জেনারেল রাইটিং : শিশুর আনন্দময় শৈশব। ১ম পর্ব

সবাইকে শুভেচ্ছা।

শিশু স্বর্গ। আজকের শিশু আগামীদিনের সুনাগরিক। দেশের ভবিষ্যৎ। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছরের প্রতিটি মানব সন্তান শিশু। বাংলাদেশেও শিশু সুরক্ষা নীতিমালা ও শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের সবাই শিশু। পরিবারের বা রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিশুদের। আমাদের দেশে বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারনে সকল শিশু সম অধিকার ও সম সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অশিক্ষা,অবহেলা ও অনাদারে বেড়ে উঠছে অনেক শিশু। আনন্দময় শৈশব নেই শিশুর। আজকের আর্টিকেলের বিষয় শিশুর আনন্দময় শৈশব।
20250909_210812.jpg

শিশুর আনন্দময় শৈশব যফি আমরা নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে শিশু স্বর্গ বা আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ এগুলো শুধু কথার কথা।সবার আগে শিশু, শিশুর জন্য হ্যাঁ বলুন এগুলো কাগজে আছে বাস্তব নেই। সার্বিক শিশু পরিস্থিতি আমাদের দেশে খুব একটা ভালো না। শিশু নির্যাতন, শিশু পাচার, শিশু শ্রম, গুম- খুন প্রায় খবরের শিরোনাম হয়। এত কিছু প্রতিকুলতার পরেও বেড়ে উঠছে শিশু বিভিন্ন বৈষম্য নিয়ে। এর মধ্যে কন্যা কিছুর বেড়ে উঠার পরিস্থিতি আরো নাজুক। বিভিন্ন বৈষম্য, গোড়ামী, অচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় অনীহা আমাদের শিশু বান্ধব পরিবার,সমাজ ও দেশ গড়তে অন্তরায়।

ধনী গরীবের যে বৈষম্য আছে, তা বাদ দিয়েও যদি আমরা সার্বজনীন ভাবে আমাদের শিশুদের শৈশব দেখি, তা কি আনন্দময়? উত্তর আমাদের সবার জানা! এক বাক্যে সবাই বলবে না! জন্মের পর ১২/১৩ বছর বয়স হচ্ছে শিশুর শৈশব কাল। এই সময় শিশুর বিকাশের সময়। শিশু বিকাশের অন্যতম শর্ত আনন্দময় শৈশব। শিশুর শৈশব আনন্দময় করে তুলতে পরিবার ও স্কুল গুলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। শিশুদের শৈশব আনন্দময় করে তুলতে সব পরিবারের সামর্থ্য সমান নয়। শিশুর জন্য যে সার্বজনীন ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল তা নেই। সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা আছে। কিন্তু বহু ভাগে বিভক্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম শিশু বিকাশে কতটা উপযোগী? এখন প্রচুর শিশু মাদ্রাসা শিক্ষায় যুক্ত হচ্ছে বাবা মায়ের ইচ্ছায়। সেই মাদ্রাসা গুলোর চিত্র আরো করুন। শিশু বিকাশের জন্য যা দরকার তা আমাদের অধিকাংশ পরিবারে নেই। শুধু পরিবার কেন,বিদ্যমান বহু ধারার যে শিক্ষা ব্যবস্থা তার অনেক প্রতিষ্টানে নেই। অথচ একজন শিশুর জন্মগত অধিকার তার বেড়ে উঠার। আনন্দময় শৈশব তার অধিকার। সে অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। (ক্রমশ)