বাজারে আগুন

in আমার বাংলা ব্লগyesterday
বাজারে আগুন

almonds-21502_1920.jpg

ছবি

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সকলের অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো আছি। তবে গতকাল রমজান উপলক্ষে বাসার কাঁচা বাজার করার জন্য মার্কেটে এসেছিলাম। এরপর থেকেই তো কপালে হাত উঠে গেছে। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এতে করে মনে হয় না যে মধ্যবিত্তরা দু বেলা ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। যেহেতু বর্তমানে রমজান মাস চলছে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে যেসব জিনিসপত্র দরকার সেসব জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী বেড়েছে।

এ যেমন ধরুন প্রত্যেকটা মুসল্লি ইফতারের আয়োজন করেন এবং ইফতারের সাধারণত বুথ বুন্দিয়া আলুর চপ বেগুনি আরও বিভিন্ন ধরনের আইটেম থাকে। এই আইটেমগুলো বানাতে যে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজন হয় প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বুন্দিয়া ১৩০ টাকা হয়ে গেছে, ভাবা যায়।এছাড়াও গতকাল থেকে মাত্রা অতিরিক্ত গরম পড়েছে উত্তরাঞ্চলে। এমতাবস্থায় সারাদিন রোজা রেখে সবাই চায় একটু ঠান্ডা শরবত খেতে। এই ঠান্ডা শরবতের জন্য লেবু প্রয়োজন। সেই লেবুর দামও আকাশচুম্বি হয়েছে চারটা লেবুর দাম ৪০ টাকার উপরে। এই লেবুর দাম গত মাসেও ছিল অনেকটাই হাতের নাগালে। হুট করে কি হলো বুঝতে পারলাম না দাম এক ধাক্কায় চার থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।

fruit-932745_1920.jpg

ছবি

মুরগি কিংবা মাংস হিসাব বাদ দিয়ে দিলাম। সেগুলোর দাম আগে থেকেই অনেকটাই বেশি। ঈদ উপলক্ষে এর দাম আরো কিছু টাকা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারেরা সাধারণত শাকসবজি খেয়েই বেঁচে আছে। কিন্তু সেখানে গিয়েও আমাদের স্বস্তি নেই। বরঞ্চ সেখানকারও বাজারের অবস্থা সেইম। সবকিছু দামের মধ্যেই ১০ থেকে ১৫ টাকা হারে কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে অন্যান্য দেশের রমজান মাস আসলেই নৃত্য প্রয়োজনের দাম হাতের নাগালে করে নিয়ে আসা হয় ঠিক তেমনি আমাদের বাংলাদেশের এর উল্টোটা হয়। এসব প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পায় এবং এসব দেখাশুনা করার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারাও এসব কিছুতে কিছুই করতে পারে না। শুধুমাত্র ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষদের।

রীতিমতো গতকাল বাজার করতে এসে মাথায় হাত পড়েছে। এত টাকা দিয়ে বাজার করার পরও মনে হচ্ছে অল্প কিছু বাজার করেছি। সত্যিই এসব কিছুই দেখার মত আসলেই কেউ নেই। আপনাদের অঞ্চলের কি অবস্থা তা অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। এ সময়টাতে সবারই একটু সংবেদনশীল হওয়া উচিত। প্রত্যেকটা ব্যবসায়ীরা লাভ করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মাত্রা অতিরিক্ত লাভ করতে অপর মানুষকে ঠকিয়ে এটা কিন্তু কোনভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রমজান মাসের মূল তাৎপর্য এখানেই নষ্ট হয়ে যায়। আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনার সাথে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

PUSS_gif.gif


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

photo_2021-06-28_11-13-39.jpg

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



বিষয়: বাজারে আগুন

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......

Sort:  
 23 hours ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বাজারে আগুন!! কিছু কিছু নিত্যপন্যের দাম কয়েক গুন বেড়ে গেছে রোজা উপলক্ষ্যে। গতকাল ঢাকায় লেবুর দাম ছিল ৪ টা ৫০/৬০ টাকা। শসার দামও বেশি। তবে রোজা শুরু হলে বেগুন নিয়ে যে হাহাকার উঠত, সেটা এবার ছিলনা। বাজার দর নিয়ে, বাজারে আগুন শিরোনামে লেখাটি বেশ ভালো হয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 22 hours ago 

রমজানের সময় সর্বত্রই মূল্য বৃদ্ধি হয়৷ আমাদের এদিকে সব থেকে বেশি দাম বাড়ে ফলের৷ কারণ ইফতারের সময় অনেকেই ফল খায়। এছাড়াও সরবতের আইটেমেরও বিশাল দাম। ছোলা, গুড়। কিসের যে দাম কম আমি জানি না। মনে হয় ঘাসেরও দাম বেশি যদি কিনতে পাওয়া যেত৷

 21 hours ago 

সপ্তাহ খানেক আগেও এক হালি লেবু কিনেছিলাম ১৫/২০ টাকা দিয়ে। আর সেই লেবু এখন ৭০/৮০ টাকা হালি বিক্রি করছে। তাছাড়া সবজির বাজারে তো আগুন। লম্বা বেগুন ৮০ টাকা কেজি। অনেকে চাইলেও বাসায় বেগুনি তৈরি করে খেতে পারবে না। যাইহোক প্রতি বছর রমজান মাসে আমাদের দেশে এমন কাহিনী ঘটে থাকে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 20 hours ago 

রমজান কে ঘিরে অসাধু ব্যবসায়ীরা শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কিছুদিন আগেও আঙ্গুর ছিল ২৮০/৩০০ আর এখন ৩৫০/৪০০ টাকা চাই। বাজারের কি যে একটা অবস্থা। ধন্যবাদ।

 19 hours ago 

বাজার দোকানের যা দাম তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। তার মধ্যে সমস্ত দিক থেকে মানুষের আয়ও কমে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে মানুষ সে কি করে করে খাবে সেটা ভাবলেই যেন ভয় করে। অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আটকে গেছি। বাঁচবার জন্য কত লড়াই না করতে হচ্ছে সকলকে।

 16 hours ago 

বাজারের এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য চরম দুঃসহ হয়ে উঠেছে। রমজান মানে সংযম, অথচ একশ্রেণির ব্যবসায়ীর লোভের কারণে সাধারণ মানুষ ইফতার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। লেবু, ছোলা, ফল, এমনকি সবজির দামও আকাশচুম্বী! সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। ধন্যবাদ ভাই,গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।

 16 hours ago 

ভাইয়া আপনার বক্তব্য পুরোপুরি সঠিক। রমজান মাস আসলেই মানুষের জন্য একটি রহমতের মাস হওয়া উচিত, কিন্তু এই সময়ে বাজারের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তা চাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টকর। এসব সমস্যার বিরুদ্ধে সরকার ও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত ব্যবস্থা নেওয়া, যেন মানুষের জীবনযাত্রা কিছুটা সহজ হয়। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভের জন্য সাধারণ মানুষকে ঠকানো ঠিক নয়।

 16 hours ago 

আসলে বাঙালিরা এই রোজার সময় তাদের দ্রব্যমূল্যের দাম সবথেকে বেশি বাড়িয়ে দেয়। একটা জিনিস আপনি সবসময় খেয়াল করে দেখবেন যে অন্যান্য সময়ে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম স্বাভাবিক থাকলেও এই সময়টাতে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এত বৃদ্ধি করে দেয় যাতে করে সাধারণ মানুষের জন্য এগুলো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।