মনোযোগ।
জীবনের কোনো কিছু অর্জনের সর্ব প্রথম ধাপ হচ্ছে সেই কাজের প্রতি মনোযোগ। মনোযোগ এমন একটা জিনিস যেটা ছাড়া কোনো কিছুই সঠিক ভাবে করতে পারবেন না। এই জিনিসটার অভাব যদি আপনার জীবনের থাকে তাহলে আপনি কোনোদিন ও কোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তবে সত্যিই বলতে এই মনোযোগ অর্জন করা বেশ কঠিন একটি কাজ হয়ে পড়েছে এই বর্তমান সময়ে। কেননা মনোযোগ কেড়ে নেয়ার মতো এমন হাজার জিনিস রয়েছে আপনার আসে পাশে। তো স্বাভাবিক ভাবেই আপনি যখন কোনো কিছুতে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন সেটা আপনার জন্য বেশ কষ্ট সাধ্য বেপার হবে। তাই সত্যি বলতে যারা কোনো কিছুতে মনযোগ দিতে পারে তারা সত্যিকারের অর্থেই কঠোরপরিশ্রম এর দ্বারা অর্জন করে সেটা।
গত কিছুদিন আগে একটা ভিডিও দেখলাম ফেইসবুকএ। সেখানেও আমাদের মনোযোগ নিয়ে কথা বলছে। সেখানে বলা হচ্ছিলো আমরা কিভাবে আমাদের মনোযোগ দিন দিন হারাচ্ছি। একটা গবেষণায় নাকি দেখা গেছে , কোনো একটা কাজে মনোযোগ আসার জন্য কমপক্ষে সেটা আপনাকে টানা ২৩ মিনিট ধরে করে যেতে হয়। এখন আপনিই একটু ভেবে দেখুন তো , আদেও কি আমরা কোনো কাজে টানা ২৩ মিনিট পর্যন্ত মনোযোগ দিতে পারি কিনা ? এই দেখা যায় , কেউ ম্যাসেজ দিয়েছে আবার এই দেখা যায় কেউ কল দিয়েছে। সত্যি বলতে কোনো কাজেই আমরা সঠিক ভাবে মনোযোগ দিতে পারি না। আস্তে আস্তে করে আমাদের মনোযোগ লোপ পাচ্ছে।
আর এখন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া যেভাবে আমার জীবনকে প্রভাবিত করছে সেখানে মনোযোগ টিকিয়ে রাখা সত্যিই খুব কষ্ট সাধ্য বেপার। ফোনটা হাত থেকে রাখলেই মনে হয় এই না ফেইসবুক এ কেউ ম্যাসেজ দিলো , এই না কেউ নতুন ছবি আপলোড দিলো। অর্থাৎ এইসব জিনিস আমরা হাজার চেষ্টা করার পরও আমাদের মাথা থেকে সরাতে পারি না , তাহলে কিভাবে আমরা কোনো কাজে মনোযোগ দিবো ? মনোযোগ হচ্ছে সব কিছুর উর্ধে। আপনি যদি কোনো কাজ সঠিক মনোযোগ দিয়ে করেন তাহলে কাজটা আপনার বুঝতে সহজ হবে , এবং খুব তাড়াতাড়ি সেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
আর এই মনোযোগকে ফিরিয়ে আনার একটা উপায় হচ্ছে নিজের মনকে শান্ত রাখা। যে কাজ করছি সেটার প্রতি শুধু খেয়াল করা। বাকি সব কিছুকে বাদ দিয়ে যদি আমরা শুধু মাত্র সেই কাজের প্রতি মনোযোগ দেই তাহলে কাজটি খুব সহজেই করে ফেলতে পারবো আমরা। আর আমার মতামত অনুযায়ী আমাদের মনকে শান্ত রাখার জন্য ইয়োগা করতে পারি সকাল বেলা। এটা যেমন আমাদের শরীরের জন্য ভালো তেমনি আমাদের মনকে শান্ত রাখে। আমরা আমাদের অনুভূতি গুলোকে নিজের আয়ত্তে আনতে পারবো এই ইয়োগা করার মাধ্যমে। ইয়োগা করার পাশা পাশি কিছু ব্যায়ামও করতে পারি যেটা আরো ভালো কার্যকরী হবে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

একদম সত্যি কথা বলেছেন আপু, আসলেই আমরা বিভিন্ন কারণে আমাদের নিজেদের কর্মের দিকে মনোযোগী হতে পারি না। যেমন আমার জীবনটাকে একজন এলোমেলো করে দিয়েছে। সাজানো জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। সব সময় ভাবি ওই বিষয়টাকে কখনোই মাথায় আনবো না কিন্তু মস্তিষ্ক সে কথা শুনেই না। বর্তমান অনেক বেশি ডিপ্রেশনে দিন যাচ্ছে আমার। ২৩ মিনিট তো দূরের কথা ১০ মিনিট ও ঠিকভাবে ভাবতে পারিনা। আপনি যে ইয়োগা করার কথা বললেন। দয়া করে আপু এই বিষয়ে একটা পোস্ট লিখবেন যেন কাজের প্রতি মনোযোগী হতে পারি সঠিকভাবে। ইয়োগা বিষয়ে পোস্ট লিখলে উপকৃত হব আপু। আশা করছি অনুরোধ টি রাখবেন।
ঠিক বলেছেন আপু যে কোন কাজে সফলতার জন্য মনোযোগ দেয়াটা খুব জরুরি। কিন্তু কোন কাজে ঠিকমতো মনোযোগই দেওয়া যায় না এ মোবাইলের জন্য। তাছাড়া এক টানা ২৩ মিনিট মনোযোগ দেয়া তো অসম্ভব বিষয়। তারপরও আমাদের চেষ্টা করা উচিত মনোযোগ সহকারে যে কোন কাজ করার। এতে সফলতা দ্রুত আসে। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
আমরা যদি কোনো কিছু করতে চাই তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়ে আমাদেরকে মনোযোগ দিতে হবে। কিন্তু বর্তমান মোবাইলের ওপর আসক্তির কারণে আমরা সেই মনোযোগটা ধরে রাখতেই পারি না। অর্থাৎ একটা কাজ করছি ঠিক সেই সময় মনে চায় একবার ফেসবুক থেকে ঘুরে আসি একবার ইউটিউব বা অন্যান্য কোনো এপস থেকে ঘুরে আসি। আসলে মনে হয় আমাদের মনোযোগ যেন সবসময় এদিকেই থাকে। আর বর্তমানে ২৩ মিনিট মনোযোগ দেওয়া মানে অনেক কিছু। তবে একটা কোনো কিছুর উপর যদি আমরা একবার মনোযোগ দিতে পারি তাহলে সেটা কন্টিনিউ করে যেতে কোনো অসুবিধা হয় না। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা করার জন্য।
সত্য কথা বলতে কি আপু, মন যদি ঠান্ডা থাকে তাহলে মনোযোগ ঠিক থাকে। মাথায় যদি টেনশন থাকে মনোযোগ ঠিক থাকে না। যে কোন কাজে ঠান্ডা মাথায় প্রয়োজন। ঠান্ডা মাথার কাজের সাফল্য আছে।
আসলেই আপু যে কোন কাজে সফল হওয়ার জন্য সেই কাজটা মনোযোগ দিয়ে করা প্রয়োজন। যেকোনো কাজ ঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে হলে সেই কাজটা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে করা প্রয়োজন। আসলেই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা অনেকেই অনেক সময় অপচয় করছি সেখানে এর ফলে আমাদের মনোযোগও নষ্ট হচ্ছে। যে কোন কাজে গভীর মনোযোগ দিতে পারি না। বাস্তব কিছু কথা লিখেছেন আপু।
একদম উপযুক্ত লেখাগুলো আপনি লিখলেন অনেক ভালো লেগেছে আপু। আমরা যেকোন কাজ করতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সে কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। যদি আমরা মনোযোগহীন ভাবে কাজ করি তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাহলে সে কাজ আমরা সফলভাবে করতে পারবো না এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। তাই আমাদের যে কোন কাজে সফল হতে হলে সেই কাজের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং মনোযোগ প্রদর্শন করা উচিত। অনেক ভালো লাগলো আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখা গুলো পড়ে।
আসলে দিনদিন আমরা প্রচন্ড ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। অতিরিক্ত ব্যস্ততার মধ্যে থাকলে আমাদের মন অশান্ত হয়ে যায়। আর অশান্ত মন নিয়ে যেকোনো কিছুর প্রতি মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া ফেসবুকের কারণেও আমরা অনেক সময় কোনো কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারি না। তাই আমার মতে ফেসবুকে যতটা কম সময় দেওয়া যায় ততই ভালো। সর্বোপরি যে কাজটা আমরা করবো,সেটার প্রতি যেভাবেই হোক না কেনো মনোযোগ দিতে হবে। নয়তোবা সফলতা কখনোই অর্জন করা সম্ভব নয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার চক্করে আমরা অন্য কোন কাজে টানা ২৩ মিনিট পর্যন্ত মনোযোগ দিতে পারিনা আপু। তবে আমারও মনে হয় যে, এই মনোযোগ কে ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হলো নিজের মনকে শান্ত করা। তবে সেটা আমরা কয়জনই বা করতে পারি! তাছাড়া এখন খুব কম মানুষই রয়েছে যারা ইয়োগা বা ব্যায়াম করে নিয়মিত।