হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি সুস্থ আছি। আজ আমি আমার চাকরি জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আপনার অনেকেই চাকরি করেন। হয়তো সেই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথেও মিলে যেতে পারে। তবে কোন কোন বিষয়গুলো মিলে যায় সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন, তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
আমি যখন প্রথম ঢাকায় আসি তখন আমার চিন্তাধারা ছিল আমি আমার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য যতটুকু সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাব। তাই তো আমার কলেজে ভর্তি হওয়ার ৬ মাসের মধ্যেই আমি একটি পার্ট টাইম চাকরি ব্যবস্থা করে নিয়েছিলাম। ঠিক তেমনিভাবে সেই তখন থেকে কিন্তু জীবন যুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি। তবে আমার ফ্যামিলির এতটুকু সামর্থ্য ছিল যে আপনার আমাকে ভালো জায়গায় থেকে পড়াশোনা করাতে পারে। তবে আমি নিজের থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য অপ্রান চেষ্টা করে গিয়েছি। এই সবকিছুর মাঝে আমার মা বাবা আমাকে অনেক বেশি সাহস এবং উদ্দীপনা জাগিয়েছে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য।
আমি এটা ভালোভাবেই জানি এবং বুঝি যে কোন কাজ শুরু করতে হলে একদম নিচের পর্যায়ে থেকে শুরু করতে হয়। অর্থাৎ ছোট ছোট পদক্ষেপ গ্রহণ করেই বড় হতে হয় এবং এই বিষয়গুলো আমি আমার পরিবারের কাছ থেকেই শিখেছি। তাই তো প্রথম যখন আমি চাকরি নিয়েছিলাম সেটা অনেক লোয়ার ক্লাসের ছিল, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা মনে করি কোন কাজেই ছোট নয়।
সেই ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি তে পার্ট টাইম চাকরি করেছি এবং পাশাপাশি আমার কলেজের পড়াশোনা কন্টিনিউ করেছি। আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে আমার বন্ধু-বান্ধবেরা ক্লাস শেষ করে যখন আড্ডা দিতে বের হতো আমি তখন ছুটে যেতাম আমার অফিসের উদ্দেশ্যে। কারণ অফিসে একটু লেট হলেই অনেক কথা শুনতে হতো।
যাইহোক আমি আমার চাকরি জীবনে অল্প অল্প করে নিজের স্কিল গুলো ডেভেলপমেন্ট করার চেষ্টা করেছি। যখন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি চাকরি করতাম সেখানে কিন্তু ভার্সিটির সব সময় ক্লাস হতো এবং আমিও মাঝেমধ্যে সেসব ক্লাসগুলোতে ঠিক পিছনে বসে সেই ক্লাসগুলো করার চেষ্টা করতাম। এতে করে কম্পিউটারের প্রতি একটু আকর্ষণ বেড়ে যায় এবং কম্পিউটারের অনেকগুলো বিষয়ে তখন আমি সেখানে ফ্রিতেই শিখার চেষ্টা করেছিলাম।
যদিও আমি ক্লাসে কোন রকমের ডিস্টার্ব করতাম না। ক্লাসে যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়েও আমি বারবার নজর রাখতাম। কিন্তু তারপরও এই বিষয়গুলো নিয়ে বারবার আমার বিরুদ্ধে অনেক কমপ্লেইন চলে গেছে। তবে আমাদের স্যারগুলো একটু ভালো ছিল বিধায় পরবর্তীতে কোন সমস্যা হয় নি। কারণ আমি তো শুধুমাত্র শেখার জন্যই সেখানে বসে ছিলাম।
আসলে কিছু কিছু মানুষরা সেই বিষয়গুলো ভালো চোখে দেখে না। যে মানুষগুলোর থেকে আপনি খুব দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি কিছু বছর চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলাম। আমার পরবর্তী পড়াশুনোর জন্য, ডুয়েট এডমিশনের জন্য। পরবর্তীতে যখন অন্য জায়গায় আমি পড়াশোনার জন্য ভর্তি হলাম এর পাশাপাশি ফকির গ্রুপেও চাকরি নিয়েছিলাম এবং সেখানে এক বছরের মত চাকরি করেছিলাম। ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেলের সেটাই ছিল আমার জন্য প্রথম চাকরি এবং সেই জায়গায় যে কত ধরনের রাজনীতি চলে সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি জীবনের সব ধরনের পরিস্থিতিতে আপনার অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা খুব বেশি জরুরী। তা না হলে হয়তো পরবর্তী জীবনে অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা অনেক কিছুই মিস করে যাব এবং অনেক সুযোগ গুলো হাতের কাছে পেয়েও সেগুলো আমরা বুঝতেই পারবো না, যে সেগুলো আমাদের জন্য সুযোগ ছিল। তাই যেখানেই কাজ করি না কেন আমি সব সময় নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছি। এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে তেলবাজি খুব বেশি একটা পছন্দ করি না বিধায় সবাই আমার জন্য বেশি একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেয়, যেমনটা যদি অফিস টাইম আমার ৮ ঘণ্টা হয় আমাকে এমন কিছু কাজ দেওয়া হতো এই কাজগুলো শেষ করতে আমার দশ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। অপরদিকে যে একটু বেশি চামচামি করে তাদের জন্য আবার অনেক সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয়। এই বিষয়গুলো আমি মনে করি প্রতিটা অফিস সেক্টরে রয়েছে।
আরো অনেক ভিতরের কিছু কথা রয়েছে সেগুলো আজকে আর শেয়ার করছি না। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আজকে ব্যক্তিগত অনেক কাজগুলো ছিল তাই তো আজকে পোস্ট লিখতে এত বেশি দেরি হয়ে গেল। যাই হোক আমাদের উত্তরাঞ্চলে এতটাই শীত পড়েছে এখন হয়তো আশেপাশের রাস্তার মধ্যে কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, এতটাই বেশি ঠান্ডা পড়েছে। যাই হোক খুব দ্রুত শুয়ে পড়বো। আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: হ য ব র ল জীবনের গল্প | আমার চাকরির জীবনের অভিজ্ঞতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
তুমি যেভাবে পড়াশোনা করার মাঝখানে নিজে পার্ট টাইম চাকরি করে হাত খরচা তুলেছ তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরাই এমন পরিশ্রম করে উঠতে পারে না। কিন্তু তুমি সব সময় নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছ দেখে ভালো লাগছে। চাকরি এবং পড়াশোনা একসঙ্গে করে ওঠা ভীষণ কঠিন একটি বিষয়। কিন্তু তোমার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। কারণ তুমি সব কিছু নিজের হাতে ম্যানেজ করেছ।
সেটা তো এখনও করে যাচ্ছি, দোয়া করবেন।
আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের বেশিরভাগ ছেলেরাই জীবনে স্ট্রাগল করে বড় হয়। তবে এটা ঠিক, কোনো কাজ-ই ছোট নয়। প্রয়োজনে মানুষকে সব ধরনের কাজ করতে হয়। যাইহোক আপনি আসলেই বেশ পরিশ্রমী। সেজন্যই এই পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। আশা করি আপনার বাকি জীবনটা আরও সুন্দর হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
দোয়া করবেন ভাই।
অবশ্যই দোয়া রইলো ভাই। আপনি একদিন সফলতার চূড়ায় পৌঁছে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
ঠিক বলেছেন ভাই মানুষের জীবনে সবচাইতে দামি জিনিস হলো অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে এটা অনেক কাজে আসে। আপনার জীবনের একটা সময় আপনি বেশ স্ট্রাগেল করে গিয়েছেন। সেজন্যই অনেক মানুষ অনেক পরিস্থিতি থেকে শিখতে পেরেছেন। দারুণ লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।