কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২২ শে ফেব্রুয়ারি, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমরা সবাই আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আমার কাছে মনে হয় প্রকৃতি আমাদের জীবন প্রকৃতি আছে বলেই আমরা জীবিত আছি। আর এই প্রকৃতিকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার দায়িত্বটাও আমাদের। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়কে মুগ্ধ করে। প্রকৃতির সাথে সুন্দর সময় কাটাতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমি গ্রামে গেলে সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেই ঘুরে বেড়ায় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে রাখি। ব্যক্তিগতভাবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ পছন্দ করি আর ফটোগ্রাফির ভেতরেই আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।
প্রথম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২২ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে শিমুল ফুলের সৌন্দর্য। ঋতুরাজ বসন্তের সবথেকে বড় সৌন্দর্য হচ্ছে শিমুল ফুলের সৌন্দর্য। বসন্তের সময়ে রক্তমাখা শিমুল ফুলে ছেয়ে থাকে আকাশ। গতকালকে আমি বাড়িতে এসেছিলাম আজকে বাইকে করে এক জায়গায় দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই শিমুল ফুলের সৌন্দর্য চোখে পড়লো আর আমার ফোনের ক্যামেরায় ক্যাপচার করে রাখলাম। শিমুল ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১২ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে নদীর সৌন্দর্য। আমি এর আগে অনেক বার বিভিন্ন পোস্টে শেয়ার করেছি নদীর সৌন্দর্য আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যখনই ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি কিংবা বাড়ি থেকে ঢাকাতে যায় পদ্মা নদীর মাঝির মাঝে এই সৌন্দর্যটা আমাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। মাঝে মাঝে মন ভালো থাকুক কিংবা মন খারাপ থাকুক নদীর সাথে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। এমনটা মনে হয় নদী হৃদয়ের কথা সব কিছু শুনতে পায়।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ শে ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আবার তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে রয়েছে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য। শীতকালীন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল সরিষা ফুলের সৌন্দর্য। একমাত্র গ্রামে আসলে সরিষা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। গত বছরে ডিসেম্বর মাসের দিকে যখন গ্রামে এসেছিলাম তখন সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখার জন্য মাঠে ঘুরতে যেতাম। সরিষা ফুলের সুন্দর ঘ্রাণে মনটা ভরে যেত।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১ লা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে পুকুরে ভাসমান হাঁসের দৃশ্য। এ ফটোগ্রাফি গত বছরে সুনামগঞ্জে পিসিমণির বাসায় গিয়ে করেছিলাম। মাছ চাষ করা পুকুরের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম হঠাৎ করেই ভাসমান হাস চোখে পড়ল তারপরেই দৃশ্যটি ক্যাপচার করেছিলাম। এ ধরনের ফটোগ্রাফিগুলো করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। মাঝেমধ্যে ফটোগ্রাফি করা আর কোন পরিকল্পনা বা উদ্দেশ্য থাকে না হঠাৎ করে কোন দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠতে সেটা ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার চেষ্টা করি।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৫ ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: কুষ্টিয়া
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে রয়েছে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ভ্যান গাড়ি। যাদের বাড়ি গ্রামে তারা অবশ্য ভ্যান গাড়ি সবাই চিনেন। গ্রামে বাজার ঘাটে যাতায়াতের প্রধান যানবাহন হয় ভ্যান গাড়ি। আগেকার দিনে দেখতাম পায়ে প্যাটেল মারা ভ্যান গাড়ি কিন্তু এখনকার ভ্যান গাড়ি গুলো ব্যাটারি চালিত। বাড়িতে এসে বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে কোন এক কাজে যাচ্ছিলাম হঠাৎ করে এই ভ্যান গাড়ি চোখে পড়ে তারপরে দৃশ্যটি ক্যামেরায় বন্দি করে রেখেছিলাম।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ৯ ই জানুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে রয়েছে গ্রামীণ সূর্য উদয় দৃশ্য। সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রামে সূর্য উদয় দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি যখনই এই গ্রামে আসি তখনই চেষ্টা করি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। শহুরে জীবন আমার কাছে বন্দী লাগে কিন্তু গ্রামে আসলে মনে হয় যেন মুক্ত পাখি হয়ে গেছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য গ্রাম সবার থেকে সেরা।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


প্রতিটি ফটোগ্রাফই অনন্য, যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব ক্যানভাস। সরিষা ফুলের হলুদ খেত, পুকুরে ভেসে বেড়ানো হাঁস, নদীর নির্মল সৌন্দর্য আর শিমুল ফুলের লাল আভা সব মিলিয়ে এক স্বপ্নময় মুহূর্তের বন্দি করা চিত্র। শুধু ফটোগ্রাফিই নয়, বর্ণনাগুলোও যেন সেই দৃশ্যকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
কোন ফটোটা রেখে কোন ফটোটার প্রশংসা করবো নিজেই তো কনফিউজ হয়ে গেলাম। একেবারে চোখ ধাঁধানো ফটোগ্রাফি করেছেন প্রত্যেকটি। সরিষা ফুল,পুকুরে ভাসমান হাস, নদীর সৌন্দর্য সহ শিমুল ফুলের ফটোগ্রাফি সহ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা একেবারে চোখ ধাঁধানো রয়েছে।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন লেগেছে আমার। আপনি সুন্দর বর্ননা তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয় এর আগেও দেখেছি। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ঋতুরাজ বসন্তের সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি অর্থাৎ শিমুল ফুলের ফটোগ্রাফিটি বিশেষভাবে ভালো লাগলো। পিসিমনির বাসায় গিয়ে সেখান থেকে পুকুর ধারে বেড়াতে গিয়ে পুকুরে ভাসমান হাঁসের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। ফটোগ্রাফিটি খুব সুন্দর হয়েছে। চমৎকার বর্ণনা সহিত ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রত্যেকটি ছবিই অসাধারণ। আসলে প্রত্যেকটা ছবি আমার কাছে এত বেশি ভাল লেগেছে যে আমি আপনাকে মুখের ভাষায় বলে প্রকাশ করতে পারবো না। কোন ছবিটা ছেড়ে কোন ছবিটা দেখব সত্যি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এছাড়া আপনি প্রত্যেকটা ছবি সম্পর্কে দারুন বিবরণ উল্লেখ করেছেন। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে সত্যিকারের প্রকৃতি খুঁজে পাই। এই ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য সহ সব কিছু মিলিয়ে মিলিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেন। যা চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করে আমার। আজকের শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিন দিন আপনার ফটোগ্রাফির হাত কিন্তু প্রচন্ড নিখুঁত হয়ে উঠছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আজ তো প্রতিটা ছবিই অসাধারণ লাগলো কোন একটা কে যে বিশেষভাবে ভালো বলবো তার উপায় নেই ।
আপনি আজকে চমৎকার কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সরিষা ফুল এবং সূর্যোদয়ের ফটোগ্ৰাফিটি। এছাড়াও বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।