আরজু আপুর বিয়ে "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
ইতোপূর্বে আরজু আপুর হলুদ অনুষ্ঠান নিয়ে আপনাদের সাথে গত সপ্তাহে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। হলুদের পরের দিন বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরেও নানা কারণে বিয়ের সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে পোস্টটি লিখতে পারিনি। গত সপ্তাহে এমনিতেই জেনারেল পোস্টের পরিমাণ বেশি হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে আবার নতুন বছরের শুরুর দিকের ব্যস্ততা। দু'য়ে মিলে ইচ্ছা থাকলেও গত সপ্তাহে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগের মুহূর্ত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি। আর মুহূর্তটা আমি এতই উপভোগ করেছি যে, আপনাদের সঙ্গে শেয়ার না করেও পারছি না। চলুন শুরু করা যাক আপুর বিয়ে নিয়ে লেখা।
আরজু আপুর সম্পর্কে হলুদের অনুষ্ঠান নিয়ে পোস্ট লেখার সময় কিছুটা বলেছিলাম। আজকের পোষ্টে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য আবার একটু বলে নেই। আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্রী। আপু আমার এক ব্যাচ অর্থাৎ ইমিডিয়েট সিনিয়র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে আপুর সঙ্গে অনেক সুন্দর সুন্দর লোকেশনে ঘোরাঘুরি করেছি এবং উনাদের বাসাতেও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম।ওনাদের বাসা রংপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পাশেই। সেই হিসেবে উনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও আমার বেশ ভাল সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ওনার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বন্ধুর মতোই।উনারা এক ভাই এক বোন।আপুর বিয়ে হচ্ছে দিনাজপুর জেলায়। পাত্র শাকিল ভাই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
2 তারিখ হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় আসার পর ভীষণ ক্লান্ত ছিলাম। সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গিয়েছিল। ঘুমাতে ঘুমাতে আবার রাত ১২ টা বেজে গিয়েছিল। যার ফলে পরের দিন ঘুম থেকে দেরিতেই উঠি। ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেস হয়ে ২ টার দিকে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। তখন অবশ্য লোকজন তেমন একটা আসেনি। আমাদের উত্তরবঙ্গ অবশ্য বিয়ের অনুষ্ঠান একটু দেরিতে শুরু হয়। বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি ছোটরা বক্সে বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশন করছে। আমি অবশ্য ছোটদের সঙ্গে ভালোই মিশতে পারি। ওদের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় আড্ডা জমালাম। কিছুক্ষণ পর আপুর সঙ্গে দেখা হলো। অবশ্য তখনও কনের সাজ সাজেনই নি। আপুর সঙ্গেও কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এরপর আপু রেডি হতে গেল। ততক্ষণে আপুর বিভিন্ন দূর-দূরান্তের আত্মীয়রা বিয়ে বাড়িতে আসতে শুরু করেছে। আমি আপুর ছোট ভাই আবিদের সঙ্গে ছিলাম।
স্বাভাবিক বাঙ্গালীদের বিয়েতে যা যা হয় আপুর বিয়েতেও সেগুলোর ই পুনরাবৃত্তি ঘটল। বর পক্ষ থেকে সকল লোকজন আসার পর প্রথমে আপুর বিবাহ কার্য সম্পন্ন হল। এরপর সবার মাঝে বাতাসা বিতরণ করা হলো। পটকা ফাটানো গান বাজানো এবং বিভিন্ন ব্যাচ করে বিয়ের খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করানো এবং শেষে গিয়ে আপু এবং আপুর বর খাওয়া দাওয়া করলো। এরপর বরের সঙ্গে পরের বাড়িতে চলে গেল। আমিও বিয়ে শেষে বাসায় চলে আসলাম। সব মিলে আপুর বিয়েতে সুন্দর সময় কাটালাম। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন। আজ আপাতত এই পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A-12 |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
আপুর বিয়েতে বেশ ভালই ফটোগ্রাফি করেছেন।আর খাওয়া দাওয়া আর আনন্দ সেটার কথা নাহয় নাই তুলে ধরলাম।😁
আপুর জন্য অনেক শুভকামনা রইলো জীবনের পরবর্তী ধাপ টা যেনো অনেক সুখকর হয়।🖤
আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।যাতে খুবই দ্রুত আপনার বিয়েও সম্পন্ন হয়।
আরজু আপুর বিয়েতে অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন দেখে বোঝা জাচ্ছে।আর সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে।আপনার বোনের বিয়ে নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনি এর আগেও আপনার ভার্সিটির ইমিডিয়েট সিনিয়র আরজু আপুর হলুদের অনুষ্ঠান নিয়ে পোস্ট করেছেন।আজকে আবার বিয়ে নিয়ে পোস্ট করেছেন।বিয়েতে আপনি অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন।বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে আপনার উপস্থাপনাও অনেক ভালো ছিল।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার এত সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাই,দোয়া করবেন।ওই দিনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।