সবাই মিলে একসাথে কাত্যায়নী পূজা দেখা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগের মাঝে রয়েছে আলাদা আলাদা আনন্দ। আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আপনাদের সাথে নিজের জীবনের আনন্দ অনুভূতি সবকিছু শেয়ার করার মাধ্যমে অনেক সুখ অনুভব হয়। এটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা প্রতিদিনের সবকিছুই শেয়ার করতে পারি। এবছরের কাত্যায়নী পূজার সময়ে আমি গ্রামে ছিলাম আর তাই পাড়ার ছেলেপেলেরা মিলে একসাথে কাত্যায়নী পূজা দেখতে বের হয়েছিলাম। সবাই মিলে একসাথে পূজা দেখার সত্যিই মজাই আলাদা। এ বছরের কাত্যায়নী পূজা দেখার আনন্দ অনুভূতি ও সুন্দর মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
এ বছরে কাত্যায়নী পূজা শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই বাড়িতে গিয়েছিলাম। কাত্যায়নী পূজা এবং দুর্গাপূজা ঠিক একই ভাবে অনুষ্ঠিত উদযাপিত হয় শুধু ব্যবধানটা থাকে সময়ের। গত বছরে কাত্যায়নী পূজার সময় যেহেতু ঢাকাতে অবস্থান করছিলাম তাই গ্রামের বন্ধুবান্ধব ছোট ভাই বড় ভাই মিলে একসাথে পূজা দেখাটা মিস হয়েছিল।
তাই বছরে আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম যে, সবাই মিলে একসাথে কাত্যায়নী পূজা দেখব। পূজা মানেই আনন্দ পূজা মানেই উৎসব। আমরা এ বছরে পূজা দেখতে যাওয়ার জন্য সন্ধ্যার আগেই একটা ভ্যান ঠিক করলাম। তারপর সবাই মিলে এক ভ্যানে পূজা দেখতে বের হলাম। আমাদের এলাকাগুলোতে অবশ্য খুব একটা বেশি কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয় না।
তারপরেও যে, কয়টা পূজা অনুষ্ঠিত হয় একটু দূরে দূরে। আমাদের বাংলাদেশের ভেতরে সবথেকে বড় কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয় মাগুরা জেলায়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মাগুরা জেলায় গিয়ে একবার কাত্যায়নী পূজা দেখেছিলাম তারপর আর কখনো দেখা হয়নি। বাংলাদেশের অনেক এলাকাতে কাত্যায়নী পূজা হয়না তবে আমাদের এলাকাতে কিছু কিছু জায়গায় হয়।
যাইহোক আমরা ভ্যান নিয়ে প্রথমে খোকসা জানিপুরে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রতিবছর একটি মন্দিরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয় বেশ জাঁকজমক ভাবেই। জানিপুরে মোট দুইটি কাত্যায়নী পূজা হচ্ছিল। একটা ছিল খোকসা কালিবাড়ি মন্দিরের পাশেই আরেকটি ছিল নিমতলা মন্দির। আমরা এই দুই মন্দিরে পূজা দেখা শেষ করে কমলাপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
তারপর কমলাপুর থেকে কাত্যায়নী মায়ের দর্শন শেষ করে একতারপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিই। প্রতিবছর একটার পুরো অঞ্চলে বেশ জাঁকজমক ভাবে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরে আগেই সংবাদ পেয়েছিলাম যে, একতারপুরে অনেক বড় পরিসরে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
একতারপুর এর কাত্যায়নী পূজা মন্ডপের সামনে নামতেই বুঝতে পারলাম যে, এখানে সত্যি এলাহি কাণ্ড হচ্ছে। অনেক অনেক মানুষের সমাগমে পুরো এলাকাটা ভরা ছিল। আর পূজা মন্ডপের সামনে লীলা কীর্তন হচ্ছিল। আর এই লীলা কীর্তন শোনার জন্য অনেক দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ এসেছিল। আমরা এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেক সময় লীলা কীর্তন শুনেছিলাম সত্যি বলতে ভীষণ ভালো লেগেছিল।
তারপর আমরা একতারপুর থেকে পূজা দেখা শেষ করে পদ্মবিলে কাত্যায়নী পূজা মন্ডপে চলে আসি। এই পূজা মন্ডপে প্রতিবছর কাত্যায়নী পূজা এবং দুর্গাপূজা দুটোই অনুষ্ঠিত হয়। আমরা অনেকটা সময় পূজা মণ্ডপে ছিলাম কারণ এখানে বেশ কিছু অনুষ্ঠান হচ্ছিলো সেগুলো উপভোগ করেছিলাম। তারপর এখানে থেকে পূজা দেখা শেষ করে সবাই মিলে একসাথে বাড়িতে চলে আসি। এভাবে সবাই মিলে একসাথে পূজা দেখার আনন্দটা সত্যিই অনেক উপভোগ্য ছিল।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১লা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


কাত্যায়নী পূজা আর দূর্গাপুজা প্রায় একই দেখছি যা ছবিতে। আমাদের এদিকে কাত্যায়নী পূজা একেবারেই হয় না৷ এটা তো আমি প্রথমবারই দেখলাম। দুর্গা ঠাকুর বছরের যে সময়তে দেখি না কেন বড় ভালো লাগে। আপনাদের চেয়ে এত সুন্দর করে পূজো আচ্ছা হয় দেখে আপ্লুত হলাম।
কাত্যায়নি পুজোর আগে গ্রামে এসেছিলেন এবং গ্রামের ছোট ভাইদের নিয়ে বেশ মজা করে কাত্যায়নি পূজা দেখেছেন। একতারপুরে তো দেখছি বেশ বড় পরিসরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি যদিও কখনো কাত্যায়নি পূজা দেখিনি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই পূজা সম্পর্কে বেশ ধারণা পেলাম।দুর্গাপূজার মতোই বেশ বড় পরিসরে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় জেনে ভালো লাগলো। পূজা দেখা দারুন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।