কয়েকটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৫ ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা সবাই আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার কাছে মনে হয় প্রকৃতি আমাদের জীবন প্রকৃতি আছে বলেই আমরা জীবিত আছি। আর এই প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার দায়িত্বটাও আমাদের। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়কে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির সাথে সুন্দর সময় কাটাতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমি গ্রামে গেলে সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেই ঘুরে বেড়ায় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখি। ব্যক্তিগতভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ পছন্দ করি আর ফটোগ্রাফির ভেতরেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১ লা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে জবা ফুলের সৌন্দর্য। জবা ফুলকে চায়না গোলাপ বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে জবা ফুলের চাষ করা হয়। জবা ফুল অনেক জাত এবং রঙের হয়ে থাকে। লাল রঙের জবা ফুল আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই ফটোগ্রাফিটি আমি গত বছরে পিসিমণির বাসায় গিয়ে করেছিলাম।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: রাজবাড়ী
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে নদীর দৃশ্য। আমি যখন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি কিংবা বাড়ি থেকে ঢাকাতে যাই তখন নদী পারাপারের মুহূর্ত আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। নদীর প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে। নদীর খোলা বাতাসে হৃদয় মুগ্ধ হয়ে যায়।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আবার তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সরিষা ফুল। শীতকালীন অপরূপ সৌন্দর্যের ভিতরে সরিষা ফুল অন্যতম। গ্রামীন কৃষকেরা এর সময়ে প্রচুর পরিমাণে সরিষা চাষ করে থাকে। শীতের সময়ে গ্রামীন মাঠে গেলে সরিষা ফুলের গন্ধে হৃদয় ভরে যায়। হলুদ চাদরে মোড়ানো সরিষা ফুলের দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। কিছুদিন আগেই বাড়িতে থাকা অবস্থায় এই ফটোগ্রাফিটা আমি করেছিলাম।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আবার চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে বাঁশের সাঁকো। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বিভিন্ন জায়গায় ছোট খাল পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো দেখতাম। কিন্তু এখন বাঁশের সাঁকো অনেকক্ষণ দেখা যায়। এখন বাঁশের সাঁকোর বদলে ছোট ছোট কালভার্ট দেখা যায়। এই বাঁশের সাঁকোটি অনেক বড় সাধারণত এত বড় বাঁশের সাঁকো কোথাও দেখা যায় না।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০ শে জুন ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আবার পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে প্রাকৃতিক দৃশ্য। আমাদের দেশের যেকোন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আমি আবার দেশকে ভীষণ পরিমাণে ভালোবাসি। আর এই কারণেই আমি আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ভ্রমণের মাধ্যমে উপভোগ করি।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১ লা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: সুনামগঞ্জ
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে রঙ্গন ফুলের দৃশ্য। রঙ্গন ফুল বাংলাদেশের বর্তমানের প্রচুর পরিমাণে চাষ হচ্ছে। রঙ্গন ফুল গুলো সব ঋতুতেই পুষ্পঠিত হয়। গত বছর পিসিমণির বাসাতে গিয়ে ছাদ বাগান থেকে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। গোলাপি রঙের রঙ্গন ফুল আমি ভীষণ পছন্দ করি।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
আজকে আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্যের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার এক একটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। জবা ফুলের ফটোগ্রাফি ও রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি খুব চমৎকার হয়েছে। এবং বাঁশের সাঁকোর ফটোগ্রাফিও চমৎকার লাগলো। তবে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
কয়েকটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে সরিষা ফুলের এবং রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়াও বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে।
প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে আমার বরাবরই ভালো লাগে।তেমনি আপনি দারুণ সব দৃশ্য তুলে ধরেছেন।বিশেষ করে বাঁশের সাঁকো ও নদীর দৃশ্যটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি সবসময়ই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে তোলে। আপনি আজ বেশ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লাগে। এলোমেলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখা যায়। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো ও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনি দারুন কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। প্রথম জবা ফুলের ফটোগ্রাফি টা বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে। বাকি প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফিও খুব চমৎকার ছিল। বাঁশের সাঁকো অনেকদিন পর দেখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় ভীষন ভালো লাগে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে আমার। বিশেষ করে ১ ও ৩ নং ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর লেগেছে।আর অনেক দিন পর বাঁশের সাঁকো দেখে ইচ্ছে করছে এর উপর দিয়ে হেঁটে যেতে।এই ফটোগ্রাফিটিও দারুন লাগলো ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। আমারও ভীষণ ভালো লাগে দেখতে। আমিও ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করি। আপনি খুব সুন্দর দৃশ্যগুলো ধারণ করে আমাদেরকে শেয়ার করলেন। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
যখন অনেক সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি চোখের সামনে আসে তখন মনের মধ্যে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। আমি মনে করি রেন্ডম ফটোগ্রাফিগুলো এমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুল ফলে ভরা থাকবে। যাই হোক মনের মত ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি।