বার্সেলোনা বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল ম্যাচ রিভিউ ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে গতকাল রাতে হওয়া এল ক্লাসিকো ম্যাচ বার্সেলোনা ভার্সেস রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচটির রিভিউ করতে যাচ্ছি। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচের হাইপ থেকে অনেক বেশি। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব। গতকাল রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় এই চির দুই প্রতিদ্বন্দী। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী তাও আবার ফাইনালে ফুটবল ভক্তদের জন্য এটি অনেক বেশি আনন্দের ছিল। আমি ছোট থেকেই বার্সেলোনা ক্লাব সাপোর্ট করি তাই আমিও অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিলাম এই ম্যাচটির জন্য। তো চলুন বেশি দেরি না করে ম্যাচটি রিভিউ করা যাক।
স্ক্রিনশটটি sportzfy app থেকে নেওয়া
গতকাল রাত একটায় মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ শুরু হওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চমৎকার একটি গোল করে। ম্যাচের পাত্র ৫ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদ এক শূন্য গোলে এগিয়ে যায়। এই ম্যাচে ম্যাচ শুরুর আগে সবার কাছে রিয়াল মাদ্রিদ ফেভারিট ছিল কারণ রিয়াল মাদ্রিদের স্কোয়াড অনেক বেশি ভালো। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রথম একাদশে বেলিংহাম,ভিনিসিয়ার জুনিয়র,কিলিয়ান এমবাপ্পে ও রদ্রিগো এর মত প্লেয়ার ছিল। রিয়াল মাদ্রিদ গোল করার পর খেলাটি বেশ জমে উঠেছিল বার্সেলোনা চেষ্টা করছিল গোলটি শোধ করার। আপনারা যারা বার্সেলোনার খেলা দেখে থাকেন তারা জানবেন বার্সেলোনা খুবই সুন্দর পাস খেলে যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
ম্যাচের ২২ তম মিনিটে লামিল ইয়ামাল চমৎকার একটি ড্রিবলিং করে মাদ্রিদের ডিফেন্ডার কে পরাজিত করে চমৎকার একটি গোল করে। ইয়ামালের এই গোলের ফলে বার্সেলোনা ম্যাচে ফিরে। আমার কাছে ইয়ামালের খেলা অনেক বেশি ভালো লাগে, মাত্র ১৭ বছর বয়সী একজন ছেলে মাঠের মধ্যে এত ভালো খেলছে যা অনেক প্রশংসনীয়। ইয়ামাল মূলত স্পেনের প্লেয়ার। বার্সেলোনা ও স্পেন দুই দলেই ইয়ামানের পারফরমেন্স নজর কাড়ার মত। ম্যাচের ৩৬ তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের কামাভিঙ্গা ডি বক্সের ভিতরে একটি ফাউল করে বসে যার ফলে বার্সেলোনা একটি প্লান্টি পায়। বার্সেলোনার হয়ে পেনাল্টি টি মারতে আসে রবার্ট লেওয়ানডক্সি। রবার্ট পেনাল্টি টি মিস করেনি বরং একটি গোল করে নিজের দলকে লীডে নিয়ে যায়।
স্ক্রিনশটগুলো sportzfy থেকে নাওয়া।
ম্যাচের ৩৯ তম মিনিটে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার রাফিনাহ একটি চমৎকার গোল করে বার্সেলোনার হয়ে। এই গোলটি বার্সেলোনাকে ৩-১ গোলের লিডে নিয়ে যায়। ৪৫ মিনিট হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের এক্সট্রা সময় দেয় ১০ মিনিট এই এক্সট্রা সময়ে একদম শেষে বার্সেলোনার হয়ে বালদে আরো একটি গোল করে এর ফলে বার্সেলোনা ম্যাচে ৪-১ গোলে এগিয়ে যায়। মোটামুটি হাফ টাইমেই সবাই বুঝতে পারে যে এই ম্যাচ বার্সেলোনা জিতে যাবে। বার্সেলোনা ৪-১ গোলের লীড নিয়ে হাফটাইম শেষ করে।
হাফ টাইমের বিরতির পর ম্যাচ আবার শুরু হয়। ম্যাচের ৪৮ তম মিনিটে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার রাফিনাহ এই ম্যাচে আরও একটি গোল করে এর ফলে বার্সেলোনা ৫-১ গোলের লীডে চলে যায়। তখন বার্সেলোনা ফ্যানদের উচ্ছ্বাস ছিল সীমাহীন। ম্যাচের ৫৬ তম মিনিটে বার্সেলোনার গোলকিপার একটি ফাউল করে এর ফলে রেফারি রেড কার্ড দিয়ে দেয় অর্থাৎ বার্সেলোনাকে বাকি সময় ১০ জন প্লেয়ার নিয়েই খেলতে হবে। বার্সেলোনার গোলকিপার ইনাকি পিনা নামে, এবং গোলকিপারের করা ফাউলের ফ্রী কিক থেকে রদ্রিগো চমৎকার একটি গোল করে এর ফলে স্কোর দাঁড়ায় বার্সেলোনা ৫ রিয়াল মাদ্রিদ ২। বার্সেলোনার গোলকিপারের লাল কার্ড খাওয়ার পর থেকে বার্সেলোনা ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে। দুই দলেই বেশ কিছু সাবস্টিটিউশন নামায়। রিয়াল মাদ্রিদ তখন এগ্রেসিভ খেলা শুরু করে। রিয়াল মাদ্রিদ বেশ কিছু সুযোগ পায় গোল করার কিন্তু শেষ অবধি আর গোলের দেখা পায় না।
স্ক্রিনশটগুলো sportzfy app থেকে নাওয়া।
ম্যাচটি ৫-২ গোলের ব্যবধানে বার্সেলোনা জিতে যায়। এরই সাথে টানা তিনটা এল ক্লাসিকো বার্সেলোনা জিতে যায়। আমি একজন বার্সেলোনা সাপোর্টার ও ফ্যান হওয়ায় অনেক বেশি খুশি ছিলাম এবং ম্যাচটি অনেক ইনজয় করেছি। চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ ফাইনাল জিতে নেয় বার্সেলোনা।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা আসলেই অনেক বেশি জমজমাট হয়েছিল। বিশেষ করে এই দুইটা দলের মধ্যে যখন খেলা অনুষ্ঠিত হয় তখন সেটা আসলেই অনেক বেশি জমজমাট হয়ে থাকে। যাইহোক এটা দেখে ভালো লাগলো যে শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা জিতে গিয়েছে।
অনেক সুন্দর একটি ম্যাচ দেখেছেন এবং উপভোগ করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আমি নিজেও মেসি এবং বার্সেলোনার ফ্যান। বার্সেলোনা দল রিয়াল মাদ্রিদের সাথে সত্যিই চমৎকার খেলেছে। এত বড় ব্যবধানে জিতব এটা সত্যিই কল্পনা করতে পারিনি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি বলতে ভাই যে ম্যাচ খেলেছে এরপর আর কিছু বলার নেই। ডিফেন্স লাইনের এতো বাজে অবস্থা। ভাসকেজের সাইড দিয়ে বার বার রাফিনহার আনমার্কিং অবস্থায় বের হয়ে গিয়েছে। ডিফেন্সদের মধ্যে কোন আত্মবিশ্বাস নেই।
যদি গোল খেতেই হয় হার্ড ট্যাকেল করে গোল খাব। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের কোন খেলোয়ার হার্ড ট্যাকেল করেনি। সার্জিও রামোস পেপে এদের অনেক মিস করছি।
রামোস পেপে থাকলে এদের এক ট্যাকেলে ইয়ামাল রে আর খুজে পাওয়া যাইত না।