ভার্সিটিতে কাটানো সুন্দর মুহুর্ত ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ভার্সিটিতে কাটানো আজকের দিন সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আজকে আমার ক্লাস ছিলো সকাল ১১'১১ মিনিট থেকে বিকেল ৩'১০ মিনিট পর্যন্ত। আমি সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে উঠি এবং ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে একটু আগেই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কালকে ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশে প্রচুর গরম পরেছিলো। গতকাল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও এটি ৪৭ ডিগ্রি এর মতো অনুভব হচ্ছিলো ঢাকায়। তবে আজকে সকাল থেকেই আকাশ অনেক মেঘলা ছিলো সাথে বাইরে প্রচন্ড বাতাস ও হচ্ছিলো। আমি সকাল ১০ টায় বাসা থেকে বের হই ও একটি রিক্সা নিয়ে ভার্সিটি চলে যাই, আকাশ অনেক বেশি মেঘলা ছিলো বুঝাই যাচ্ছিলো কিছুক্ষণ পরে মুসুলধারে বৃষ্টি নামবে। আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ভার্সিটি পৌঁছে যাই।
আমি ভার্সিটি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই আকাশ ভেঙে মুসুলধারে বৃষ্টি নামে। আমি তখন ভার্সিটির গ্যালারিতে, ভার্সিটিতে গিয়েই আগে ভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে যাই। ভার্সিটির ক্যান্টিনে বসে সকালের নাস্তা করে নিই। সকালের নাস্তা করার পরে আমি চলে যাই ভার্সিটির লাইব্রেরিতে কারণ আজকে আমার এসাইনমেন্ট জমা দাওয়ার ডেট ছিলো তাই ভার্সিটির লাইব্রেরিতে যেয়ে একটি কম্পিউটারে এসাইনমেন্ট এর কভার পেজ বানাই এবং সেটি ইএলএমএস এ নিয়ে ভার্সিটির মেইলে দিয়ে প্রিন্ট করায় নেই বুকশপ থেকে।
ভার্সিটিতে আজকে আমার দুইটি ক্লাস ছিলো। আমার প্রথম ক্লাসটি ছিলো ডিজিটাল লজিক ডিজাইন ল্যাব। এই ক্লাসটি শুরু হয় সকাল ১১'১১ মিনিটে। আমি ও আমার বন্ধুরা যথাসময়ে ক্লাসে চলে যাই। এরপর স্যার আমাদের ল্যাব টাস্ক দেয়। আমাদের ক্লাসের মধ্যে সবার আগে আমাদের গ্রুপের ল্যাব টাস্ক শেষ হয় এবং সেটি আমরা স্যার কে দেখাই। সবার আগে ল্যাব টাস্ক শেষ করে আমরা সবাই বেশ খুশি হই এবং বাকিসময় এর মাঝে কয়েকটি সেলফি তুলে নেই। আমাদের ক্লাস শেষ হয় দুপুর ১'৫০ মিনিটে।
দুপুর ১'৫১ থেকে আবার আমাদের ডিজিটাল লজিক ডিজাইন থিওরী ক্লাস ছিলো। এই ক্লাসেই আজকে এসাইনমেন্ট জমা দাওয়ার ডেট ছিলো। আমি নিজের এসাইনমেন্টটি জমা দেই এরপর মনোযোগ দিয়ে ক্লাসটি করি। আমাদের ক্লাসটি শেষ হয় বিকেল ৩'১০ মিনিটে। এরপর আমরা বন্ধুরা মিলে ভার্সিটির গ্যালারিতে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। ভার্সিটির শাটলের লাইন অনেক বড় দেখে আমরা কিছুটা হেটে যেয়ে রিক্সা বা অটো নাওয়ার জন্য শাটলের লাইনে আর দাড়াই নাহ।
এরপর আমরা হেটে হেটে এগোতে থাকি। তখন ও আকাশ বেশ মেঘলা ছিলো ও প্রকৃতির শীতল বাতাস আমাদের মনকে মুগ্ধ করে তোলে। কিছুদূর হাটার পরেই আমি ও আমার বন্ধুরা একটি টং এর দোকানে রঙ চা খাই ও কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। এরপর কিছুক্ষণ একসাথে থেকে সবাই বাসায় ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। ভার্সিটিতে বন্ধুদের সাথে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তীব্র গরমের পর মূষলধারে বৃষ্টি যেন স্বস্তি নিয়ে আসে। ভার্সিটিতে ক্লাসের ফাঁকে সবচাইতে সুন্দর মূহূর্ত হলো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া এবং সময় কাটানো। আপনি দেখছি বন্ধুদের সাথে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। দেখে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।