(এসো নিজে করি) আর্ট :- পুরাতন চশমার উপরে আলাদা দুইটা শীতকালের দৃশ্যের পেইন্টিং
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদেরকে সুন্দর একটা পেইন্টিং করে দেখাবো। এরকম পেইন্টিং গুলো করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ পোস্টার রঙ দিয়ে আঁকলে রংগুলো খুব তাড়াতাড়ি ছবির সাথে মিশে যায়। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে যে জিনিস গুলোর উপরে পোস্টার রং গুলো একেবারে মিশতে চায় না। যেমন এই চশমার উপরে আমার রং করতে অনেক বেশি অসুবিধা হয়েছিল। কারণ চশমার গ্লাসের উপরে একেবারে রং মিশানো যাচ্ছিল না। কিন্তু নিজের চেষ্টার মাধ্যমে পুরোপুরি ভাবে সুন্দর করে পেইন্টিং টি করার চেষ্টা করলাম। সত্যি বলতে আমার এই পেইন্টিং করতে দুদিন সময় লেগেছিল। কারণ প্রথম প্লেয়ার পেইন্টিং করার পরে শুকানোর জন্য অনেকক্ষণ রেখে দিতে হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে আবারো পেইন্টিং করলাম।
আপনারা এর আগেও আমার চশমার উপরে অন্য একটি পেইন্টিং দেখেছিলেন। যেই পেইন্টিং টি বিশেষ করে আমাদের সকলের প্রিয় @rme দাদার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আর আমি অনেক কৃতজ্ঞ কারণ দাদা আর আপনাদের উৎসাহ পেয়ে আজকে আমি আবারও আরো একটি পেইন্টিং করার চেষ্টা করলাম। নিজের কাছের মানুষগুলোর থেকে উৎসাহ পেলে কাজগুলো কেন জানি সহজ মনে হয়। তাছাড়া আমার মেয়ে মাইসুনকে লাগিয়ে যখন ছবি তুলতে চেয়েছিলাম তখন একেবারে ছবি তুলতে দিচ্ছিল না। আমার মেয়ে তো চোখে না লাগিয়ে শুধুমাত্র গলায় চশমাটি লাগানোর চেষ্টা করল।😀 যাইহোক আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার আর্ট গুলো সব সময় পছন্দ করার জন্য। আশা করি আমার আজকের এই চশমার উপরে আলাদা দুটি পেইন্টিং আপনাদের আবারও ভালো লাগবে।
আঁকার উপকরণ
✓ আঁকার খাতা
✓ পোস্টার রং
✓ রং করার তুলি
✓ পেন্সিল
✓ রাবার
✓ কাটার
✓ মার্কার
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি চশমার একপাশে গাড়ো নীল এবং হালকা নীল রং দিয়ে একটি চশমা রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২ :
তারপর নীল রঙের মাঝখানে লাল আর সাদা রং দিয়ে একটি সুন্দর ঘর এবং চারপাশে কিছু দূরের সাদা পাহাড়ি গাছ রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
তারপর ঘরের একপাশে একটি সুন্দর রাস্তা কফি কালার রং দিয়ে সুন্দর করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
তারপর হালকা সবুজ এবং গাঢ় সবুজ রং দিয়ে সুন্দর করে ঘরে চারপাশে আরো কিছু পাহাড়ি গাছ রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
তারপর উপরে নীল রঙের আকাশের মধ্যে একটি চাঁদ এবং ছোট ছোট তারা সুন্দর করে রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
তারপর একই রকম ভাবে অপর চশমার মধ্যেও গারো নীল এবং হালকা নীল রঙ দিয়ে সুন্দর করে চশমাটা রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৭ :
তারপর কালো আর সাদা রং দিয়ে একপাশে একটি গাছের ডাল এবং একটি পাহাড়ি গাছ রং করে নিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
তারপর গাছের সাথে একটি স্নোম্যান সাদা এবং আরো কয়েকটি কালার দিয়ে সুন্দর করে রং করে নিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এভাবে চশমার উপরে খুব সুন্দর একটি পেইন্টিং করে নিলাম। আশা করি আজকে আবারো আমার পেইন্টিং টা আপনাদের সবার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
পুরাতন চশমার উপরে আলাদা দুইটা শীতকালের দৃশ্যের পেইন্টিং অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। পেইন্টিং টি দেখে মনে হচ্ছে চশমার কাঁচে প্রকৃতির দৃশ ভেসে উঠেছে। দুদিন তো সময় লাগবেই রং শুখাতে এবং এতো নিখুঁত কাজ করতে।মামনির পছন্দ হয়ে গেছে চশমাটি টাই সে নিয়ে আর ফটোগ্রাফি করতে দিচ্ছিলো না।ধন্যবাদ সুন্দর আর্ট পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এমনিতেও পুরাতন জিনিসগুলোকে আমরা সবসময় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করি তাই আমার কাছে যে কোন আর্ট করতে ভালো লাগে
https://x.com/bdwomen2/status/1855092898720887289?t=Yo-PxVt2KiRXgLCga7h4qQ&s=19
আপু আপনার পোষ্টের সব সময় নতুন নতুন জিনিস দেখি যা আমার ভীষণ ভালো লাগে। পুরাতন চশমার ওপর দারুন দুইটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের আর্ট করেছেন। দুইটা আলাদা আলাদা দৃশ্য হওয়ার কারণে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। শীতকাল আসতে না আসতে এত সুন্দর দুটি দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার আঁকা এই পেইন্টিং আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম
মাইসুন চশমাটা লাগাবেই বা কি করে। কিছু তো দেখা যাচ্ছিল না, তাই বারবার গলায় পড়ছিল। আপনি আজকেও চশমায় এত সুন্দর পেইন্টিং করেছেন দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হলাম। শীতকালীন দুটো দৃশ্যের পেইন্টিং করেছেন দারুণভাবে। অনেক নিখুঁতভাবে অঙ্কন করেছেন বুঝতে পারছি দেখেই। পুরনো জিনিসগুলোকে ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন। এই আইডিয়াগুলো অনেক ভালো। আপনার দক্ষতা মূলক কাজ দেখে জাস্ট মুগ্ধ আমি।
ঠিক বলেছেন চশমার পিছনে শুধু অন্ধকার তাই বারবার গলায় পড়ার চেষ্টা করল
আপু এমন সুন্দর সুন্দর বুদ্ধি আপনি কোথা থেকে পান বলুন তো। কি অসাধারণভাবে চশমার কাঁচের উপর ছবিগুলি আঁকলেন। এমন সুন্দর অভিনব ভাবনা সকলের মধ্যে আসবে না। তবে এই চশমাটি পড়লে কিন্তু দারুণ দেখাবে। হা হা হা। ছবি দুটি ও দুর্দান্ত হয়েছে। এমন অভিনব ভাবনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
চিন্তা ভাবনা করে বের করলে সব সময় বিভিন্ন রকম চিন্তা মাথায় আসে
দাদার উৎসাহ পেয়ে আবারো চশমার উপরে আর্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। এর আগেও আপনার চশমা আর্টটি দেখেছিলাম। খুব সুন্দর হয়েছে আজকে শীতের দুটি আর্ট। ভালো লাগছে দেখতে। বিশেষ করে বাম পাশে আর্টটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার বাচ্চাকে পড়ানোর পর খুব কিউট লাগছে দেখতে।
ঠিক বলেছেন নিজের মতো করে এবারেও চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি পেইন্টিং করে আপনাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য
ছোট কোন কিছুর উপরে পেইন্টিং করাটা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়।আগে একবার যখন করেছিলেন তখন সেটা তো দাদার বেশ পছন্দ হয়েছিল। আর আজকের চশমায় দারুণ দুটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন।এই ক্রিয়েটিভিটি গুলো দেখলে বেশ ভালো লাগে।
এই পেইন্টিংটা আপনাদের সবার বেশ ভালো লেগেছে যেন খুশি হলাম
অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর দৃশ্য তৈরি করতে দেখে। দারুন ভাবে আপনি দৃশ্য অঙ্কন করেছেন চশমার ফ্রেমে। আসলে ক্রিয়েটিভিটি একটা অন্যরকম জিনিস। যদি নিজের মধ্যে দক্ষতা থাকে তাহলে সে সমস্ত দক্ষতা গুলো যে কোনভাবে উপস্থাপন করা যায়।
এই পেইন্টিং করতে আসলে অনেক বেশি সময় এবং ধৈর্য ধরে করতে হয়েছিল
অনেক সুন্দর একটি পুরাতন চশমার উপরে আলাদা দুইটা শীতকালের দৃশ্যের পেইন্টিং করেছেন আপনি। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে যখন চমৎকার পেইন্টিংগুলো দেখি। আসলে এরকম ছোট কোন কিছুর উপর পেইন্টিং গুলো করতে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। আপনার অনেক ভালো দক্ষতা রয়েছে। অনেক চমৎকার পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে যে কোন জিনিসের উপরে পেইন্টিং করতে এমনিতেও সব সময় বেশ ভালো লাগে
হায় রে ক্রেয়েটিভিটি। এতো দেখি ক্রেয়েটিভিটির ঝলক। আপনার দক্ষতা দেখ বেশ মুগ্ধ হলাম আপু। দারুন সুন্দর করে আজ আপনি দুটো শীতকালের দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। তাও আবার চশমার ফ্রেমে। আশা করি আপনার কাছ থেকে আগামীতে আরও নতুন কিছু দেখবো।
আমি সব সময় চেষ্টা করি ভিন্নরকম কিছু করার জন্য আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম