বান্দরবান ভ্রমণ: নীলাচলের মুগ্ধতা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১ লা মার্চ, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- নীলাচলের মুগ্ধতা।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করা মাত্রই এখানকার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মন ভালো হয়ে যায়। বান্দরবান মেইন শহর থেকে নীলাচলের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র থেকে এই বান্দরবান শহরের বিল্ডিং গুলো দেখা যায়। আরো দেখা যায় অনেক দূরের বড় বড় সব পাহাড়। পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের ভিতর আমরা পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম আর এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।
পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পথের মাঝেমধ্যে পর্যটকদের জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর বসার জায়গা। এসব জায়গাতে বসে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আমরা যারা গিয়েছিলাম তারা বসে বসে সবাই মিলে এখানে গল্প গুজব আর আড্ডা দিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় অনেকগুলো বসার জায়গা পেয়েছিলাম তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল হাতের আদলে তৈরি এই বসার জায়গাটা।
এই জায়গা থেকেই বসে দূরের পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আমরা এখানে কিছুটা সময় উপভোগ করার পরে হেঁটে একদম মেইন পয়েন্টে চলে আসলাম। বাইরে থেকে পর্যটকের সমাগম একটু কম মনে হলেও ভেতরে এসে দেখলাম বেশ ভালই পর্যটক রয়েছে। নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র এমন একটি জায়গা যেখানে খুব সহজেই এসে পাহাড় এবং মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব।
আর নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান শহর থেকে খুব কাছে হওয়ার কারণে এই ভ্রমণকেন্দ্রটা বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া বান্দরবানের অন্যান্য ভ্রমণ কেন্দ্রগুলোতে যাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। আমার সাথে যারা ছিল অনেকেই এর আগে আরও একবার এসব ভ্রমণ কেন্দ্রগুলো ঘুরে গিয়েছিল। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ ছিলো।
আমরা উপরে উঠার পরেই দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর একটি গেস্ট হাউস। নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের এটাই সর্বোচ্চ উঁচু জায়গা। এখান থেকেই সবাই পাহাড় এবং মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করে। পর্যটকদের জন্য এখানে অনেকগুলো বসার জায়গা ছিল। বিকালের সুন্দর মুহূর্তে এখানে বসে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের সর্বোচ্চ চূড়া থেকে আমরা পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম। আমরা যেহেতু শীতকালীন মৌসুমে গিয়েছিলাম তাই মেঘের দেখা পেয়েছিলাম না। তবে দূরের বড় বড় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এরকম সুন্দর দৃশ্য দেখে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
আপনার পোস্ট গুলো দেখলেই বোঝা যায় আপনি কতটা ভ্রমণ পিপাসু। মাঝে মাঝে দেখে আপনারা অনেক জায়গায় ঘুরতে চলে যান। অপূর্ব সৌন্দর্যের ঘেরা প্রকৃতির এই অনন্য রূপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেন দেখে ভালো লাগে। নীলাচলের সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এখানে বসে খুব সুন্দর পাহাড়ের সৌন্দর্য দর্শন করা যায় শুনে ভালো লাগলো। ইচ্ছা আছে একদিন গোটা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
নীলা চলে গেলে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পরে যে একটা সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন সেটা সব সময় সেরা। তবে হ্যাঁ শীতকালের তুলনায় আপনি যদি বর্ষার মৌসুমে নীলাচল ভ্রমণ করতে যান সে ক্ষেত্রে প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যের সাক্ষী হবেন। মেঘ খুব কাছ থেকে উপভোগ করতে পারা যায় যাই হোক সুন্দরভাবে শেয়ার করেছ বন্ধু শুভকামনা রইল তোমার জন্য।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম স্থান হলো নীলাচল। নীলাচলের সৌন্দর্যতা আমাদের মুগ্ধ করে। অপূর্ব সৌন্দর্যের ঘেরা নীলাচল ।বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।