বান্দরবান ভ্রমণ- নীলাচলের উদ্দেশ্য।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ- নীলাচলের উদ্দেশ্যে।
আমরা রূপসী ঝরনা ভ্রমণ শেষ করে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। রূপসী ঝরনা থেকে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের দূরত্ব খুব একটা বেশি না কয়েক কিলোমিটার মতো। যেহেতু বান্দরবান আমার প্রথম ভ্রমন ছিল তাই আমি প্রত্যেকটা ভ্রমণ কেন্দ্র নিয়েই অনেক বেশি উৎসাহিত ছিলাম। কারণ সেসব ভ্রমণ কেন্দ্র সম্পর্কে আমার জ্ঞান ছিল একদম শূন্য। আমি যেখানেই যাচ্ছিলাম ভ্রমণ কেন্দ্র গুলো দেখে সারপ্রাইজ হচ্ছিলাম।
যাইহোক আমরা মোটামুটি দুপুর সাড়ে তিনটার পরে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পাহাড়ি রাস্তায় চাঁদের গাড়িতে যেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। পাহাড়ি রাস্তাতে চাঁদের গাড়িতে বসে থাকা অনেক কঠিন ব্যাপার। অবশ্য নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র যেতে খুব একটা বেশি পাহাড়ি পথ অতিক্রম করতে হয় না। আমরা মোটামুটি বিশ মিনিটের ভিতরেই নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছিলাম।
তারপর সেখানে পৌঁছানোর পরে আমরা প্রত্যেকের জন্য একসাথে টিকিট কেটে নিই। এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের টিকিট মূল্য ৫০ টাকা করে। যাইহোক এত বড় একটা পর্যটন কেন্দ্র একা নিয়ে টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা করে আমার কাছে মোটামুটি স্বাভাবিক লেগেছে। আমরা নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের গেটে টিকিট শো আপ করাইয়ে তারপর ভেতরে প্রবেশ করলাম।
আমরা নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে ভীষণ পরিমাণে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমার কাছে বিশেষ করে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল কারণ পাহাড়ের সৌন্দর্যটা দেখায় এটাই আমার প্রথম ছিল। তবে যেহেতু আমরা শীতের সময় গিয়েছিলাম তাই মেঘের দেখা পেয়েছিলাম না। শরৎকালীন সময়ে বা বৃষ্টির মৌসুমের পরে এলে এখানে মেঘ দেখতে পাওয়া যায়। আর সেই সময়টাতে ভ্রমণ করে অনেক বেশি স্যাটিসফাইড হওয়া যায়।
আমরা যখন ভেতরের দিকে আস্তে আস্তে প্রবেশ করছিলাম তখন দেখতে পেলাম আমাদের মত একদল পর্যটক এসে সবাই মিলে গান গাচ্ছে। সত্যি বলতে এ ধরনের সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগে। আমরা সবাই মিলে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে উনাদের গান উপভোগ করলাম। আর সাথে সাথে আমরা নিজেরাও গান গাইলাম।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিষয়টা আমার কাছে সত্যি দারুন লেগেছে। এ ধরনের জায়গায় বসে বসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


হ্যাঁ নীলাচল যেতে খুব একটা পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করতে হয় না তবে রাস্তাটা একদম পুরোপুরি খাড়া টাইপের। সেখানে ৫০ টাকা প্রবেশ ফি জমা দিয়ে মোটামুটি ভালই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় বিশেষ করে উপর থেকে বান্দরবান শহরটা বেশ ভালোভাবে দেখা যায়।
বান্দরবান এমনিতেই খুব সুন্দর জায়গা। তার মধ্যে এই নীলাচল পর্যটক কেন্দ্রটি ভীষণ সুন্দর বলেই মনে হলো। শরতের সময় গেলে এখানে মেঘ দেখা যায় বলছেন। এর জন্য এখানকার শোভা আরো সুন্দর হয়ে ওঠে মনে হয়। সুন্দর এই জায়গাটি ছবি তুলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন বলে আমরা সম্পূর্ণ জায়গাটি সম্বন্ধে জানতে পারলাম।