সিলেটের জাফলং ভ্রমণ-১ম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৫ শে সেপ্টেম্বর, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা সকালে বের হয়ে বিছনাকান্দি ভ্রমণ শেষে প্রায় দুই ঘন্টা বাইক জার্নি করার পরে জাফলং এসে পৌঁছেছিলাম। একদিনে কয়েকটা ভ্রমণ স্পট দেখা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার কিন্তু কাছে যদি বাইক থাকে তাহলে কঠিন ব্যাপার সহজ হয়ে যায়। আমরা যারা ভ্রমণে বের হয়েছিলাম সবাই বাইক লাভার সবাই ভাইকে ড্রাইভ করতে পারি আর সবাই বাইকে জার্নি করতেও পছন্দ করি।
আমরা জাফলং পৌঁছানোর পরে সেখানকার সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। এর আগে আমি কখনোই জাফলং গিয়েছিলাম না। তাই আমার কৌতুহলটা অনেক বেশি ছিল জাফলং সম্পর্কে। এত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
আমরা বাস স্ট্যান্ডের পাশেই কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। সারাদিন তেমন কোনো ভারী খাবার না খেয়ে বাইক জার্নি করেছিলাম একটু ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানকার সৌন্দর্য দেখার পর ক্লান্তি কোথায় যে হারিয়ে গিয়েছিল সেটা নিজেরাই বুঝতে পারছিলাম না।
যাইহোক আমরা যেহেতু দুপুরে কোন খাবার না খেয়েই বিছনাকান্দি থেকে বের হয়েছিলাম তাই জাফলং এসে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। আমরা যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেটা খুব একটা উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট না মোটামুটি। প্রথমে রেস্টুরেন্টে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম।
তারপর আমরা যা অর্ডার করেছিলাম তা টেবিলে দিয়ে যাওয়ার পরে পেটপুরে দুপুরের খাবার খেলাম। আমাদের দুপুরের খাবারের মেনু ছিল ডিম, ডাল, ভর্তা এসব কম দামি খাবার। আমরা যেহেতু বাজেট ট্যুর দেই তাই খাবার থেকে খরচ বাঁচানোর চেষ্টা করি। কারণ বাজেট ট্যুরের সময় খাবার বাদে অন্য কোন জায়গায় খরচ বাঁচানোটা কষ্টকর হয়ে যায়।
আমরা খুব অল্প সময়ের ভেতরে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসলাম। তারপর বাইক রাখার জন্য গ্যারেজ খুঁজতে থাকলাম। কয়েক মিনিট বাইকের গ্যারেজ খোঁজার পরে একটি ভালো গ্যারেজ পেলাম সেখানেই আমাদের দুটি বাইক রাখলাম। এই গ্যারেজে বাইক প্রতি কত টাকা নিয়েছিল সেটা এখন আমার মনে পড়ছে না।
যাইহোক আমরা বাইক রেখে জাপলং জিরো পয়েন্টের দিকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। এখান থেকে জাফলং জিরো পয়েন্টে যেতে হলে আমাদেরকে বেশ খানিকটা পথ হাঁটতে হবে।
আজকে এ পর্যন্তই আমি আবার অন্য পোস্টে জাফলং ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: বিছনাকান্দি, সিলেট
তারিখ: ৩ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে সিলেট ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করেছেন। আমিও সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম সত্যি বেশ দারুন লেগেছে। আসলে সিলেটের মধ্যে জাফলং আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। সেখানে আমরা প্রায় একদিন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আপনিও বেশ সুন্দরভাবে গুছিয়ে পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনিও এখানে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আসলে ভ্রমণে বের হলে হৃদয়টা অনেক আনন্দে থাকে। অনেক সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
অনেক দিনের ইচ্ছে আছে সিলেটে ঘুরতে যাব। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে যাওয়া হচ্ছে না। যাব বললে একটা না একটা সমস্যা তৈরি হয়ে যায় কখন যেতে পারি জানিনা। আপনার ব্লগ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। জায়গা গুলো খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুণ উপভোগ করতে পারছি।
আপু আপনার অনেক দিনের ইচ্ছে আছে যতক্ষণ তাহলে ভ্রমণের জন্য বের হয়ে পড়ুন। সামনের বছরে জুন জুলাই মাসের দিকে সময় করে সিলেট ভ্রমণে বের হবেন। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সিলেটের জাফলং এর সৌন্দর্য সম্পর্কে আমরা সবাই জানি৷ এখানে এত অসাধারণ কিছু জিনিস রয়েছে যা দেখে আমরা প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হয়ে থাকি৷ আজকে আপনি সেখানে ভ্রমণ করে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আজকের প্রথম পর্বের মধ্যে আপনি খুব সুন্দর কিছু বিষয় এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ পরবর্তী পর্বগুলোর মধ্যে আরো নতুন কিছু বিষয় দেখার আশায় রইলাম৷
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।