লেভেল ৩ হতে আমার অর্জন - By @abubakkor

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলেই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমি এগিয়ে যেতে চাই । আমি লেভেল তিন এর দুইবার মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছি। তার সাথে লেভেল তিনের লেকচার শীট পড়েও আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমাদেরকে @alsarzilsiam ভাইয়া আমাদেরকে খুব সুন্দর ভাবে লেভেল ৩ ক্লাসের সব কিছু বুঝিয়েছেন। তাই আজকে আমি লেভেল তিনের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসছি। আমি আমার নিজের মত করে সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্ট করবো। কোন কিছু ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে,

1676134999943.jpg

প্রশ্ন ১.মার্কডাউন কি?

উত্তরঃ আমি সাধারণত স্টিমিট প্লাটফর্মে টেক্সট কনটেন্ট নিয়ে কাজ করি। এই টেক্সট কনটেন্ট গুলো কে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লোখার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কোড ব্যবহার করি। এই কোড গুলোকেই মার্কডাউন বলা হয়। নিচে কয়েকটা মার্কডাউন এর ব্যবহার তুলে ধরা হলো-

(ক) কোন লেখাকে বোল্ড করতে হলেঃ

<b>আমার বাংলা ব্লগ</b>

আমার বাংলা ব্লগ

অথবা

**আমার বাংলা ব্লগ**

আমার বাংলা ব্লগ

(খ) লেখা ইটালিক করতে হলেঃ

<i>আমার বাংলা ব্লগ</i>

আমার বাংলা ব্লগ

অথবা

*আমার বাংলা ব্লগ*

আমার বাংলা ব্লগ

লেখা গুলোকে এক সাথে বোল্ড এবং ইটালিক করতে চায়লেঃ

***আমার বাংলা ব্লগ***

আমার বাংলা ব্লগ

(গ) লেখাকে জাস্টিফাই করতে হলেঃ

উপরে <div class="text-justify"> নিচে দিকে </div>

(ঘ) ইমেজ সোর্স দিতে হলেঃ
[source](image link)

(ঙ) লেখার মধ্যে স্পেস দিতে হলেঃ

<br>আমার বাংলা ব্লগ</br>

(চ) কোন লোখার অংশকে কোট করতে হলেঃ

>আমার বাংলা ব্লগ

আমার বাংলা ব্লগ

প্রশ্ন ২.মার্কডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তরঃ যখন কমিউনিটিতে লেখা পোস্ট করি তখন লেখা গুলোকে সবার সামনে সুন্দর ও আকর্ষনীয় করার জন্য লেখার কিছু অংশ হাইলাইট করতে চাইলে, নির্দিষ্ট কিছু লেখাকে বোল্ড/ইটালিক করতে চাইলে, আমাদের মার্কডাউন ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া লেখা গুলো বড় ছোট বা লেখা গুলোকে ডান বাম করতে মার্কডাউন কোর্ড ব্যবহার করতে পারি। এজন্য কোন লেখার কনটেন্ট তৈরি করতে মার্কডাউন খুবই উপকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ ।

প্রশ্ন ৩.পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায় ?

উত্তরঃ আমরা মার্কডাউনের কোডগুলো পোস্টের ভিতর তিনভাবে প্রতিফলন না ঘটিয়ে দৃশ্যমান করতে পারি।

  • আমরা যে মার্কডাউন কোডগুলো ব্যবহার করব তার আগে চারটি স্পেস ব্যবহার করে কোডগুলো দৃশ্যমান করতে পারি। অথবা এপোস্ট্রোপি Apostrophe ( ' ) এবং বেক স্ল্যাশ( \ ) ব্যবহার করে কোডগুলো দৃশ্যমান করতে পারি।

প্রশ্ন ৪.টেবিল তৈরী করার নিয়ম কী?

উত্তরঃ টেবিলটি যেভাবে তৈরি করতে হয়ঃ
| User | Posts | Steem | Steem Power |
|----|----|----|----|
| User1 | 10 |100 | 500 |
| User1 | 20 |200 | 800 |
| User1 | 30 |300 | 1000 |

UserPostsSteemSteem Power
User110100500
User120200800
User1303001000

প্রশ্ন ৫.ইমেজ সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কী?

প্রথমে থার্ড ব্রাকেট এর মধ্যে সোর্স লিখতে হবে যেমনঃ[সোর্স] এরপর ফার্স্ট ব্রাকেট এর মাঝে লিংক দিতে হবে।যেমনঃ(লিংক)

[source](image link)
source

প্রশ্ন ৬.বৃহৎ হয়ে ক্ষুদ্র ১-৬ পর্যন্ত হেডার গুলো হল?

# খুব বড় সাইজ
## বড় সাইজ
### মিডিয়াম সাইজ
#### ছোট সাইজ
##### খুব ছোট সাইজ
###### টিনি সাইজ

খুব বড় সাইজ

বড় সাইজ

মিডিয়াম সাইজ

ছোট সাইজ

খুব ছোট সাইজ
টিনি সাইজ

প্রশ্ন ৭.টেক্সট জাস্টিফাই মার্কডাউন কোড টি লিখুন।

 <div class="text-justify">আমার বাংলা ব্লগ</div>
আমার বাংলা ব্লগ

প্রশ্ন ৮.কনটেন্টের টপিকস নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত?

উত্তরঃ ভালো কনটেন্ট তৈরীর জন্য তিনটি বিষযের উপর আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

১. জ্ঞান

২. অভিজ্ঞতা

৩. সৃজনশীলতা

কনটেন্ট প্রধানত তিন প্রকার

১.টেক্সট কনটেন্ট

২.অডিও কনটেন্ট

৩.ভিডিও কনটেন্ট

প্রশ্ন ৯.কোন টপিকসএর উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী কেন ?

উত্তরঃ প্রথমত আমরা যে বিষয়ে ব্লগে লিখবো সেই বিষয়ে যথেষ্ট পরিমান জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আমাদের যে বিষয়ে যত বেশি অভিজ্ঞতা থাকবে আমরা সেই বিষয়েকে তত সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পারব। ধরুন আমরা যদি কোনো ঐতিহাসিক জায়গা নিয়ে একটা কনটেন্ট তৈরি করতে চায় তাহলে অবশ্যয় আমাদের ঐতিহাসিক জায়গার স্থানটির সম্পকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে তারপরেই আমরা সেটির সম্পর্কে একটি ভালো ব্লগ তৈরী করতে পারবো।

প্রশ্ন ১০. ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50 । আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ [USD] কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবেন ?

উত্তরঃ ৩.৫ ডলার কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবো।

প্রশ্ন ১১.সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাওয়ার কৌশল কি?

উত্তরঃ আমরা যদি পোষ্ট করার ৬ মিনিট থেকে ৬ দিন ১২ ঘন্টা এর মধ্যে ভোট দেই তাহলে আমরা সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পেতে পারি। পোস্ট করার ৫ মিনিটের পর এবং পেআউটের ১২ ঘন্টা আগে ভোট দিতে হবে। নাহলে,

১ মিনিট পর ভোট দিলে ২০% পাবো, ৮০% রিওয়ার্ড পুলে যাবে।
২ মিনিট পর ভোট দিলে ৪০% পাবো, ৬০% রিওয়ার্ড পুলে যাবে।
৩ মিনিট পর ভোট দিলে ৬০% পাবো, ৪০% রিওয়ার্ড পুলে যাবে।
৪ মিনিট পর ভোট দিলে ৮০% পাবো, ২০% রিওয়ার্ড পুলে যাবে।
৫ মিনিট পর ভোট দিলে ১০০% পাবো।

প্রশ্ন ১২.নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে, নাকি @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে ?

উত্তরঃ @Heroism কে ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে। আমাদের যদি এসপি কম থাকে সেটা দিয়ে আমরা ভোট করলে কিছুই পাবো না। যদি ডেলিগেশন করি সেক্ষেত্রে একটা এমাউন্টের ভোট পাবো। কারণ সবাই মিলে অল্প পরিমাণের অ্যামাউন্ট যদি @Heroism কে ডেলিগেশন করা হয় তাহলে বড় একটা অ্যামাউন্টে পরিণত হয়। সে এমাউন্ট দিয়ে ভোট দিলে আমরা একটা অ্যামাউন্ট এর ভোট পাই।

steemit.jpeg

আমার নাম মোঃ আবু বক্কর । আমার ইউজার নাম @abubakkor। আমি একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী আমার দেশ বাংলাদেশ । আমার মাতৃভাষা বাংলা ভাষা । আমি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার । আমি ডিজাইন করতে খুবই পছন্দ করি
Sort:  
 2 years ago 

ইতিমধ্যে আপনি লেবেল ৩ এর ভাইভা পরীক্ষা শেষ করে লেবেল ৩ এর লিখিত পরীক্ষা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পোস্টি পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো প্রত্যেকটি বিষয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধারণ করতে পেরেছেন। আশা করি খুব দ্রুত লেভেল ৩ এর ত্যাগ পেয়ে যাবেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আপনি খুব সুন্দর করে লেবেল তিন এর পরীক্ষা ভালই দিলেন। আসলে লেভেল ৩ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনি সামনের ক্লাসগুলো মধ্যেও ভালো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হবেন। আমরা ভালো মানের একজন দক্ষ লোক পাব আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তবে একটি উত্তরে একটু সমস্যা রয়েছে। অন্যের লেখা কোট করতে হলে গেটারদেন দিয়ে একটা স্পেস দিতে হবে।
যেমন:

> আমার বাংলা ব্লগ