নাটক রিভিউ : সাহেব নামে গোলাম পর্ব -০৩।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........
প্রতি সপ্তাহের মতো আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সাহেব নামে গোলাম নাটিকের ৩ নং পর্ব নিয়ে কথা বলবো। গত সপ্তাহে আমি এ নাটকে দিতে পারব শেয়ার করেছিলাম। নাটকটি অনেকদিন আগে বেরিয়েছে তবে আমি এই নাটকটি তখন দেখেছিলাম না। তবে যখন প্রথম পর্বটি দেখলাম নাটকটা আমার কাছে এত ভালো লেগেছে যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
আমি বেশির ভাগই ঈগল টিমে নাটক রিভিউ করে থাকি কারণ এই গোল টিমে নাটকগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারন ঈগল টিমের নাটক গুলা খুবই সামাজিক ও শিক্ষানীয় হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো অনেকেই গোল টিমে নাটক গুলো দেখেছেন। আশা করি আপনাদের কাছে এই গতি নাটক গুলো অনেক ভালো লাগে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে নাটকটা আপনাদের মাঝে রিভিউ করে ফেলি।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
---|---|
নাটকের নাম | সাহেব নামে গোলাম পর্ব -০৩। |
পরিচালক | হাসান হাফিজুর রহমান। |
অভিনয়ে | আজমাইন ও সাগরিকা। |
দৈর্ঘ | ৪২ মিনিট ০৫ সেকেন্ড |
মুক্তির সময় | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ |
নাটকের শুরুতে দেখা যায় মেম্বার সাহেবকে কালো কাপড়ে জড়িয়ে চেয়ারম্যান এর কাছে হাজির করতে। এরপর মেম্বার বলে আজকে আপনার বোনের মেয়ের ইজ্জতে হাত দিয়েছিল সাহেব। আর সেটা আমরা সবাই নিজের চোখে দেখেছি। এখন আপনি যা বিচার করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। এরপর সাহেবের মুখ থেকে কালো কাপড় সরাইতে দেখা যায় সে সাহেব নয় অন্য জন।এটা দেখে চেয়ারম্যান বলে তোমরা তো সবাই সাহেবকে দোষ দিয়েছিলে কিন্তু এখানে সাহেব কই সাহেবকে তো দেখছি না। একথা শোনার পর মেম্বার বলে আসলে অন্ধকারে তেমন কিছু দেখতে পারি নাই। এরপর সাহেবকে সেখানে ঢেকে আনা হয়, তারপর সাহেব সবকিছু খুলে বলে। একথা শুনে চেয়ারম্যান তার বোন এবং বোনের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
নায়িকার ফুফু যখন তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল তখন নায়িকা তাদের কাছে গিয়ে বলে আমার কাজের অগ্রিম টাকাটা ফেরত দিয়ে যাও। যেহেতু তোমরা কাজ করতে পারেনি সেহেতু এই টাকাটা তুমি নিতে পারবে না। কিন্তু প্রথমে তার ফুফু টাকা ফেরত দিতে রাজি না হলেও শেষ পর্যায়ে টাকাটা নায়িকা হাতে দিয়ে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
এরপর থেকে নায়িকা সাহেবের সাথে ভালো ব্যবহার করে যদিও এই ভালো ব্যাপারটা সাহেব খুব একটা ভালো ভাবে নিতে পারছিলো না। সাহেবের মনে সব সময় সন্দেহ কাজ করে।
একদিন সকালে সাহেবকে চেয়ারম্যানের কাছে ডেকে আনা হয় তার পাশে বসতে বলার পর চেয়ারম্যান সাহেব তাকে বাম হাতে একটি চড় মারে। সাহেব হতভাগ হয়ে যায় সে বলে হুজুর আমি কি কোন দোষ করেছি। এ কথা শুনে চেয়ারম্যান বলে তুই বল তুই কোন দোষ করেছিস কিনা এ কথা শুনে সাহেব বলে না আমি তো কোন দোষ করিনি তারপর সাহেবের হুজুর বলে আমি তোকে কোন হাত দিয়ে মেরেছি তখন সে বলে বাম হাত দিয়ে। তখন সে বিষয়টা পুরোপুরি বুঝতে পারে যে তার হুজুর করে ঠিক হয়ে গেছে। এটা দেখার পর সে অনেক আনন্দ পায় এবং হুজুরের হাত ধরে তার গালে বার বার মারতে থাকে।
হুজুর সম্পূর্ণভাবে ঠিক হয়ে গেছে এই সুখবরটা তার আপু মনিকে দিতে গেলে পথে দেখা যায় শুভ আর নায়িকা একসাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। সাহেবকে দেখে নায়িকা তার কথা বলার ভঙ্গি পাল্টে ফেলে। তখন সে শুভর সাথে জোরে খারাপ ভাবে কথা বলে। যাতে সাহেব বুঝতে না পারে যে শুভর সাথে এখনো তার ভালোবাসা চলমান রয়েছে। নায়িকার কথা শুনে সাহেবও শুভকে একটু ধমকি দেয়।
এদিকে সাহেবের সাথে নায়িকা খুবই ভালো ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি সাহেবের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কথা নায়িকা সাহেবকে বলে। এই কথা শোনার পর সাহেব অনেক বিচলিত হয়ে যায়।
এরপর একদিন সাহেবকে ডেকে চেয়ারম্যান সাহেব তার দ্বিতীয় বাগান বাড়িটি সাহেবের নামে লিখে দেয়। এটা দেখে সাহেব বলে আমার বাড়ির কোন দরকার নেই। কিন্তু সাহেবের হুজুর বলে আর কতদিন এখানে থাকবে এখন তো তোর বিয়ে করার সময় হয়ে গেছে। আমার ওই বাড়িটা পড়ে থাকে তাই তোকে দিয়ে দিলাম। তুই বিয়ে করে বউ নিয়ে আমার বাগান বাড়িতে থাকবি।
একদিন নায়িকার সাথে করে নায়ক যাই বাগানবাড়ি দেখতে সেখানে যাওয়ার পর নায়িকা ঘরে ঢুকতেই জোরে চিলে উঠে সাপ সাপ বলে এরপর নায়কের গায়ে উপর পড়তে যায় কিন্তু নায়ক সেটা এড়িয়ে যায়, আর নায়িকা মাটিতে পড়ে যায়। নায়িকা বারবার নায়কে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল কিন্তু নায়ক বুদ্ধি করে বারবার বেঁচে যাচ্ছিলো।
এরপর একদিন রাতে হঠাৎ করে দেখা যায় সাহেবের ঘরে নায়িকাকে এসে হাজির হতে। নায়িকা তখন সাহেবকে বলে আমি তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি। আমি এখন তোমাকে অনেক পছন্দ করি আল্লাহ দয়া লাগে তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না। কিন্তু নায়ক এই কথায় রাজি হয় না যার কারনে নায়িকা সেখান থেকে চলে যাই।
এরপর সকালের নায়িকা সাহেবকে বলে তুমি আমার বাবাকে বিয়ের প্রস্তাবটা দেও বাকিতে আমি দেখে নেব। কিন্তু এ কথা শোনার পরও নায়ক রাজি হয় না। তখন নায়িকা বলে ঠিক আছে সমস্যা নেই যেদিন আমি দরজা খুলবে না ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকবো সেদিন বুঝবা। এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগতভাবে নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যেহেতু সামনে আরও পর্ব আছে সেহেতু নাটক দেখতে অনেক মজার হবে আশা করছি। পর্ব যত বাড়ছে নাটকটি দেখে আমি এত মজা পাচ্ছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। নাটকের রেটিং হিসেবে ০৯/১০ দিলাম।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ। |
---|---|
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাহেব নামের গোলাম নাটকের রিভিউ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে নাটকটির বেশ কয়েকটি পর্ব আমি কয়েকদিন আগেই দেখেছিলাম। নাটকের অভিনয়গুলো খুবই সুন্দর এবং নাটকের মধ্যে কোন প্রকারের বাজে ভাষার ব্যবহার নেই। সব মিলে অত্যন্ত রুচি সম্পন্ন একটি নাটক বলা যায়।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ দিয়েছেন। এই ধরনের নাটক দেখতে খুব ভালো লাগে। অনেক দিন হয়েছে নাটক দেখা হয় না আর রিভিউ দেওয়া হয় না। তবে আপনাদের রিভিউ পড়লে মনে হয় যেন সম্পূর্ণ নাটক দেখা হয়ে গিয়েছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
সাহেব নামে গোলাম নাটক টি দেখছি।তার প্রতি টা পর্ব আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।যাইহোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে আবার সাহেব নামে গোলাম নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
শুকরিয়া ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
সাহেব নামে গোলাম নাটকটা দেখা হয় আমার। আপনি আজকে এই নাটকের তৃতীয় পর্ব খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। এই পর্ব টা অনেক সুন্দর ছিল। নায়িকা নায়ক এর সাথে নাটক করছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করে নিবেন।
আমার কাছে সেটাই মনে হচ্ছে, কারন মেয়ে মানুষ অতি সহজে ভালো জিনিস বুঝে না। খুব শীঘ্রই পরের পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন।
এই নাটকটার কয়েকটা শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম আমি। কিন্তু নাটকটা সম্পূর্ণভাবে দেখা হয়নি। নাটকটা সম্পূর্ণভাবে না দেখা হলেও, আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে সহজেই নাটকের পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পারলাম। আর পুরো কাহিনীটা জানতে পেরে তো অনেক ভালো লাগছে। আর আমি যদি সময় পাই তাহলে নাটকটা দেখারও চেষ্টা করবো।
নাটকটি খুবই সুন্দর ভাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর কাহিনি খুব কম নাটকেই দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাই