গল্প :- অতি অহংকার ভালো না। (প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অতি অহংকার ভালো না। আমাদের পরিচিত একটি মহিলার জীবন কাহিনী আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মহিলাটার নাম হচ্ছে নাজু। নাজু পরিবারের একটিমাত্র মেয়ে। অবশ্য তার চারটি ভাই আছে। যদিও নাজু পরিবারের সবার ছোট এই কারণে ভাই গুলো তাকে অনেক আদর করে। নাজুর বাবা নামকরা প্রতিষ্ঠিত লোক। এই কারণে নাজুর বাবার এলাকাতে অনেক সম্মান এবং আদি বিস্তার আছে। এবং নাজুর বাবা এলাকাতে কয়েকবার ইউপি নির্বাচন করেছে। যদিও কোন বার সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারে নাই। এবং তাদের পরিবার অনেক সুখি। এবং নাজুর পরিবারে অহংকার টা বেশি ছিল। নাজুর মা-বাবা থেকে শুরু করে ভাই গুলো সবাই অহংকার করত।
অল্পতে তারা মানুষের মনে কষ্ট দিতেন। নাজু যখন হাই স্কুলে পড়ালেখা করত তখন নাজুকে অনেকে পছন্দ করতেন যুবক ছেলেগুলো। তবে কেউ যদি নাজুকে ভালোবাসার অফার দেই। সাথে সাথে নাজু ওই মানুষ এর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এবং জিজ্ঞেস করে তোমার কি আছে আমাকে ভালবেসে কি দিতে পারবে। এরপর মুখের ব্যবহার খারাপ করে মানুষের সাথে। ওই সময় অনেক ছেলে নাজুর উপর ক্ষেপেছিল। সুযোগ পেলে নাজুকে তারা কিছু করবে। যদিও তার বাবা এবং ভাইদের কারণে কোন মানুষ কিছুই করতে পারে নাই। এবং নাজু বাড়িতে মানুষগুলোর সাথেও ঠিকভাবে কথা বলতেন না। কারণ সেই মানুষের সাথে অহংকার দেখাতে টাকা-পয়সার বাবার।
তবে বাড়ির অনেক মুরুব্বীগুলো তাকে ভালো পেতেন না। এবং অনেক সময় অনেক মানুষ বলতো এই মেয়ে জীবনে সুখী হবে না। যখন নাজুকে তার বাবা বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে লাগলো। ওই সময় নাজু অনেক তাল বাহানা করত ছেলে দেখলে। কারণ ছেলে পছন্দ না হলে সে বিয়ে বসবে না। এদিকে নাজু পড়ালেখা করে বিদায় অনেকে তাকে চিনতো। আর নাজুর বাবার স্বপ্ন ছিল বড় টাকা পয়সা ওয়ালা ছেলের কাছে তার মেয়েকে বিয়ে দিবে। এরপর যখন নাজু কলেজে পড়ালেখা করতে লাগলো। তখন একটি ছেলে তাকে বিয়ের এবং প্রেমের অফার দিয়েছিল। নাজু ওই ছেলের সাথে ব্যবহার খারাপ করেছে। যদিও ওই ছেলের মা-বাবার টাকা পয়সা আছে এবং ছেলেটির ব্যবসা আছে। এই কারণে ছেলেটি জিদে গেলেন। সেই নাজুকে বিয়ে করেই ছাড়বে।
তারপর নাজুদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। আর ছেলেটির প্রস্তাব পেয়ে নাজুর বাবা বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। এবং নাজুর ভাই গুলো রাজি ছিল ওই ছেলের কাছে বিয়ে দেওয়ার জন্য। ওই সময় নাজুর পরিবার বিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ছেলের মা বাবার সাথে কথা বলতে লাগলো। এমন সময় ছেলেটি নাজুর কাছে মোবাইলে কল করলো কথা বলার জন্য। আর নাজু ওই সময় ও ছেলের সাথে ব্যবহার খারাপ করেছে। বলতে গেলে এটি নাজুর বদ অভ্যাস। এরপর ছেলেটি কিছুই বলে নাই এবং নাজুদের পরিবারের সাথে বিয়ে ঠিক করেছেন। এবং কিছুদিনের মধ্যে নাজু এবং ওই ছেলেটির সাথে তার বিয়ে হয়েছে। বিয়ে হওয়ার পর থেকেও নাজু অহংকার করতে এবং ছেলেটির পরিবারের সাথে ব্যবহার খারাপ করতেন।
ছেলেটি নাজুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে যে।তবে নাজু তার হাজবেন্ডকেও দাম দিতেন না। তারপরও নাজুর হাসবেন্ড চেষ্টা করেছেন নাজুকে ঠিক করার জন্য। তবে নাজু তাদের সাথে সব সময় খারাপ ব্যবহার করে। এরপর একদিন নাজুর হাসবেন্ড নাজুকে মারধর করলো। এই নিয়ে নাজুর পরিবার অনেক গরম হয়ে গেল। এবং নাজুর হাসবেন্ড ও তার পরিবারকে দেখে ছাড়বে তার ভাই গুলো বলেছে। এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ভালই ঝগড়া হয়েছে। এদিকে নাজু রাগ করে তার বাবার বাড়িতে চলে আসলো। এভাবে কিছু মাস গেল নাজু ও তার হাসবেন্ডের দিন। এরপর দুই পরিবারের কথা বলে আবার নাজুকে তার হাজবেন্ডের বাড়িতে পাঠালেন। তারপরও নাজু হাজব্যান্ড এবং পরিবারের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। যাইহোক আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরে পারবো নি হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।(চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bdwomen2/status/1928062880831713718?t=gtvpYSUuhpuWd4r-PqXFhg&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1928108158515298760?t=w-vkkpcD6BEbdjxc7RX2Iw&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1928108798394224858?t=xX7RTxwkH2nJSFqXaw8olQ&s=19
আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি গল্পের প্রথম পর্ব লিখেছেন। তবে এটি ঠিক অতি অহংকার কোন কিছুই ভালো না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম নাজু অনেক অহংকার করে। আর আমার কাছে মনে হয় নাজু বিয়ের পরে সুখী হবে না। যদিও আপনার প্রথম পর্বে এখনো ক্লিয়ার কিছু বোঝা যায়নি। যাই হোক পরের পরবে অপেক্ষ রইলাম।