নৌকা নিয়ে মাছ ধরার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আসসালামুআলাইকুম/আদাব

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @alif111, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আমাদের প্রত্যেকের এ জীবনে অনেক স্মৃতিময় গল্প রয়েছে। তবে আমরা কম বেশি সকলেই মাছ ধরার মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ছোটবেলা আমি মাছ ধরতে খুবই ভালবাসতাম। আর মাছ ধরতে কেউ যদি নদী থেকে বা বিলে যেত, তাহলে আমি তার সাথে মাছ ধরার জন্য যেতাম। তাই মামার সাথে নৌকা নিয়ে আমি মাছ ধরতে গিয়েছিলাম আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামে একটি নদীতে। সেই নদীর নাম ছিল ফুলজোর নদী। আর এই নদীতে মাছ ধরার মুহূর্তটা সবচেয়ে বেশি আনন্দের ছিল। তাই আপনাদের মাঝে আজকে নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরার স্মৃতির পাতা থেকে একটি গল্প শেয়ার করছি। আশা করছি গল্পটি পড়ে ভালো লাগবে।


sea-3681434_1280.jpg


স্কুল ছুটি হলেই আমি আমার মামার বাড়িতে আসতাম। কারণ মামা বাড়িতে আমার সমবয়সী দুজন মামাতো ভাইরা ছিল। তাদের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে অনেক বেশি ভালো লাগতো। যার কারণে ছুটি পেলে আমি মামার বাড়িতে আসলাম। তো তখন দেখতে পেলাম মামারা একটি নতুন নৌকা কিনেছে আর এই নৌকায় মামা এবং তার চাচাতো ভাই মিলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায় নদীতে। মাছ ধরার এই মুহূর্তটা এলাকার মধ্যে যেন আনন্দময় এর সাথে সবাই উপভোগ করে। যার কারণে মামা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য যাচ্ছিল। আমিও যেতে চাইলাম কিন্তু মামা নিয়ে যেতে চাইলো না। তবে দেখতে পেলাম আমার মামাতো ভাইও যাওয়ার জন্য বায়না শুরু করেছে। যার কারণে আমাকে ওর সাথে নিয়ে চলে গেল। মামাতো ভাই আমি আর মামা এবং মামার চাচাতো ভাইরা মিলে পাঁচজন আমরা নৌকা নিয়ে নদীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম মাছ ধরার জন্য।


মামার সাথে আমরা সকলে মিলে নৌকায় করে মাছ ধরতে যাচ্ছিলাম। নৌকা ভ্রমণের মজাটাই অন্যরকম ছিল। তারপরে মাছ ধরতে যাব মনের ভিতর যেন অনেক আনন্দ কাজ করতেছিল। মামারা দেখতে পেলাম মাছ ধরার জন্য অনেকগুলো বড়শি নিয়েছে এবং সাথে কিছু জাল রয়েছে মাছ ধরার জন্য।তারপরে তারা এই মাছ ধরছে জন্য মৌমাছি ডিম নিয়েছে। আসলে মৌমাছি ডিম রয়েছে এই ডিম দিয়ে বড়শিতে বেশি ধরে।তাই অনেক বেশি মাছ পাওয়া যায় সেজন্য তারা এই ডিম সংগ্রহ করেছে। আর তাদের সাথে মাছ ধরতে যাব, কত বড় বড় মাছ ধরবো এটা ভাবতে ভাবতে জানো ভালো লাগতেছিলো।


মামা তার চাচাতো ভাইদের সাথে গল্প করতে ছিল। আসলে ওই চাচাতো ভাই গুলো আমার মামা হয়। তারা গল্প করতে ছিল যে গত দুইদিন আগে আমরা অনেক বড় বড় মাছ পেয়েছিলাম। আজকেও যদি মাছ পায় তাহলে অনেক বেশি ভালো লাগবে। আর আমার মামাতো ভাই বলল যে হ্যাঁ কিছুদিন আগেও আমরা মাছ ধরতে এসেছিলাম। অনেক বড় বড় মাছ ধরেছি বড়শি দিয়ে। যখন মাছ ধরা হয় তখন সেই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগে। তাদের কথা শুনে আমার মনের ভিতর অনেক আনন্দ হচ্ছিল। যে আজকেও আমি বড়শি দিয়ে মাছ ধরবো। আর মামাকে বললাম মাছ যখন ধরে, তখন এই সুতা কিন্তু আমি টেনে উঠাবো।


তারপরে আমরা নৌকা নিয়ে সেই ফুলজোড় নদীতে আসলাম। নদীতে এসে দেখতে পেলাম সকলে মাছ ধরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মামা আমাদের নৌকাটি নিয়ে ফুলজোড় নদির ব্রিজ নিচে আসলো।তারপরে মামারা ব্রিজের নিচে নৌকাটি বেঁধে রাখল এবং মাছ ধরার জন্য ব্রজের সাথে নৌকা বেঁধে রাখলো। আসলে ব্রিজের নিজ থেকে মাছ ধরলে বড়শিতে অনেক বেশি মাছ পাওয়া যায়। যার কারণ নদীর মাঝখানে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা জন্য মামারা মৌমাছির ডিম দিয়ে বড়শি নদীর পেরে রাখলো।তো বন্ধুরা পরবর্তীতে আমরা নদী থেকে কিভাবে মাছ ধরেছিলাম আর কত মাছ ধরে ছিলাম, সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।

banner-abbVD-1.png

আমার পরিচয়

IMG-20240117-WA0007.jpg
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼

সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল এবং আমার পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।🌹🌻

Sort:  
 3 months ago 

GridArt_20241120_163151073.jpg

 3 months ago 

নৌকা নিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত গুলো সত্যিই অসাধারণ। আপনি আপনার মামাদের সাথে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আশা করছি স্মৃতির পাতায় এই গল্পটি অনেক আকর্ষণীয় হবে। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 3 months ago 

নৌকা নিয়ে মাছ ধরার মুহূর্ত আমার জীবনে অনেক রয়েছে। আপনারও আজকের গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। মামার সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দেখা যাক আপনারা কি রকম মাছ বড়শিতে ধরতে পারেন। সেই পর্বে অপেক্ষায় রইলাম।