প্রথমবার বাবার সাথে ঢাকা শহরে গিয়েছিলাম আর এই ঢাকা শহরে গিয়ে অনেক সুন্দরময় কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বিশেষ করে চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। চিড়িয়াখানায় আমি সকল ধরনের পশুপাখি নিজের চোখে সামনে দেখতে পেয়েছিলাম। তাই প্রথম প্রথম ঢাকা শহরে যাওয়ার অনুভূতিটা ছিল অসাধারণ। সেই অনুভূতি কোনদিনও ভুলবো না। কারণ যতবারই আমি ঢাকা শহরে যায়। ততবারই যেন বাবার সাথে কাটানো সেই প্রথম ঢাকা শহরে আসার মুহূর্তগুলো মনে পড়ে যায়। তাই স্মৃতির পাতা থেকে এই গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি আজকের এই গল্পের শেষ পর্ব পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথমবার ঢাকা শহরে এসে বাবার সাথে আমি অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তারপরে আমরা যখন চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম পরিবারের সকলের সাথে, চিড়াখানায় কাটানো মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। আমি প্রথমবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে সকল ধরনের পশুপাখি দেখেছি। এর আগে আমি টিভিতে অনেকবার দেখেছি কিন্তু চোখের সামনে কখনো বাঘ সিংহ অজগর সাপ দেখিনি। যার কারণে এই চিড়িয়াখানার ভিতরে এসে আমি এই পশুপাখি গুলো দেখে অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। সত্যি সেই মুহূর্তে ছিল অসাধারণ। সেখান থেকে আমরা জাতীয় সংসদ এবং স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমি অনেকবারই দেখতে চাইতাম বাবার কাছে গল্প শুনতাম এই স্মৃতিসৌধ নিয়ে। বাংলাদেশের স্মৃতি যেন জড়িয়ে রয়েছে হাজারো। তাই স্মৃতিময় সেই শহীদ মিনার আর স্মৃতিসৌধ দেখার জন্য আমরা রওনা দিলাম।
তারপরে আমরা ঢাকা শহরে একটি সিএনজি ঠিক করে জাতীয় সংসদ ভবনের কাছে আসলাম। সংসদ ভবনের একদম কাছে যাওয়া যায় না, তবে দূর থেকে সংসদ ভবনটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। টিভিতে অনেকবারই দেখেছিলাম। বাস্তবে যখন দেখতে পেলাম তখন এত আনন্দ আমার হচ্ছিল যা বলার মত নয়। তারপরে বাবা আমাকে স্মৃতিসৌধের কাছে নিয়ে আসলো, স্মৃতিসৌধে বসিয়ে বাবা ক্যামেরাম্যানকে দিয়ে ছবি উঠালো। তখন ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে অনেক টাকা লাগতো। তারপরেও আমরা ছবি উঠলাম। আর এই স্মৃতিসৌধ দেখতে অনেক ভালো লাগলো।তখন বাংলাদেশ স্মৃতিময় সেই পুরনো ইতিহাস বাবা বলতে ছিলো।
দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে আসলো তারপরে খালাম্মা বলল এখন বাসায় যেতে হবে। সন্ধ্যার সময় এলাকার মধ্যে দিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। কারণে এলাকার মধ্যে চোর বাটপার অনেক থাকে। যার কারণে আমরা তখন সিএনজি নিয়ে বাস স্টেশনের কাছে আসলাম। তারপরে একটি লোকাল বাসে আমরা উঠলাম। আর সেই লোকাল বাসে মানুষের অনেক ভিড় ছিল। তারপরেও আমরা উঠলাম, তখন আমি সেই বাসের ভিতর ঘেমে যাচ্ছিলাম। তারপরে আমরা যখন বাস থেকে নামলাম এবং বাসায় উঠবো রিকশা নিলাম, তখন বাবার মানিব্যাগটা হারিয়ে যায় অর্থাৎ এই লোকাল বাসের মধ্যেই পকেটমার রয়েছে তারা বাবার মানিব্যাগটা মেরে দিয়েছে। ওর ভিতরে অনেক টাকা ছিল। আসলে ঘুরতে আসার জন্য বাবা টাকা বের করে এনেছিলো। তখন বাবার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
আমার নাম মোঃআলিফ আহমেদ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন ছাত্র। আমি ছোট বেলা থেকেই আর্ট করতে পছন্দ করি।তাই অংকন করতে আমার খুব ভালো লাগে।তাই আমি সময় পেলেই বিভিন্ন চিত্র অংকন করি।বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে ও ফটোগ্রাফি করতে আমার খুবি ভালো লাগে।🌼💖🌼
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1859981079580664031?t=ZXz0WRctA_Iteh0lHF2iQQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া বাবা তো বাবাই। বাবার সাথে পৃথিবীর কিছু তুলনা হয় না। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। তবে এটা ঠিক বলেছেন ভ্রমণ করতে গেলে সাবধানে থাকতে হয়। চোরদের অত্যাচারের অনেক সময় আনন্দ মাটি হয়ে যায়।
আমি প্রথম দুইটা পর্ব পড়েছিলাম। তৃতীয় পর্বটা পড়া হয়নি। আজকে আবার চতুর্থ পর্ব টা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। কখনো যদি কেউ কারো স্মৃতি এভাবে স্মরণ করে সেখান থেকে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ মিলে। বেশ অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
ঢাকা যাওয়ার মুহূর্ত অসাধারন ছিল। এর আগের পর্ব গুলো পড়েছি। আপনারা অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন। তবে লোকাল বাসের ভিতরে আপনার বাবার মানিব্যাগটা হারিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক কষ্ট পেলাম। ঢাকা শহরে এই ধরনের ঘটনা অনেক হয়ে থাকে।