বান্দরবান ভ্রমণ: নীলগিরির উদ্দেশ্যে রওনা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৫ ই মার্চ, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি বান্দরবান ভ্রমণের- নীলগিরির উদ্দেশ্যে রওনা পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা হোটেল হিলটনে রাত্রি যাপন করে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হই। আজকে আমরা বান্দরবান মেইন শহর থেকে চাঁদের গাড়িতে করে নীলগিরির উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। তারপর নীলগিরি ভ্রমণ শেষ করে থানচি যাব তারপর সেখান থেকে নৌকাতে করে রেমাক্রি যাব। আজকে যেহেতু অনেকগুলো স্পটে ভ্রমণ করা লাগবে তাই আমরা সেভাবেই মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
আমরা আগের দিন সন্ধ্যার সময় একটি চাঁদের গাড়ি ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে সেই চাঁদের গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন দিলে তখন সে, আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। আসলে চাঁদের গাড়িগুলো আগে থেকে ঠিক করা না থাকলে অনেক সমস্যা হয়। তাদের যেহেতু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল তাই ভেবেছিলাম কোন সমস্যা হবে না কিন্তু সেই ড্রাইভার না যাওয়াতে একই সমস্যাটা আমাদের হলো।
আমরা খুব সকালে উঠে বেশ কয়েকজন চাঁদের গাড়ি ড্রাইভার এর সাথে ফোন করে কথা বলি। তারপর অনেক কষ্ট করে একটা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করলাম। তারপর আমরা সকাল ছয়টার দিকে নীলগিরি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। সকালে যেহেতু প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল তাই আমরা শীতের পোশাক পড়েই বের হয়েছিলাম। আর চাঁদের গাড়িতে এমনিতেও অনেক বেশি বাতাস লাগে।
শীতের সময় চাঁদের গাড়িতে উঠে ভ্রমণ করা অনেক বেশি কষ্টের মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে সবাই মিলে একসাথে ভ্রমণ করার আলাদা একটা মজা রয়েছে যেটা আমরা উপলব্ধি করেছিলাম। পাহাড়ি এলোমেলো রাস্তা দিয়ে চাঁদের গাড়িতে যেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আরে এসব এলোমেলো রাস্তার মতো আমাদের জীবনের রাস্তাও এরকমই এলোমেলো।
গতকালকে নীলাচল ভ্রমণ করে নীলগিরি ভ্রমণের প্রতি আরো আকর্ষণ বেড়ে গিয়েছিল। এবারে আমাদের সাথে যারা ভ্রমণে গিয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই এর আগেও একবার নীলাচল এবং নীলগিরি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ সূর্যোদয় পাহাড় সবকিছু মিলে সময়টা ভীষণ সুন্দর কেটেছিল।
জনমানবহীন পাহাড়ি রাস্তায় চাঁদের গাড়িতে যেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমাদের কাছে এমনটা মনে হচ্ছিল যেড় আমরা অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


আপনার ভ্রমণ পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি জায়গাটা অনেক সুন্দর। যা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে। আপনারা নিশ্চয় অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বান্দরবানে নীলগিরি ভ্রমণের দারুণ একটি বৃত্তান্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন ভাই। কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝতে পারিনি। চাঁদের গাড়িটা কি ধরনের গাড়ি? তবে সকালে ঠান্ডার পরিবেশে এই ধরনের ভ্রমণ গুলি করতে বড় ভাল লাগে। বান্দরবানে পাহাড় এবং নদীর মেলবন্ধন আলাদাই এক সুন্দর্য সৃষ্টি করে বলে শুনেছি।
ভাই, আপনার বান্দরবান নীলগিরি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে সত্যিই দারুণ লাগলো।ভোরের ঠান্ডা আবহাওয়ায় পাহাড়ি পথে ভ্রমণ করার অনুভূতি নিশ্চয়ই অসাধারণ ছিল। তবে "চাঁদের গাড়ি" নিয়ে একটু কৌতূহল রয়ে গেল এটা কি বিশেষ কোনো অফ-রোড গাড়ি? বান্দরবানের পাহাড় আর নদীর মিলন যে কতটা মনোমুগ্ধকর, তা আপনার ফটোগ্রাফি থেকেই বোঝা যায়। নিঃসন্দেহে, এটি আপনাদের জন্য স্মরণীয় একটি ভ্রমণ ছিল। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো লাগে ভ্রমণ মূলক পোস্ট গুলো দেখতে। কারণ এমন কিছু জায়গা আছে কখনো দেখা হয়নি। কিন্তু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এবং বিস্তারিত বর্ণনা সহকারে শেয়ার করার কারণে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়ে থাকে। আপনার আজকের ব্লগ পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক কিছু দেখতে পেরেছি প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর।