সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটানোর আরেক যোদ্ধার নাম বাবা
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
এই পৃথিবীতে আমাদের জীবনের সবচাইতে দুজন বিশ্বাস মানুষ রয়েছে, যে মানুষগুলো নিঃস্বার্থভাবে আমাদের ভালবেসে যায়।আমাদের সুখের কথা চিন্তা করে। আর এই দুজন ব্যক্তি হল বাবা-মা। বিশেষ করে বাবারা হাজারো কষ্ট সহ্য করে সন্তানের মুখে হাসি ফোটায়, নিজের সুখ দুঃখকে বিসর্জন দিয়ে সন্তানকে কিভাবে সুখে রাখা যায় সেই লক্ষ্যে যেন কাজ করে যায় সারাটি জীবন। আসলে বাবাদের কখনো কষ্ট এবং সুখ থাকে না, বাবারা কখনো বিলাসিতা এবং নিজের সুখকে দেখে না। বাবারা সবসময় দেখে তার সন্তান কিভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে কিভাবে সন্তান সুখে থাকবে, এই চিন্তা ভাবনায় নিয়েই যেন হাজারো কষ্ট সহ্য করে যায়। বুকের ভিতর হাজারো কষ্ট রেখেও মুখে যেন সুন্দর হাসি ফুটে ওঠে তাদের। আসলে বাবার এক যোদ্ধা আর এই যোদ্ধারা কখনোই হার মানে না। জীবনে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত বাবারা যুদ্ধ করে যায় তারা সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।
বাবারা এমন যোদ্ধা যে যোদ্ধা নিজের পেটে পাথর বেঁধে হলেও সন্তানের মুখে খাবারের জন্য কর্মব্যস্ততায় সারাটা দিন ব্যস্ত রাখে। হাজারো কষ্ট সহ্য করে বাবারা দিন শেষে যে অর্থ উপার্জন করে এই অর্থ দিয়ে নিজের ওষুধ কিংবা নিজের প্রয়োজনীয় কিছু কেনেনা। বাড়ি আসার সময় তার সন্তানের জন্য একটি আপেল নিয়ে আসে সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সন্তান বাসায় গেলেই বলবে বাবা কি নিয়ে এসেছো, এই চিন্তা ভাবনায় যেন বাবা সারাটা দিন না খেয়ে থাকে। সেই অর্থ বাঁচিয়ে সন্তানের জন্য একটি ফল নিয়ে আসে। আর এই সন্তান যখন এই ফলটি হাতে নিয়ে খায়, তখন বাবার মুখে আনন্দে যে হাসি দেয়, এই হাসি আর কেউই দিতে পারে না।
একটি পরিবার সবসময় সচ্ছলভাবে চলাচল করতে পারেনা। কখনো কখনো এই পরিবারে অভাব অনটন দেখা যায়। তখন বাবাদের অনেক কষ্ট হয়ে যায়, পরিবারকে চালানোর জন্য, কিন্তু সেই সময়ও বাবারা তার সন্তানকে কাজে লাগায় না। সন্তানকে পড়াশোনা করতে বলে। এই অভাবের মধ্যেও যদি কোন সন্তান অসুস্থ হয়ে যায়, ঠিকই বাবারা কোথা থেকে টাকা ম্যানেজ করে তারাই ভালো জানে। নিজের রক্ত বিক্রি করে হলেও সন্তানের চিকিৎসার জন্য অর্থ তারা উপার্জন করে থাকে। এযেনো এক অসাধারণ যোদ্ধা, এই যুদ্ধের নামই হলো বাবা।
আমরা সন্তানরা মাঝেমধ্যেই পাগলামি করি, বাবাদের কষ্ট বুঝতে চায় না। বন্ধু-বান্ধব কেউ মোটরসাইকেল কিংবা কেউ ফোন কিনলেই আমাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমরা বাবাদের চাপ দেই, যে আমাদের মোটরসাইকেল দিতে হবে। না হলে ভাত খাব না, বাড়ি আসবো না। কিন্তু তখন যে বাবাদের কত কষ্ট হয়, একজন বাবা সব সময় তার সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটাতেই ব্যস্ত থাকে। তার সন্তান কিভাবে হাসিমুখে থাকবে সন্তানকে সুখে রাখা যায় এই চিন্তা ভাবনায় তো বাবারা করে। কিন্তু আমরা সন্তান হয়ে বুঝতে পারি না। ঠিকই আমরা যখন বাবা হব আমরা ঠিকই তখন বুঝতে পারব। যে বাবারা আমাদের জন্য জীবনযুদ্ধ নেমে পড়েছিলো।তারা প্রতিটা ক্ষেত্রেই যেন যুদ্ধ করে আমাদের মুখে হাসি ফোঁটাতো।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই বাবা নামক যোদ্ধা যেন প্রত্যেকটা পরিবারে বেঁচে থাকে, প্রত্যেকটা পরিবারের সন্তান যেন এই যোদ্ধাদের সম্মান করে ভালোবাসে। শেষ বয়সে এই যোদ্ধারা অসহায় হয়ে যায়,সন্তানের ভালোবাসার জন্য। তাদের একটু ভালবাসলেই বাবা নামক এই যোদ্ধা অনেক শান্তি পায়। যার কারণে সন্তানদের দিকে তাকিয়ে থাকে। একটু সহানুভূতিশীল, একটু ভালোবাসার জন্য। তাই আমরা প্রত্যেকটা সন্তান আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করবো, বাবার নামোক যোদ্ধাকে কখনোই কষ্ট দেব না। তাদের যেন একটু হলেও আমরা সুখে রাখতে পারি এটাই যেন আমাদের মনের কামনা বাসনা হয়ো থাকে।🖤✨।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রাইটিং ✨ |
মডেল | এম-৩১ |
ক্যাপচার | @alif111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
![]() |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাবারা সব সময় দায়িত্বের মধ্যে জীবন পার করে যায়। পরিবারে কার কি লাগবে এই বিষয় নিয়ে বিভোর থাকে। প্রত্যেকটা দিন যেন তাদের হয়ে ওঠে সংগ্রামী। বাবাকে নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন ভাই। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখা পড়ে। আমরা সবাই জানি পিতা প্রত্যেকটা সন্তানের জন্য বট বৃক্ষের মতো। তাই আমাদের পিতা-মাতাকে মূল্যায়ন করতে জানতে হবে।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা একজন সৈনিক হলেন বাবা। আপনি একদম ঠিক কথা বললেন। বাবাদের আত্মত্যাগ সন্তানদের চিরকাল মনে রাখা উচিত। তারা হাসিমুখে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে দেয় শুধুমাত্র পরিবারের জন্য। নিজের ভালো-মন্দ টুকুও দেখবার সময় হয়না। তাই বাবা এবং মা এই দুই ব্যক্তির আত্মত্যাগ একজন সন্তানকে মানুষ হতে সাহায্য করে। বাবাদের নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট করলেন।
বাবারা যেন নিঃশব্দ যোদ্ধা, যারা প্রতিদিন তাদের দায়িত্ব পালন করতে করতে আমাদের সুখের জন্য সংগ্রাম করেন। তাদের একেকটা দিন হয়ে ওঠে ত্যাগ ও পরিশ্রমের এক চলমান গল্প। আপনি যেভাবে বাবাদের সম্পর্কে লিখেছেন, তা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আপনার পোস্টটি পড়তে পড়তে মনে হলো, বাবা যেন একমাত্র সেই শক্তি, যারা প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। ভাইয়া, আপনার লেখা সত্যিই অসাধারণ, ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপনি, সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটানোর আরেক যোদ্ধার নাম বাবা। তাদের প্রতিটি দিন ত্যাগ আর পরিশ্রমের মাধ্যমে অতিবাহিত হয়। হাসিমুখে দায়িত্ব পালন করে যান, কখনো ক্লান্তি প্রকাশ করেন না। সন্তানের ছোট-বড় চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে নিজের ইচ্ছেগুলো বিসর্জন দেন। সুখ-দুঃখের যেকোনো পরিস্থিতিতে ছায়ার মতো পাশে থাকেন। সত্যিই বাবার আত্মত্যাগ আমরা কখনো পূরণ করতে পারব না। বাবার স্নেহ ও ত্যাগের মূল্য আমরা চিরকাল মনে রাখব। কারণ বাবা মানেই নিরব সংগ্রামী, যিনি সব কষ্ট আড়াল করে পরিবারকে আগলে রাখেন।