হঠাৎ একদিন যমুনা ফিউচার পার্কে
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। গত কয়েকদিন আগে ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। মূলত সেখানে আমার ছোট ভাই থাকে এবং তার সাথেই মূলত দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার বাসা যমুনা ফিউচার পার্কের একদম পাশেই তাই চিন্তা করলাম ওকে নিয়ে একটু যমুনা ফিউচার পার্কটা ঘুরে দেখি।
বাসা থেকে সকাল বেলায় গিয়েছিলাম আমারও ব্যক্তিগত কিছু কাজ ছিল। সেই কাজগুলো শেষ করে শিপুর ওখানে পৌঁছাতেই দুপুর গড়িয়ে গেল। শিপুর বাসায় গিয়ে তার বন্ধুদের সাথে পরিচিত হলাম যাদের সাথে সে থাকে। মূলত আমি চাইছিলাম শিপু এবং আমি একসাথেই থাকবো তারপরও দেখি পরবর্তীতে কি করা যায়। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার পরে শিপুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম যমুনা ফিউচার পার্কের উদ্দেশ্যে।
আমি অনেকদিন যাবৎ যমুনা ফিউচার পার্কে যাইনি তাই শিপু নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সেখানে যেতেই প্রায় 20 মিনিট সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। এদিকে আবার যমুনা পার্কের পিছনে নতুন একটা গেট করেছে। সেই গেট দিয়েই আমরা সেই যমুনা ফিউচার পার্কে এন্ট্রি নিলাম।যমুনা ফিউচার পার্ক অনেক বড় একটি মার্কেটে এবং আমাদের বসুন্ধরা সিটির তুলনায়ও বেশ বড়সড়। তাই এখানে কোথায় কোন দোকান রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করাও অনেকটা কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে ওঠে। আমার যে আগের কিবোর্ড এবং মাউস ছিল সেটা কাজ করছিল না। তাই চিন্তাভাবনা করছিলাম এখান থেকে নতুন একটি মাউস এবং কিবোর্ড নিয়ে নেব। সেই উদ্দেশ্যেই দোকান খুঁজতে শুরু করলাম। কিন্তু দোকান খুঁজতেই আরো দশ মিনিটের মত সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। এত বড় মার্কেট কোথায় কি রয়েছে এটা বুঝে উঠতেই অনেক সময় চলে যায়।
পরবর্তীতে কম্পিউটারের দোকানের লোকেশন মোবাইলে বের করে সেই দোকানে চলে যাই। বিভিন্ন ধরনের মাউস এবং কিবোর্ড দেখতে থাকি। যদিও আমার কাছে একটু ব্যতিক্রম ধর্মী মাউস এবং কিবোর্ড বেশি ভালো লাগে। তাই সে ধরনের কিছু মাউস এবং কিবোর্ড খুজতে শুরু করলাম। একপর্যায়ে সাদা একটি মাউস এবং কিবোর্ড আমার অনেক পছন্দ হলো। তাই দেরি না করে সেই মাউস এবং কিবোর্ডটি নিয়ে নেই। আমি আবার ভাবলাম যে আমি শুধুমাত্র আমিই নিবো? তাই চিন্তা করলাম আমার ছোট ভাইয়ের জন্য একটি কম্ব প্যাক কিনে দেবো। যেখানে মাউস, কিবোর্ড এবং গেমিং হেডফোন এবং মাউসপ্যাড থাকবে তাই শুধু পছন্দমত আরো একটি সেট নিয়ে নিলাম।
শপিং করে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে কিভাবে বের হব সেই রাস্তায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্য। পরবর্তীতে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে বের হয়ে শিপুকে তার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি আমার গন্তব্যে চলে আসি। যদিও বিষয়টা কয়েকদিন আগের তারপরও আপনাদের সাথে এ বিষয়টি শেয়ার করে নিলাম। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ। সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: হঠাৎ একদিন যমুনা ফিউচার পার্কে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
যমুনা ফিউচার পার্কের মোটামুটি কাছাকাছি থাকলেও কখনো যাওয়া হয় নাই ভিতরে কোন দিন। শুনেছি দাম নাকি বেশ বেশি জিনিসপত্রের ওখানে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে।
একদিন ঘুরে আসবেন, ভালো লাগবে।
তাহলে তো মনে হয় বের হওয়ার সময় বেশ ভালোই ঘুরপাক খেয়েছিলেন। যমুনা ফিউচার পার্ক আসলেই অনেক বড়। লাস্ট মনে হয় বছর দুয়েক আগে গিয়েছিলাম। যাইহোক সেখান থেকে আপনার জন্য এবং আপনার ভাইয়ের জন্য কম্পিউটার এক্সেসরিজ কিনেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা, কেশ ভালো সময় কিটিয়েছিলাম, ধন্যবাদ।
বাসার পাশে এসে ঘুরে গেলেন আমাকে বললে তো পারতেন। তাহলে তো যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে এত ঘোরাঘুরি করতে হতো না। শুরুতে আমরা যখন যেতাম তখন আমাদের এরকম অবস্থা হতো। এখন মাসে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয় তার জন্য মোটামুটি সব কিছু চেনা হয়ে গিয়েছে। আর যে গেটটির কথা বললেন এই গেটটি নতুন হয়নি। বসুন্ধরা এবং যমুনা গ্রুপ মারামারি করে গেটটি বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশের পরিস্থিতি খারাপ যখন ছিল তখন ছাত্ররা ভেঙ্গে দিয়েছিলো। আমাদের জন্য অবশ্য সুবিধাই হয়েছে এই গেট খোলার কারণে। এর পরেরবার আসলে অবশ্যই আমাকে নক দিয়ে আসবেন।
কোন দিন তো দাওয়াত দেন না, বড়জোর একটা মুরগী খাবো! যাই হোক গেটের বিষয়টা জানতাম না।
শুধু মুরগি আমি খাওয়াই না। তাই দাওয়াত দেই না। বেশি কিছু খেলে দিতাম।
যমুনা ফিউচার পার্ক গিয়ে আপনার ভাই আর আপনার জন্য কম্পিউটার এক্সেসরিজের কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো।আর শপিং মল টি বেশ বড় ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ ভাইয়া।