নাটক রিভিউ - দ্যা নক |The Knock| ভৌতিক নাটক

আমি @arpita007 বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।নাটকটি আজকেই দেখলাম আর বেশ ভালো লাগলো তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করি। নাটকটা মূলত ভৌতিক কাহিনী নিয়ে নির্মিত।আর আমার ভুতের মুভি অথবা নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের নাটকের রিভিউ পোস্ট।

কাহিনী সারসংক্ষেপ

নাটকে দুইজন স্বামী-স্ত্রী গ্রামের দিকে বেড়াতে এসে ফিরে যাওয়ার সময় তাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তখন ছিল ঝড়বৃষ্টির রাত এজন্য মেকানিক পাওয়া ও কষ্টকর গ্রাম অঞ্চলে। এরপর তারা দুজনে সাহায্যের জন্য একটা বাড়িতে আসে। এখানে তারা দরজায় নক করলে একজন লোক দরজার খুলে দেই এবং জানতে চাই তারা কারা?আমরা এখানে স্বামী এবং স্ত্রীর নাম জানতে পারি। স্বামীর নাম রিয়াদ এবং স্ত্রীর নাম শারমিন। এখানে বলে রাখি যে লোক দরজা খুলছে উনি এই বাড়ির কেয়ারটেকার অর্থাৎ বাড়ির দেখাশোনা করে বাড়ির মালিকরা বাড়িতে থাকে না। কেয়ারটেকার এর নাম মোজো ভাই। এরপর রিয়াদ এবং শারমিন বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।

এরপর কেয়ারটেকার অর্থাৎ মজো ভাই বলতে থাকে আজকের রাত ভালো না।আজ কাল রাত। আজকের দিনে মেকানিক কেন একটা চায়ের দোকান ও খোলা পাবে না। আর আজকে বাড়ির বাইরে মানুষ কেন একটা কাকপক্ষী ও দেখতে পারবে না । রিয়াদ মজা করে বলে যে কে বলছে কেউ নেই এইতো আপনি আছেন আমাদের সামনে নাকি আপনার রুপ ধরে অন্য কেউ আছে। মজো ভাই রেগে বলে আমার কথা না বিশ্বাস হলে যান বাইরে গিয়ে থেকে দেখেন।পরে শারমিন রিয়াদকে উদ্দেশ্য করে বলে আজকে এই ঝড় বৃষ্টির রাতে বাইরে বন জঙ্গলে থাকতে পারবো না সব কিছুতেই মজা কর কেন রিয়াদ। তারপর রিয়াদ বিষয়টা কথা বলার মাধ্যমে ঠিক করে নেই।এরপরে মজো ভাই তাদের রুম দেখিয়ে দেয় এবং বলে আপনারা ফ্রেশ হয়ে নেন আপনাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করি। এই বলে মজো ভাই চলে যাই তারপর তাদের খাবার খেতে দেয় এবং কিছু গল্প করে।

এরপরে সবাই একসঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলো। তখন শারমিন মজো ভাইকে জিজ্ঞেস করে যে মজো ভাই আপনি আসার পর থেকে বললেন আজ কাল রাত আসলে ব্যাপারটা কি! আমরাও জানতে চাই।পরে মজো ভাই বলতে শুরু করে যে আজ থেকে অনেক বছর আগে তাদের পাশের কাশিমপুর গ্রামে একটা সুন্দরী মেয়ে ছিলো তার সঙ্গে একটা ছেলে প্রেম করতো কিন্তু ছেলেটা মেয়েটাকে ধোঁকা দেয় মেয়েটা তা মেনে নিতে না পেরে ট্রেনলাইনে আত্মহত্যা করে। তারপর থেকে সে প্রতিবছর ফিরে আসে এই দিনে।আর যদি সে দেখে কোন নতুন কাপল তাহলে সে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে।এই কথা শুনে রিয়াদ আর শারমিন হাসাহাসি করে।মজো ভাই বলে জানতাম আপনারা বিশ্বাস করবেন না আপনারা যে শহরের মানুষ।তারপর সবাই গল্প শেষ করে ঘুমাতে যাই।

এরপর মাঝরাতে হঠাৎ দরজায় নক করার শব্দ আসে।একটা মেয়ে সাহায্য চাচ্ছে বলে বুঝতে পারে শারমিন এবং রিয়াদ। কিন্তু মজো ভাই বলে খোলার দরকার নেই আজ কাল রাত। শারমিন এবং রিয়াদ তার কথা না শুনে দরজা খুলে দেয় এবং একটা সুন্দরী মেয়ে প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে।মেয়েটা এসে পানি চাই খেতে।পানি খেতে দেওয়া হয় মেয়েটাকে। রিয়াদ জিজ্ঞেস করে এত রাতে তখন প্রায় রাত ১২ টার মতো বাজে। রিয়াদ জানতে চাই যে কি হয়েছে?মেয়েটা উওর এ বলে সে ট্রেনে করে ঢাকা যাচ্ছিল স্টেশন এ ট্রেন থামলে সে খাবার খেতে দোকানে যাই পরে সে দেখতে পাই ট্রেন চলে গেছে তার যাওয়ার আগে।পরে কি করবে সে এত রাতে কিছু লোকজন তাকে বলে যে সামনে একটা বাড়ি আছে ঐখানে গিয়ে দেখতে পারেন কিছু সাহায্য পান কিনা।পরে অনেক কষ্ট করে খুঁজে সে এখানে এসেছে । মেয়েটা বলে আজ রাতটুকু এখানে থাকতে দেন শুধু ভোরের ট্রেনে আমি ঢাকা ফিরে যাবো।অদ্ভুতভাবে বলে তার একজনের সঙ্গে দেখা করতে হবে ঢাকা গিয়ে। রিয়াদ বলে সে তাদের সাথে কাল ঢাকা যেতে পারে তারাও কাল ঢাকা যাবে।এই কথা শুনে শারমিন বিরক্ত হয়ে বলে যে না শারমিন এর মনে হয় সকালের ট্রেনে মেয়েটার ফিরে যাওয়া উচিত। মেয়েটা উওর এ বলে একদম ঠিক বলেছেন।আর এখানে তারা সবাই পরিচিত হয়।আমরা এখানে রহস্যময়ী মেয়েটার নাম জানতে পারি নিশি। এরপর সবাই কথা শেষ করে ঘুমাতে যাই ।

এরপর হঠাৎ রাত তিনটার দিকে শারমিন একটা কান্নার এবং অদ্ভুত কিছু আওয়াজ শুনতে পাই।সে উঠে চেক করার সময় হঠাৎ দেখে দরজা খুলে গেছে আপনাআপনি। পরে শারমিন বাহিরে গিয়ে পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখতে পাই রিয়াদ বসে আছে পুকুর ঘাটের সিরির উপর পরে এগিয়ে দেখতে গেলে হঠাৎ গায়েব হয়ে যায় । শারমিন ভয় পেয়ে পিছনে ঘুরলে শারমিন তার পিছনে নিশিকে দেখতে পাই।

এরপর সকালে রিয়াদ ঘুম থেকে শারমিন কে ডেকে তুলে এবং রেডি হয়ে নিতে বলে গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে ।এখন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।পরে শারমিন এবং রিয়াদ মজো ভাইয়ের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।

রিয়াদ এবং শারমিন চলে যাওয়ার পর মজো ভাই পুকুর ঘাটে মুখ ধুঁতে গিয়ে একটা শাড়ি দেখতে পাই।শাড়ি ধরে টেনে পাড়ে এনে দেখতে পাই এটা তো শারমিন। তাহলে একটু আগে কে গেল রিয়াদের সঙ্গে! এরপর আমরা গাড়িতে যেতে দেখি রিয়াদ এবং শারমিন কে গাড়ির লুকিং গ্লাস এ আমরা নিশিকে দেখতে পাই। নিশিকে দেখানোর মাধ্যমে নাটক সমাপ্ত হয়।

সবগুলো স্ক্রিনশর্ট- ইউটিউব থেকে নেওয়া হয়েছে

নাটকটির ভৌতিক কাহিনী অনেক ভালো লেগেছে আমার। শারমিন রাত তিনটার দিকে একা ঘর থেকে বের হয়ে বিপদে পড়ছে।এই নাটক থেকে শিক্ষামূলক হিসেবে ধরতে গেলে রাতে বিশেষ করে মধ্যরাতে বাড়ির বাইরে বের না হওয়া উচিত আমাদের সকলের। তাছাড়া নাটকটি বেশ ভালো হয়েছে ভুতের বাংলা নাটক হিসেবে।আমার মনে হয় নাটকটির সময় অনেক কম হয়েছে একটু বেশি হলে ভালো হতো।