মজাদার সুস্বাদু ব্যাচেলার খিচুড়ি || রেসিপি পোস্ট||
সকলকে শুভেচ্ছা । আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।💕
বন্ধুরা, আজকের এই দিনটি আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমি একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনার চাপের মাঝে নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করার সুযোগ খুব কমই আসে। আজ, আমি অনেক পরিশ্রম এবং যত্ন সহকারে তৈরি করেছি আমার ব্যাচেলার খিচুড়ি রেসিপি। প্রতিটি পদক্ষেপেই আমি অনুভব করেছি, এই রেসিপি শুধুমাত্র মুখরোচক খাবার নয়, এটি আমার পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সৃষ্টিশীলতার প্রতিচ্ছবি।
যে মুহূর্তে রেসিপিটি সম্পন্ন হলো, আমি অনুভব করলাম, আমার পরিশ্রমের ফসল শুধু আমার জন্য নয়, বরং এটি আমার ভবিষ্যতের দিকে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ। এটি আমার জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা, যা আমাকে আরও নতুন কিছু সৃষ্টির পথে নিয়ে যাবে।
☆꧁মজাদার "ব্যাচেলার খিচুড়ি" রেসিপি ꧂☆
☆꧁::@bdhero ব্যাচেলর রান্নাঘর:. ꧂☆
☆꧁প্রয়োজনীয় উপকরন꧂☆
চাল
ডাল
আলু
পেয়াজ
মরিচ
রসুন
আদা
লবণ
তেল
- প্রথমে কয়টা আলু ভালো করে ছিলে নিলাম।
- আলুসহ,মরিচ, পেয়াজ,রসুন, আদা কেটে নিই। কেটে নাওয়ার পর সবগুলো পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেই।
- এবার পরিমাণমতো চাল ও ডাল একত্রে করে পানি দিয়ে ধুয়ে সেগুলোতে পেয়াজ,মরিচ, আদা, রসুন ও আলুগুলো দেই তার সাথে লবণ, হলুদ ও সামান্য মরিচের গুড়াও দেই।
- এবার তেল দিয়ে সবকিছু ভালোভাবে মেখে নিই। সবকিছু ভালোভাবে মাখার পর পরিমাণমতো পানি দেই।
- এরপর সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে নিয়ে রাইস কুকারে বসায় দেই।
- রাইস কুকারে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আমি যেয়ে খিচুড়ি গুলো ভালোভাবে নেড়ে দেই।
- কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরী হয়ে গেলো মজাদার ব্যাচেলার খিচুড়ি।
বন্ধুরা ব্যাচেলর রান্নাঘরে এই ছিল আয়োজন প্রতিযোগিতার জন্য। অনেক কষ্ট ও যত্ন সহকারে এই রেসিপিটি করেছি। কারণ এটি খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। আমার বিশ্বাস আপনাদেরও খেতে ভালো লাগবে। পড়াশোনার চাপের জন্য আসলে প্রতিযোগিতা এরকম অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাই না। বাসায় আছি বলে এই সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না। আমার রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তবেই হবে আমার সফলতা। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
আর এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। 🌻🌻
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ব্যাচেলার জীবনে বাহিরে থাকতে হলে অনেক সময় নিজেকে রান্না করে খাওয়া লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ব্যাচেলার খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি একদম দারুন ভাবে প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ মজাদার হয়েছিল।
হুম ভাইয়া রেসিপিটি বেশ মজাদার ছিলো।
খিচুড়ি আমার ভীষণ পছন্দ। আমি মেসে থাকি পড়াশোনার চাপে প্রায় সময় রান্না করে উঠতে পারি না ।বেশিরভাগ সময় আমি খিচুড়ি রান্না করে খেয়ে নি। আজ আপনি সুস্বাদু মজাদার ব্যাচেলার খিচুড়ি রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কিছুই দেখলেই আমার লোভ লাগে। খিচুড়ি তৈরির রেসিপিটি ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপি পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।
ব্যাচেল জীবনে এরকম অভিজ্ঞতা অনেক দেখা যায়। আর আপনি এত সুন্দর করে খিচুড়ি রান্নার রেসিপি তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
খিচুড়ির নামটা দারুণ দিয়েছেন ভাইয়া।আপনার ব্যাচেলার খিচুড়ি রেসিপিটি দারুণ হয়েছে। শীত পড়ে গেছে আর এই শীতে খিচুড়ি খেতে খুব ভালো লাগে।আপনার খিচুড়ি দেখে লোভ লোগে গেলো।দারুণ রান্না করেছেন আপনি।ধাপে ধাপে ব্যাচেলার খিচুড়ি রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার রেসিপি পোস্টটি দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রাইস কুকার এর মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে খিচুড়ি রান্না করেছেন আপনি। আপনার এমন চমৎকার খিচুড়ি রান্না করতে দেখে ভালো লাগলো। আমি সব সময় খিচুড়ি পছন্দ করে থাকি। আমার কাছে এটা ফেভারিট একটি খাবার। বেশি দারুণ হয়েছে ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার রেসিপি পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাঙালির মনে খিচুড়ির প্রভাবটা সব সময় একটা সুখকর অনুভূতি দেয়। ঠিক তেমনি আপনি আজকে মজার একটা রেসিপি নিয়ে দারুন একটা অনুভূতি শেয়ার করলেন। আসলে খিচুড়ি রান্না করা আর খাওয়া এর মাঝে ব্যবধান শুধু পরিশ্রম ধৈর্য আর সৃষ্টিশীলতা। খাওয়ার রান্না করতেও যে কিছুটা পরিশ্রম ব্যয় হয় এটা সেই বুঝে যে একমাত্র এটার সাথে সম্পর্কিত থাকে। যাইহোক মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার রেসিপি পোস্টটি দেখে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।।।