গ্রাম থেকে ঢাকায় ফেরা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৬ ই মার্চ, রবিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি নতুন বাইক কেনার পরে সপ্তাহখানেক আগে প্রথমবারের মতো বাইক নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। এর আগে আমি আর আমার বন্ধুরা রাহুল বাইকটি অনেকবার বাড়িতে যাওয়া আসা করেছি তবে একা বাইক ড্রাইভ করে এটাই আমার প্রথম যাওয়া ছিল। আসলে বাইকে করে কোথাও যাইতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। আমার কাছে মনে হয় যারা বাইক লাভার আছে সবাই বাইকে করে ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালোবাসে। গ্রামে গিয়ে কয়েকদিন বেশ ভালোই সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাকে ভীষণ আকৃষ্ট করে। আজকে গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ছেড়ে ঢাকা যান্ত্রিক শহরে আসার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কয়েকদিন আগে ঠিক করে রেখেছিলাম রবিবারে খুব সকালে বাইক নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেব। আজকে ঢাকাতে আসার একটা কারণ ছিল সেটা হল আগামীকাল বিআরটিএ তে বাইকের নাম্বার প্লেট ও ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য বায়োমেট্রিক দিতে হবে। যেহেতু আগামীকাল সকালে গিয়ে বায়োমেট্রিক দিতে হবে তাই আজকে আসার জন্য পারফেক্ট দিন ছিল। যাইহোক গতকালকে রাতে বাসায় এসে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রেখেছিলাম।
আর ঘুমানোর আগে আজকে সকাল ছয়টার দিকে মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। আজকে সকাল ছয়টা বাজতেই মোবাইলে এলার্ম বেজে উঠল তারপর ঘুম ভেঙে গেল। খুব সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর বাইক বের করে ব্যাগ পত্র গুলো বাইকের সাথে ভালোভাবে বেঁধে নিলাম। তারপর সকাল ছয়টা বিশ মিনিটে বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
গ্রামীণ প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য ছেড়ে আসতে ভীষণ খারাপ লাগছিল। আসলে ঢাকা শহরে বাইক চালাতে আমার মোটেই ভালো লাগেনা। একটা বড় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত জ্যাম যেটা আমার কাছে খুবই বিরক্তি লাগে। আমার বাইক যেহেতু নতুন সে কারণে বাইকের স্পিড প্রতি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের বেশি উঠানো নিষেধ রয়েছে। নতুন বাইকগুলোতে দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ব্রেকিং পিরিয়ড চলাকালে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হয়।
আমার বাইকটা যেহেতু নতুন তাই বাইকের ইঞ্জিনের রেস্ট দেয়ার জন্য ৫০ কিলোমিটার ড্রাইভ করার পরে ব্রেক দিয়েছিলাম। যেহেতু খুব সকালে বের হয়েছিলাম বাইকে আসতে ভীষণ ভালো লাগছিল। সকালের হালকা ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগলে ভীষণ ভালো লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টা বাইক ড্রাইভ করার পরে গোয়ালন্দ ফেরিঘাটে এসে পৌঁছায়। তারপর সেখান থেকে ১৪০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ফেরিতে উঠি।
ফ্রিতে ওঠার পরে সেখানে মোটামুটি আধা ঘন্টার মত লেট করতে হয়েছিল। কারণ খুব সকালে ফেরি ভরতে একটু সময় লাগে। তারপর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছাড়ার পরে আধা ঘন্টা ভিতরে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে যায়। ফেরিতে নদীর ভিতরে কাটানো সময়টা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। কারণ সকালের নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই ভালো থাকে।
পাটুরিয়া থেকে টানা এক ঘন্টারও বেশি সময় বাইক ড্রাইভ করার পরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কিছু সময় রেস্ট করি। তারপর আবার বাইক ড্রাইভ শুরু করি। কোথাও যাওয়ার সময় সুন্দর সুন্দর জায়গায় দাঁড়িয়ে রেস্ট করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। আসলে এরকম স্বাধীনতা শুধুমাত্র বাইকে পাওয়াই সম্ভব। তারপর আরো এক ঘন্টা ড্রাইভ করার পরে আমাদের বাসায় এসে পৌঁছায়। গ্রাম থেকে বাইকে করে ঢাকায় ফেরার মুহূর্ত খুবই সুন্দর ছিল।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১লা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: মোহাম্মদপুর,ঢাকা
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


সম্ভবত এটা সবচাইতে কষ্টের একটা অনূভুতি নিজের এলাকা নিজের গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় আসার সময় বেশ খারাপ লাগা কাজ করে। আর এই অনূভুতি কখনোই বলে বোঝানো সম্ভব না।