বিরামহীন বৃষ্টি
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই? অনেক দিন পরে আবার ফিরে আসলাম।একটি বৃষ্টিময় দিন নিয়ে লিখলাম।
রাত ১১ টা থেকে শুরু হলো বৃষ্টি।পরদিন সকালে পরিক্ষা আছে।রাত ৪ টায় উঠে পড়তে বসলাম বাইরে তাকিয়ে দেখে চোখ কপালে অনবরত চলতে আছে বৃষ্টি।মাথায় কিছুটা চিন্তার ভাজ আগামীকাল কিভাবে কি করবো।পরিক্ষা শুরু হবে সকাল ১০ টায়।চিন্তা করতে করতে পড়তে শুরু করলাম।সকাল ৮ টায় দিকে বৃষ্টির প্রভাব একটু কমতে শুরু করলো।তখন থেকে শুরু পিন-পিন বৃষ্টি।এককথায় টুপ টুপ করে পানি পড়ছে।
কোনো কিছুর চিন্তা না করেই বৃষ্টি কমাতে বেড়িয়ে পড়লাম।হেঁটে যেতে হবে ১ কিলোমিটার। সাথে আছে আমার ব্যাগ এবং একটি ছাতা।হাটতে শুরুর কিছু সময় পরে মাঠের দিকে তাকিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলে।অতিবৃষ্টির কারনে মাঠ তো তলিয়ে গেছে সাথে অনেকের ঘের বাড়ি তলিয়ে গেছে।মাঠের কাছে থাকা বাড়ি গুলোতে পানি উঠতে শুরু করেছে।চাষের মাছ ঘের থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে।এগুলো কৃষকের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টদায়ক।মাছ বিক্রি করে যেখানে লাভের মুখ দেখবে সেখানে হয়ে যাবে লোকশান।
আমি আমার গন্তব্যে পৌছালাম।বৃষ্টির জন্য শরীরের পোশাক কিছুটা ভিজে গেছে।আমার ভার্সিটির বাস আসে ৮.৩৫ এ।তারাতাড়ি করে বাসে উঠলাম।দেখি আমার মতো আরো অনেকে আছে যাদের আজকের এই দিনে পরিক্ষা।সাথে কিছু স্টাফ ও টিচার ও ছিলো।
পরিক্ষা শেষ হলো দুপুর দুইটাই।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছু সময় ব্রেক নিলাম।এরপর বেরিয়ে পড়লাম টিউশনিতে। টিউশনিতে যাওয়ার পথে ও সেম অবস্থা বৃষ্টি বাদলায় জীবন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল।সকালে পরিচিত পোশাকটি সম্পুন্ন ভিজে গেল।ভেজা কাপড়েই টিউশনি শেষ করলাম।
সন্ধ্যা ৭ টায় বাসায় ফিরলাম।আসলে এখন বর্ষাকাল তো অবশ্য বর্ষার সাথে হবেই।কিন্তু এই সারাদিনের এই পিন পিন বৃষ্টিটা খুবই কষ্ট দেয়।বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষের জন্য এই দিনগুলো খুবই কষ্টদায়ক।তাদের দৈনিক আয় বা রোজগার হয় না।পরিশেষে এইটুকু বলতে চাই আমাদেরকে সবকিছু মানিয়ে নিয়েই চলতে হবে।
এটি আমার বর্ষাকালের একটি সম্পূর্ণ বৃষ্টিময় দিন।সকলকে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি-আরিফুল ইসলাম।স্টিমিট আইডি-@apulam. জাতীয়তা:বাংলাদেশী।বর্তমানে আমি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত ডিসিপ্লিন এ ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত।২০২৫ সালের ফেব্রয়ারি মাসের ৪ তারিখে যুক্ত হয়েছি।ফটোগ্রাফি করার প্রবল ইচ্ছাশক্তি রয়েছে।পাশাপাশি ভ্রমন পছন্দ করি।স্বপ্ন দেখি বিশ্ব ভ্রমন করার। |