মানসিক টেনশন কি এবং এর থেকে মুক্তির উপায়
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে মানসিক টেনশন নিয়ে কথা বলবো। মানসিক টেনশন এমন একটি বিষয় যেটি মানুষকে ধীরে ধীরে একদম নিঃশেষ করে দেয় এবং ফলশ্রুতিতে তার নিজের জীবন ধ্বংস হয়ে যায় এবং তার সাথে তার পরিবারের জীবনের অবস্থাও অনেকটা খারাপ পর্যায়ে চলে যায়। তাই আমি আজ এই বিষয়গুলো নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কিছু কথা শেয়ার করার চেষ্টা করব।
মানসিক টেনশন বা চাপ হলো, মনের ওপর এক ধরনের অতিরিক্ত চাপ বা ভার, যেটা বিভিন্ন কারণে তৈরি হতে পারে। যেমন: পড়াশোনা, কাজ, অর্থনৈতিক সমস্যা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব, সম্পর্কের জটিলতা, বোঝাপরার সমস্যা ইত্যাদি। এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও সেই জায়গা থেকে কখনোই সহজে বের হয়ে আসতে পারি না। এর জন্য প্রয়োজন কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা এবং কিছু মোটিভেশন।
প্রথমত আমার কাছে যেটা মনে হয়, আগের নিজের কাছেই নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। আমি যে টেনশনটা করছি সেটা কি আমার নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা? যদি উত্তর না হয় সেক্ষেত্রে আমি মনে করি সেই বিষয় নিয়ে এক্সট্রা কোন চিন্তাভাবনা করার দরকার নেই। কারণ যেখানে আপনার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই সেই বিষয়গুলো নিয়ে মাত্রা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে নিজের শারীরিক অবস্থা কিংবা মানসিক অবস্থার অবনতি করার কোন মানেই হয় না। তবে বিষয়টা যেভাবে বললাম এভাবে করে অ্যাপ্লাই করাটা খুবই কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। তবুও চেস্টা চালাতে হবে।
যখন কোন ব্যক্তি মানসিক টেনশন এ থাকে কিংবা মানসিক কোনো চাপে থাকে তখন দেখা যায় সেই ব্যক্তি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমায় না কিংবা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে না এমত অবস্থায় যে কারো শরীর খারাপ হয়ে যাওয়াটা অনেকটাই স্বাভাবিক বিষয় হয়ে যায়। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে আপনার টেনশন এবং চিন্তাভাবনা আরো দ্রুত বাড়তেই থাকবে। যেখান থেকে আপনি কখনোই শান্তিতে থাকতে পারবেন না। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই জরুরী একটি বিষয়।
বিভিন্ন ধরনের টেনশন কিংবা বিভিন্ন ধরনের চাপ থেকে বেরিয়ে আসার একটি অন্যতম বিষয় হচ্ছে মোটিভেশন। নিজেকে সবসময় মোটিভেটেড রাখার চেষ্টা করুন। বিভিন্ন ধরনের যোগ ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি মানসিক শান্তি লাভ করতে পারবেন এবং আপনার মন শান্ত হয়ে যাবে। এসব বিষয়গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে মেনে চলি তাহলে হয়তো মানসিক টেনশন থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেতে পারি।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন কাজগুলো সঠিকভাবে করার চেষ্টা করুন। ব্যায়াম করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন, আপনার যদি কোন কাছের মানুষ থাকে তাহলে তার সাথে মন খুলে সব কথা শেয়ার করুন। দেখবেন মনটা অনেক হালকা হয়ে যাবে। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: মানসিক টেনশন কি এবং এর থেকে মুক্তির উপায়
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আসলে আমরা বড্ড বেশি আশা করে ফেলি। আর তাই কারণে অকারণে অহেতুক হাইপার টেনশন করি। খুব সত্য কথা তা হল সব কিছু আমাদের হাতে থাকবে না। তাই সব কিছু নিয়ে ভাবার দরকারই নেই। আমার তো মনে হয় নানান কাজে ব্যস্ত থাকলেই এই সমস্যাগুলো গিলে খাবে না। কারণ মনটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিলেই কোন একটা বিষয় কুরে কুরে খাবে না। ভাল লিখেছ।
টেনশন জিনিসটা খুব খারাপ। আর না চাইলেও টেনশন অটোমেটিক চলে আসে। তবে প্রতিটি মানুষের উচিত টেনশন দূর করার চেষ্টা করা। কারণ টেনশন কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। বরং সবদিক দিয়েই আমাদের ক্ষতি করে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মানসিক টেনশন মোকাবিলা করতে পোস্টটি খুবই সহায়ক। নিজের নিয়ন্ত্রণে না থাকা বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা না করা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার গুরুত্বটি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন ভাই। লেখাটি আমাদের জীবনে মানসিক শান্তি আনতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ ভাই, শেয়ার করার জন্য।