গল্প :- কিছু মানুষ আছে নিজের পায়ের নিজেই কুড়াল মারে। (শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
এর আগে আপনাদের মাঝে প্রথম পর্ব শেয়ার করলাম আমাকে আবার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। তারপর রাবেয়ার ছেলেকে রেখে তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন। এই নিয়ে এলাকাতে অনেক তোলপাড় সৃষ্টি হল। তারপর রাবেয়া বাবার বাড়িতে আসার পর তার বাবাও তাকে বাড়িতে জায়গা দিচ্ছে না। কারণ রাবেয়ার বাবা মানুষ ভালো। রাবেয়ার বাবা বলছে এরকম মেয়ে সেই বাড়িতে জায়গা দেবে না। কারণ এরকম মেয়ে বাড়িতে জায়গা দিলে মা বাবার বদনাম হবে। এরপর রাবেয়ার দ্বিতীয় স্বামী তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন। কারণ রাবেয়ার দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে আগের তিনটি ছেলে মেয়ে আছে। একদিকে শালার ওয়াইফকে বিয়ে করে বিপদে আছে। অন্যদিকে তার আগের ওয়াইফও চাপ সৃষ্টি করল। এই কারণে রাবেয়ার দ্বিতীয় স্বামী রাবেয়াকে তালাক দিলেন।
এবং রাবেয়ার আগের স্বামী তো আগেই বিদায় হয়ে গেল। এবং রাবিয়ার বয়সের চেয়ে রাবেয়ার প্রথম হাজবেন্ডের বোনের হাজবেন্ডের বয়স অনেক বেশি। অনেকে বলে রাবেয়া আবেগের বয়সে বাবার বয়সের লোকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। এবং রাবেয়ার প্রথম স্বামীর অনেক টাকা পয়সা ছিল। এবং রাবেয়াকে সবাই আদর করতেন স্বামীর বাড়িতে। একটু ভুলের কারণে রাবেয়ার প্রথম স্বামীর সংসার এবং চুরি করে বিয়ে বসার দ্বিতীয় স্বামীর সংসারক নষ্ট হয়ে গেল। যদিও এলাকাতে বিচার হয়েছে। এবং রাবেয়া কিছু টাকা পেলে স্বামীদের কাছ থেকে। আর রাবেয়ার ছেলেটিকে তার বাবা নিয়ে গেলেন। এবং রাবেয়ার ভুলের কারণে রাবেয়ার সংসার নষ্ট হয়ে গেল। রাবিয়ার কারণে রাবেয়ার প্রথম হাজবেন্ডের বড় বোনের সংসারও অশান্তি হল।
যদিও তারা এখন আবার ঠিক হয়ে গেল রাবেয়ার প্রথম হাজবেন্ডের বড় বোন ও তার স্বামী। মাঝখান দিয়ে রাবেয়া সংসার নষ্ট হয়ে গেল। এখন বাড়িতে বড় গলা কোন কথা বলতে পারে না রাবেয়া। কারণ রাবিয়ার কারণে রাবিয়া নিজেই ছোট হয়েছে। অনেকে বলে সুখে থাকলে নাকে ভুতে কিলাই। এবং রাবেয়া এখন বাবার বাড়িতে কাজ করে খেতে হয়। কারো কাছে রাবেয়ার দাম নেই। এখন সামান্য কিছু হলে রাবেয়াকে অনেকে বড় বড় করে কথা বলে অপমান করে। এই কারণে অনেকে বলে নিজের ভুলের কারণে নিজের সংসার নষ্ট করেছে রাবেয়া। আর এই ভুল রাবেয়াকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কষ্ট দিবে। এই কারণে কিছু কিছু ভুল করার আগে বারবার চিন্তা করা দরকার। এখন রাবেয়ার বাবার বাড়িতে রাবেয়া সুখ নেই বললেই চলে। এরপর রাবেয়ার বাবার বাড়িতে সে অনেকদিন ছিল।
এভাবে প্রায় এক বছর পর রাবেয়াকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন। ওইখানে রাবেয়ার স্বামীর সংসারে ছেলে মেয়ে আছে। এবং রাবেয়ার স্বামীর আগের ওয়াইফ মারা গেল। এখন পরবর্তী সংসারে গিয়ে রাবেয়া সুখে নেই। কারণ ওই সংসারের ছেলেমেয়েগুলো রাবেয়াকে দেখতে পারে না। তারা অল্প কিছু হলেই রাবেয়াকে আজেবাজে কথা বলে এবং মারধর করার জন্য আসে। এখন রাবেয়া নিজের ভুলের কারণে নিজেই কষ্ট পায়। কিছুদিন আগে রাবেয়া নিজের মনের কষ্ট ভুলার জন্য বিষ পান করেছিল। কারণ সেই তার এই জীবন রাখার জন্য চাইছে না। যদিও বাড়ির লোক গুলো দেখে যাওয়ার কারণে। তাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।
এবং এই যাত্রা রাবেয়া মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচলেন। তবে অনেকে অনেক কথা বলে। কারণ রাবিয়ার ভুলের কারণে আজ রাবেয়ার এই অবস্থা। এখন রাবেয়া শত চেষ্টা করলেও রাবিয়ার প্রথম স্বামীর সংসারের সুখ আর পাবে না। এখন সব সময় নিজের ভুলের কারণে নিজেই কষ্ট পায়। বর্তমানে রাবেয়ার যেখানে বিয়ে হয়েছে সেইখানেও রাবেয়া যায় না। বাবার বাড়িতে আছে অনেক কষ্টে। তাই আমি মনে করি কোন ভুল করার আগে বারবার চিন্তা করা দরকার। কারণ ভুলের কারণে নিজের জীবন নষ্ট হয় এবং বাবা মায়ের মান ইজ্জত নষ্ট হয়। এই কারণে একবার ভুল করার আগে ১০০ বার চিন্তা করা উত্তম। এই হচ্ছে রাবেয়ার জীবনের কাহিনী। আশা করি রাবেয়ার জীবন কাহিনী পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1901260924897624286?t=R9THt9VG4cAqa81XFdqzuQ&s=19
আমরা অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। সচেতন হয়ে নিজের ভুলগুলো শুধরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।আমরা সবাই ভুল করি, কিন্তু নিজেকে শুধরে নেওয়ার সাহস থাকলেই আমরা সফল হতে পারি।আমরা সবাই জীবনে কোনো না কোনো সময় ভুল করি, কিন্তু সেই ভুল থেকে শিখে নিজেকে আরও ভালোভাবে গড়ে তোলাই আসল।
আপু কিছু কিছু ভুল নিজে জেনেশুনে করে। তেমনটি রাবেয়া করেছে। তবে আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।
গত পর্বও পড়েছি, এখন দেখতে দেখতে দ্বিতীয় বা শেষ পর্বতে পৌঁছে গেলাম। আসলে রাবেয়া আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে দুটি সংসার নষ্ট করে ফেলে। পরে সে কোথাও সুখ না পেয়ে কষ্টে দিন কাটায়। নতুন সংসারেও সে ভালোভাবে মেনে নিতে পারে না। তাই আমি মনে করি জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে ভাবা দরকার।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আবেগের বশে দুটো সংসার নষ্ট করে ফেলেছে। আর এই ধরনের লোক গুলো এমনিতে খারাপ। ভালো থাকবেন আপু।