ছেলেদের কে ছোট করে। তবে রেখা ভাবি তার স্বামীর কোন মেহমান আসলে ঘরের দরজাও মেলে না। আর নিজের বাড়ির মেহমান আসলে অনেক আপ্যায়ন করে। এবং কি বাড়ির ছোট বড় সবাইকে অনেক জ্ঞান দেয়। এবং সেই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে এই কারণে কেউ সামনে কিছুই বলে না। পিছনে শুধু সারাক্ষণ মানুষ তার বদনামি করে। এখন অনেকে বলে তার স্বভাব নাকি খারাপ। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1903424883163570362?t=WOGcPxcbs9X9qc9LgKtEvQ&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1903427091460473097?t=egGG44rx8K3zbCaEi46hlQ&s=19
আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। সমাজে এমন স্বভাবের মানুষের সংখ্যা কম নয়। তারা সবসময় অভাবের কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে ভালো অবস্থানে থাকে। অন্যদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য তারা এই আচরণ করে। আপনার লেখায় বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটেছে। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য!