বান্দরবান ভ্রমণ: রূপসী ঝর্না।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- রূপসী ঝর্না।
আমরা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ শেষ করে রূপসী ঝর্না দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। আমরা যখন রূপসী ঝরনা দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দেই তখন ঘড়ির কাঁটায় ঠিক তিনটা বাজে। মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে রূপসী ঝর্নার দূরত্ব খুব একটা বেশি না। সবাই মিলে একসাথে চাঁদের গাড়িতে হৈ-হুল্লোড় করে এভাবে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা। জীবনে হয়তো অনেক সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী হব কিন্তু এই সব মুহূর্তগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে।
আমরা মোটামুটি ১৫ মিনিটের ভেতরেই রূপসী ঝর্ণার কাছে পৌঁছে যায়। মেইন রাস্তা থেকে রূপসী ঝর্নার দূরত্ব কয়েকশো মিটার মতো হবে। চাঁদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে সবাই মিলে ঝর্ণা দেখার জন্য যেতে থাকলাম। আমরা যেহেতু ও শীতের সময় গিয়েছিলাম তাই ঝর্নাতে জল কম পাব আগেই আন্দাজ করেছিলাম। বর্ষাকালীন সময়ে কিংবা বর্ষাকালীন সময়ের কিছু দিন পর পর্যন্ত খুবই ভালো ঝর্না দেখা যায়।
সবাই মিলে একসাথে ঝর্না দেখার জন্য গল্প করতে করতে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। আমাদের চাঁদের গাড়ি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে থেকে পথ খুব একটা বেশি না হলেও উঁচু নিচু রাস্তাতে হেঁটে যেতে বেশ ভালই লাগছিল। আমাদের যাওয়ার পথে কখনো বাঁশবাগান আবার কখনো কাঠের ছোট সেতু পেয়েছিলাম। জীবন তখনই সুন্দর মনে হয় যখন জীবনে সুখ অনুভব হয়।
আর সুখ অনুভবের জন্যই মানুষ সর্বদা ছুটে চলে। যাইহোক আমরা কাঠের সেতু পার হয়েই রূপসী ঝর্ণার খুব কাছে চলে আসলাম। আমি একটু দূর থেকে দেখতে পেলাম যে, রূপসী ঝর্ণাতে আসলে পানি নেই বললেই চলে। শীতের সময় অবশ্যই ঝর্ণাগুলো এরকমই মৃত প্রায় থাকে। বর্ষাকালীন মৌসুমী এবং বর্ষা কালীন মৌসুমীর পরবর্তী কিছুদিন এসব ঝর্ণার সৌন্দর্য অনেক বেশি থাকে।
রূপসী ঝর্নার এরূপ বেহাল অবস্থা দেখে মনটা একটু খারাপ ছিল। আমরা জানতাম যে, ঝর্নাতে পানি কম থাকবে কিন্তু এতটা কম থাকবে সেটা আশা করেছিলাম না। যাইহোক বর্ষাকালীন সময়ে অথবা বর্ষাকালীন সময় এরপরে এসে রূপসী ঝর্না সৌন্দর্য দেখার ইচ্ছা রয়ে গেছে। আমরা এখানে খুব একটা সময় অতিবাহিত না করে আবার আমাদের চাঁদের গাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
কয়েক মিনিট হাঁটার পরে আমাদের চাঁদের গাড়িতে পৌঁছে গেলাম। আমরা এখন চাঁদের গাড়িতে করে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে যাব।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আপনার সিলেট ভ্রমণ পর্ব গুলি পড়বার পরে এই বান্দরবান এবং কক্সবাজার ভ্রমণের পর্ব গুলিও খুব সুন্দর লাগছে। এখানে রূপসী ঝর্ণার যে বর্ণনা এবং ছবি আপনি দিয়েছেন তা ভীষণ সুন্দর লাগলো। কিন্তু চাঁদের গাড়ি কি সেটা ঠিক বুঝতে পারলাম না। কিন্তু সম্পূর্ণ ভ্রমনটি পড়ে বেশ আনন্দ পেলাম।।
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো ।বিশেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে চাঁদের গাড়িতে সফর আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতিগুলো খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। রূপসী ঝর্ণায় পানির পরিমাণ কম থাকলেও বর্ষাকালে আবার সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনাটা দারুণ। আপনার পরবর্তী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
রূপসী ঝরনার ছবিটা দেখে ভাবছিলাম এত কম জল কেন। তবে শীতকাল বলেই এত কম জল। বর্ষাকাল হলে এর চিত্র আলাদাই থাকতো।
সকলে মিলে হৈ হৈ করে ঘোরার মজাই আলাদা। খুব ভালো লাগল আপনার বেড়ানোর গল্প পড়ে।
আপনাদের ভ্রমণ পোস্টগুলো দেখতে ভালোই লাগে। বান্দরবান ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। চাঁদের গাড়িতে করে আপনারা বেশ মজা করে সেখানে গিয়েছেন। রুপসি ঝর্ণা জায়গাটা খুবই সুন্দর। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা। তবে সেখানে পানি অনেকটা কম মনে হচ্ছে। যাই হোক সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সেখানে তুলনামূলক খুব একটা পানি ছিল না যদি বর্ষার মৌসুমে এই জায়গায় যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে ঝর্ণার আসল সৌন্দর্যটা উপভোগ করা যায়। তবে তারপরেও প্রকৃতি সব সময় সুন্দর এমন সৌন্দর্যটা আপনাকে সবসময় আকৃষ্ট করবে। ঝর্ণার সৌন্দর্য টা ভালো লেগেছিল আবার পুনরায় আমাদের সাথে শেয়ার করলে ভালো লাগলো বন্ধু।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম মাধ্যম হলো ঝর্না আর পাহাড়। রূপসী ঝরনায় বেশ দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে উপভোগ করেছেন ভাই। আসলে এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে বান্দরবান ভ্রমণের আজকের পর্ব শেয়ার করার জন্য।