রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম ||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
এই ফটোগ্রাফিটিতে আপনারা যে মসজিদটি দেখতে পারছেন সেটির নাম মসজিদে আল মোস্তফা। এই মসজিদটি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অবস্থিত।। আমি কালকে বিকেল বেলা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের আশেপাশে বন্ধুদের সাথে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। এই ফটোগ্রাফিটি যখন আমি করেছিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা নেমে এসেছিল। মসজিদের সুন্দর লাইটিং দেখে এই ফটোগ্রাফিটি করে নিয়েছিলাম।
এই ফটোগ্রাফিটি ঢাকা শহরের বেশ জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট শেফস টেবিলের। শেফস টেবিলের অনেকগুলো ব্রাঞ্চ ঢাকার মধ্যে রয়েছে কিন্তু এটির মেইন ব্রাঞ্চ ১০০ ফিট রোডে ঠিক ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাশেই৷ আমি ও আমার দুই বন্ধুরা ইউনিভার্সিটির আশেপাশে হাটাহাটি করতে থাকি। হাঁটতে হাঁটতে আমরা শেফস টেবিলের সামনে পৌঁছে যাই। তখন শেফস টেবিলের মেইন গেট থেকে রেস্টুরেন্টের এই ফটোগ্রাফিটি ক্যামেরা বন্দি করে নেই।
এই ফটোগ্রাফিটি ও আমি শেফস টেবিলের মেইন গেট থেকে তুলেছিলাম। শেফস টেবিলের একদম বিপরীত দিকে এই কোর্টটি অবস্থিত। এটি বাইরে থেকে দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। এটি একটি রাজপ্রাসাদের মতন আমার কাছে মনে হয়, ঠিক যেমন রাজাদের বাড়ি থাকে এটিও ঠিক সেরকমই। আশা করি আমার করা ফটোগ্রাফিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এই ফটোগ্রাফিটি আমি বসুন্ধরা রোডের মধ্যে হাটাহাটি করার সময় ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে কালকে বিকেল বেলা বসুন্ধরা রোডে ভার্সিটির সামনে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। বসুন্ধরা রোডের এই ল্যাম্পগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। সন্ধ্যেবেলা যখন এই ল্যাম্পগুলো জালানো হয় তখন এই রাস্তাটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। আমি এই রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করার সময় এই ফটোগ্রাফিটি ক্যামেরা বন্দি করে নিয়েছি।
এইফটোগ্রাফিটি আমি শেফস টেবিলের ভেতরে ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। যেহেতু শেফস টেবিল একেবারেই ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাশেই তাই হাঁটতে হাঁটতে আমরা এখানে যাই এবং ভেতরে গিয়ে এখানকার এই ডেকোরেশন আমার চোখে পরে। আমার কাছে এই ডেকোরেশনটি অসম্ভব সুন্দর লাগে তাই এই ডেকোরেশনটি ক্যামেরাবন্দি করি নেই।
এই ফটোগ্রাফিটি আমি পড়ন্ত বিকেলে করেছিলাম। পড়ন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমি যখনই পড়ন্ত সূর্য দেখি তখনই সেটি ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করি। আমি যখন কালকে সন্ধ্যেবেলা বসুন্ধরা রোডে ছিলাম তখন বসুন্ধরা রোড থেকে পড়ন্ত সূর্য পড়ন্ত বিকেলে আমার চোখে পড়ে এবং আমি মোবাইল বের করে এই দৃশ্যটি ক্যাপচার করে রাখি।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
🌼ধন্যবাদ🌼
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ফটোগ্রাফির ভালো হওয়ার প্রধান কারণ হলো সঠিক অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলার দক্ষতা। আপনি সেই দক্ষতাকে অবলম্বন করে প্রত্যেকটি ছবি খুব সুন্দর সুন্দর অ্যাঙ্গেলে তুলেছেন এবং ছবির কোয়ালিটি বেশ ভালো হয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মসজিদের ফটোগ্রাফি আর ল্যাম্পপোস্টের ফটোগ্রাফি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন। ফটোগ্রাফি সহ বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন বলে পোস্টটি আরো বেশি ভালো লাগলো। সবগুলো ফটোগ্রাফি নিজের মত সুন্দর। পড়ন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি তে আমার কাছে আরও বেশি ভালো লেগেছে।আসলে প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় আমার নজর করে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রথম তিনটি ফটোগ্রাফি দেখে ভেবেছিলাম এগুলো বিদেশে ঘুরতে গিয়ে হয়তো ক্যাপচার করেছেন। কারণ বাংলাদেশে এত সুন্দর মসজিদ, রেস্তোরাঁ আর কোর্ট রয়েছে জানাই ছিল না। একদমই বিদেশের মতো লাগছে। শেফস টেবিল এর ভিতরের ডেকোরেশন এর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ এত চমৎকার সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি ফটোগ্রাফি করতে বেশ পারদর্শী। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী চোখ জুড়ানোর মতো। বিশেষ করে শেষের সূর্য অস্ত যাওয়ার ফটোগ্রাফী টি একটু বেশি ভালো লেগেছে।
আপনি আজকে দারুন সব রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি তো চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। সব সময় আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য চেষ্টা করেন। এভাবে চেষ্টা করছেন বলেই এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারেন। প্রথম ফটোগ্রাফি টা বেশি সুন্দর ছিল।
আজকে আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে অন্যরকম ভালো লাগে। আজকে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে মসজিদের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। এবং ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
ল্যাম্পপোস্টের ছবিটি এবং তার সঙ্গে পড়ন্ত বিকেলের ছবিটি সব থেকে ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা রকমের ছবি দিয়ে আপনার অ্যালবামটি সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছেন। দুর্দান্তভাবে সব কটি ছবি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন বলে ভালো লাগলো। ছবিগুলির মধ্যে ভীষণ উজ্জ্বল্য ছবিগুলির মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।