"সিলেটের জাফলং পৌঁছালাম"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ শে সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা অনেক খারাপ রাস্তাগুলো পার করে এসে বেশ সুন্দর একটি রাস্তা দিয়ে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। এমন সুন্দর রাস্তা দিয়ে গেলে মন মুহূর্তেই ভালো হয়ে যায়। তবে এসব রাস্তা গুলো দিয়ে যাওয়া একটু রিস্কের কারণ রাস্তার পাশে ছাগল, গরু, ভেড়া এগুলো থাকে। হাওড় অঞ্চলের সব জায়গাতে পানি থাকার কারণে গরু, ছাগলের মালিকেরা এনে এখান থেকে ঘাস খাওয়ায়।
আমরা যতই সামনের দিকে যাচ্ছিলাম ততই মনের ভিতর আনন্দ অনুভব করছিলাম। আর যাওয়ার সময় প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। হাওড়া অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ধান হয়। আমরা যে পথ দিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম সেই পথের দু'পাশে ছিল সবুজে ঘেরা ধানের ক্ষেত।
আমরা বিছনাকান্দি থেকে মোটামুটি এক ঘণ্টার ভেতরেই জাফলং এর খুব কাছে চলে আসি। আমরা জাফলংয়ের খুব কাছে আসার পর চা বাগান দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিলো। আমাদের কাছে তখন এমনটা মনে হচ্ছিল যে, আমরা আর একটু পরেই আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে যাবো।
আমরা অবশ্য যাওয়ার পথে বেশ কয়েক জায়গায় বিরতি দিয়েছিলাম। এটা হচ্ছে বাইক নিয়ে যাওয়ার একটা আলাদা মজা। সিলেটে জাফলং যাওয়ার পথে আমাদের যেখানে ইচ্ছে হয়েছিল আমরা সেখানেই দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। আর এই কারণেই বাইক জার্নি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
আমাদের গ্রুপের ভিতর শুধুই যে আমি বাইক জার্নি পছন্দ করি এমনটা নয়। আমরা যে, চারজন ভ্রমণে বের হয়েছিলাম সবাই বাইক লাভার। আমাদের সামনে যে, বাইকটি দেখতে পাচ্ছেন এই বাইকটিতে আবার কাকাতো ভাই কনক আর পলাশ কাকা রয়েছে। পলাশ কাকার থেকে কনক দাদা বাইক চালানোই এক্সপার্ট বেশি তাই সম্পূর্ণ পথ দাদাই ড্রাইভিং করেছিলো।
আর এদিকে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ছিলাম এক বাইকে। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজন মিলেই ড্রাইভ করেছিলাম তবে বন্ধু রাহুল সব থেকে বেশি ড্রাইভ করেছিল। আমি বন্ধু রাহুলের গাড়িটা চালিয়ে একটু ফ্লাক্সিবল কম পায় তাই কম চালিয়েছিলাম। আর এমনিতেও বন্ধু রাহুল আমার থেকে গাড়ি চালানোয় এক্সপার্ট বেশি।
আমরা বিছনাকান্দি থেকে প্রায় এক ঘন্টা বাইক ড্রাইভ করার পরে জাফলং বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছালাম। এখানে পৌঁছানোর পরেই বুকের ভেতরে অন্যরকম একটা শান্তি অনুভব করলাম। একটার পর আরেকটা মেঘালয় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আপনার ভ্রমণ পোস্ট যেন শেষই হচ্ছে না। এ যেন অন্যরকম এক অনূভুতি। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। সিলেট হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। সুন্দর প্রকৃতি চমৎকার আকাশ সবমিলিয়ে দারুণ একটা আবওহাওয়া। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
ভাই এখনো অনেক জায়গার ভ্রমণ পোস্ট বাকি আছে। যদি সেগুলো শেষ করতে চায় তাহলে আরো দুবছর মতো লাগবে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
সিলেটের জাফলং ভ্রমণে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই। জায়গাটি সত্যি অনেক সুন্দর। যদিও কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে অনেকের কাছেই শুনেছি। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি আবারো নতুন কোন পর্ব দেখতে পারবো।
হ্যাঁ ভাই জায়গাটি অনেক সুন্দর আপনি ঠিক শুনেছেন। যদি ভবিষ্যতে সে রকম সময় পান অবশ্যই গিয়ে ভ্রমণ করে আসবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।